ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

মুহূর্তেই টনসিল কিংবা গলাব্যথা সারাবে লেবুর রস‍

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০
  • ১৯৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাকালে অনেকেরই সর্দি-কাশির সঙ্গে গলাব্যথা কিংবা টনসিলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতে অনেকেই করোনার সংক্রমণ ভেবে ঘাবড়ে যান। চিন্তার কিছু নেই, করোনা ছাড়া সর্দি-কাশির ভাইরাসগুলোই আসলে টনসিলের সংক্রমণের জন্য দায়ী। আর এই টনসিলের সমস্যা যে কোনো বয়সেই হতে পারে।

মূলত জিভের পেছনে গলার দেয়ালের দু’পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যে কোষ রয়েছে, সেটাই হল টনসিল। মুখ, নাক, গলা কিংবা সাইনাস হয়ে রোগজীবাণু অন্ত্রে বা পেটে ঢুকতে বাধা দিয়ে থাকে এই টনসিল। তাই টনসিলকে সুস্থ রাখা জরুরি। আতঙ্কিত না হয়ে ঘরোয়া উপায়েই টনসিল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক টনসিলে সংক্রমণের ফলে ব্যথা হলে তা নিরাময় করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে-

লেবুর রস

২০০ মিলিগ্রাম উষ্ণ পানিতে এক চামচ পাতিলেবুর রস, এক চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। যত দিন গলাব্যথা ভালো না হয়, তত দিন পর্যন্ত এই মিশ্রণটি সেবন করুন। টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

লবণ পানি

গলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি সবারেই করা দরকার তা হলো সামান্য উষ্ণ গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করা। এটি টনসিলে সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। শুধু তাই নয়, উষ্ণ গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে যায়।

সবুজ চা এবং মধু

দেড় কাপ পানিতে আধা চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে ওই চা পান করুন। সবুজ চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই মধু-চা পান করুন। উপকার অবশ্যই পাবেন।

আদা চা

দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি আর আন্দাজ মতো চা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এটি পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফালামেন্টরী উপাদান সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

হলুদ দুধ

এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। ছাগলের দুধে অ্যান্টিব্যায়টিক উপাদান আছে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরী, অ্যান্টিবায়টিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান, যা গলাব্যথা দূর করে টনসিলের সংক্রামণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

মুহূর্তেই টনসিল কিংবা গলাব্যথা সারাবে লেবুর রস‍

আপডেট টাইম : ১০:৫৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাকালে অনেকেরই সর্দি-কাশির সঙ্গে গলাব্যথা কিংবা টনসিলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতে অনেকেই করোনার সংক্রমণ ভেবে ঘাবড়ে যান। চিন্তার কিছু নেই, করোনা ছাড়া সর্দি-কাশির ভাইরাসগুলোই আসলে টনসিলের সংক্রমণের জন্য দায়ী। আর এই টনসিলের সমস্যা যে কোনো বয়সেই হতে পারে।

মূলত জিভের পেছনে গলার দেয়ালের দু’পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যে কোষ রয়েছে, সেটাই হল টনসিল। মুখ, নাক, গলা কিংবা সাইনাস হয়ে রোগজীবাণু অন্ত্রে বা পেটে ঢুকতে বাধা দিয়ে থাকে এই টনসিল। তাই টনসিলকে সুস্থ রাখা জরুরি। আতঙ্কিত না হয়ে ঘরোয়া উপায়েই টনসিল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক টনসিলে সংক্রমণের ফলে ব্যথা হলে তা নিরাময় করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে-

লেবুর রস

২০০ মিলিগ্রাম উষ্ণ পানিতে এক চামচ পাতিলেবুর রস, এক চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। যত দিন গলাব্যথা ভালো না হয়, তত দিন পর্যন্ত এই মিশ্রণটি সেবন করুন। টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

লবণ পানি

গলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি সবারেই করা দরকার তা হলো সামান্য উষ্ণ গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করা। এটি টনসিলে সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। শুধু তাই নয়, উষ্ণ গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে যায়।

সবুজ চা এবং মধু

দেড় কাপ পানিতে আধা চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে ওই চা পান করুন। সবুজ চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই মধু-চা পান করুন। উপকার অবশ্যই পাবেন।

আদা চা

দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি আর আন্দাজ মতো চা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এটি পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফালামেন্টরী উপাদান সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

হলুদ দুধ

এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। ছাগলের দুধে অ্যান্টিব্যায়টিক উপাদান আছে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরী, অ্যান্টিবায়টিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান, যা গলাব্যথা দূর করে টনসিলের সংক্রামণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।