গেল ২৬ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদের বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরে শূন্য পদ বেড়েছে ২.১১ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৪২ হাজার ৪১২। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা দুই লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৮টিতে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি শূন্য পদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। এর অধীন দপ্তরগুলোতে ২৭ হাজার ৮৩৫টি পদ খালি পড়ে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরই শূন্য পদ ১৭ হাজার। পাঁচ হাজার করে শূন্য পদ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও সেবা পরিদপ্তরে। এর পরই রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরে শূন্য পদ ২৬ হাজার ৫১৬টি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ ২২ হাজার ১৬৩টি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১৫ হাজার ৭৮৪, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ১৩ হাজার ৩৮৬ ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ ১১ হাজার ৯৬৪টি। এ ছাড়া ১০ হাজারের বেশি পদ খালি কৃষি মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। সাতটি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ চলছে। এরই মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষা কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর বাধ্য হয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে সাবধান করেছে। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্থ দিয়ে বা তদবিরে চাকরি পাওয়ার সামান্যতম সুযোগ কারো নেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, শিক্ষকের অভাবে পাঠদান বন্ধ হওয়ার জোগাড়, কৃষি কর্মকর্তার পদও শূন্য। যথাযথ অনুমোদন থাকার পরও এসব পদ পূরণে দৃষ্টিকটুভাবে ব্যর্থ হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।সরকারপ্রধান বারবার তাগাদা দিয়েও এসব শূন্য পদ পূরণ করাতে পারছেন না।বেকারের এই দেশে মন্ত্রণালয়গুলোর প্রশাসনিক অদক্ষতায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।