ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট জেট ফুয়েলের মূল্য হ্রাসে কমবে উড়োজাহাজ ভাড়া আমার সোনার বাংলা’ যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো মাহফুজ ভাইয়ের সঙ্গে যা ঘটলো, তাতে হতাশ হয়েছি: আসিফ মাহমুদ আমি কখনই ক্রিকেট খেলা শিখিনি, এখন চেষ্টা করছি: তিশা মাদক-অপকর্মের আখড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগেভাগেই ঢাকায় আসবেন হামজা উপদেষ্টা মাহফুজকে লাঞ্ছিত করায় হাসনাতের ক্ষোভ জনদাবির মুখে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঠেলে দেওয়ার আচরণ সন্দেহজনক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শওকত ওসমানের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা বৃষ্টিতে ভিজে শাহবাগে আন্দোলন করছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা ইউক্রেন যুদ্ধ তুরস্কে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান ট্রাম্প

বিজয় দিবস ক্রিকেটে শহীদ জুয়েল একাদশের জয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৩৪৩ বার

মহান মুক্তিযুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়া দুই বীর ক্রিকেটারকে স্মরণ করে ১৯৭২ সাল থেকে বিজয় দিবসে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় একটি প্রীতি ম্যাচ। এবারও সে ধারাবাহিকতায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজন করা এ ম্যাচটি। এ প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচটি মূলতঃ জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্যদের বাইরে রেখেই আয়োজন করা হয়। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটার আর উঠতি ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে শহীদ জুয়েল আর শহীদ মুস্তাক একাদশ সাজায় বিসিবি, সাবেক ক্রিকেটারদের দিয়ে। এবারের বিজয় দিবস প্রদর্শনী ক্রিকেটে জয় পেয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশ। সাত উইকেটে তারা হারিয়েছে শহীদ মোস্তাক একাদশকে।

শহীদ মোস্তাক একাদশের দেয়া ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি শহীদ জুয়েল একাদশ। দলীয় ৭ রানেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আতাহার আলী খানকে হারায় তারা। তবে আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশারকে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। দলীয় ৫০ রানে বাশার ফিরে গেলে আকরাম খানকে নিয়ে আরও একটি ৪৩ রানের দারুণ জুটি উপহার দেন নান্নু।

Bijoy

দলীয় ৯৩ রানে আকরাম আউট হলে উইকেটে নামা জাভেদ ওমর বেলিমকে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের নির্বাচক নান্নু। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দারুণ একটি অর্ধশতক তুলেন নেন চট্টগ্রামের এই তারকা। ৪৭ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই রান করতে ৯টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান জাতীয় দলের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান। ১১ বলে ২টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ২২ রান করেন বেলিম। এছাড়া বাশার ১৯ এবং আকরাম ১৬ রান করেন। শহীদ মোস্তাকের পক্ষে নিয়ামুর রশিদ, সাইফুল ইসলাম এবং খালেদ মাহমুদ ১টি করে উইকেট নেন।

Bijoy

এদিন সন্ধ্যায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ এবং ফারুক আহমেদকে হারিয়ে চাপে পড়ে শহীদ মোস্তাক একাদশ। ৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে এহসানুল হক জিসানকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়ে সে চাপ কিছুটা সামলে নেন নাইমুর রহমান। ৪১ রানে নাইমুর বিদায় নিলে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন এহসান। অপর প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লে ৮৮ রানেই সেরা সাত ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে রফিকুল ইসলাম এবং এনামুল হক অপরাজিত ৪৩ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন।

Bijoy

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করতে সক্ষম হয় শহীদ মোস্তাক একাদশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন এহসান। ৩৪ বল মোকাবেলা করে ৩ টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে এনামুল এবং নাইমুরের ব্যাট থেকে। ২১ রান করে করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এছাড়া সানোয়ার এবং রফিকুল ১৪ রান করে করেন।

শহীদ জুয়েল একাদশের হয়ে ১৬ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার সাইফুল্লাহ খান। এছাড়া আলমগীর কবির, সফিউদ্দিন বাবু এবং বিকাশ রঞ্জন দাস একটি করে উইকেট পান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট জেট ফুয়েলের মূল্য হ্রাসে কমবে উড়োজাহাজ ভাড়া

বিজয় দিবস ক্রিকেটে শহীদ জুয়েল একাদশের জয়

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

মহান মুক্তিযুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়া দুই বীর ক্রিকেটারকে স্মরণ করে ১৯৭২ সাল থেকে বিজয় দিবসে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় একটি প্রীতি ম্যাচ। এবারও সে ধারাবাহিকতায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজন করা এ ম্যাচটি। এ প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচটি মূলতঃ জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্যদের বাইরে রেখেই আয়োজন করা হয়। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটার আর উঠতি ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে শহীদ জুয়েল আর শহীদ মুস্তাক একাদশ সাজায় বিসিবি, সাবেক ক্রিকেটারদের দিয়ে। এবারের বিজয় দিবস প্রদর্শনী ক্রিকেটে জয় পেয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশ। সাত উইকেটে তারা হারিয়েছে শহীদ মোস্তাক একাদশকে।

শহীদ মোস্তাক একাদশের দেয়া ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি শহীদ জুয়েল একাদশ। দলীয় ৭ রানেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আতাহার আলী খানকে হারায় তারা। তবে আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশারকে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। দলীয় ৫০ রানে বাশার ফিরে গেলে আকরাম খানকে নিয়ে আরও একটি ৪৩ রানের দারুণ জুটি উপহার দেন নান্নু।

Bijoy

দলীয় ৯৩ রানে আকরাম আউট হলে উইকেটে নামা জাভেদ ওমর বেলিমকে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের নির্বাচক নান্নু। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দারুণ একটি অর্ধশতক তুলেন নেন চট্টগ্রামের এই তারকা। ৪৭ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই রান করতে ৯টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান জাতীয় দলের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান। ১১ বলে ২টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ২২ রান করেন বেলিম। এছাড়া বাশার ১৯ এবং আকরাম ১৬ রান করেন। শহীদ মোস্তাকের পক্ষে নিয়ামুর রশিদ, সাইফুল ইসলাম এবং খালেদ মাহমুদ ১টি করে উইকেট নেন।

Bijoy

এদিন সন্ধ্যায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ এবং ফারুক আহমেদকে হারিয়ে চাপে পড়ে শহীদ মোস্তাক একাদশ। ৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে এহসানুল হক জিসানকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়ে সে চাপ কিছুটা সামলে নেন নাইমুর রহমান। ৪১ রানে নাইমুর বিদায় নিলে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন এহসান। অপর প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লে ৮৮ রানেই সেরা সাত ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে রফিকুল ইসলাম এবং এনামুল হক অপরাজিত ৪৩ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন।

Bijoy

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করতে সক্ষম হয় শহীদ মোস্তাক একাদশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন এহসান। ৩৪ বল মোকাবেলা করে ৩ টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে এনামুল এবং নাইমুরের ব্যাট থেকে। ২১ রান করে করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এছাড়া সানোয়ার এবং রফিকুল ১৪ রান করে করেন।

শহীদ জুয়েল একাদশের হয়ে ১৬ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার সাইফুল্লাহ খান। এছাড়া আলমগীর কবির, সফিউদ্দিন বাবু এবং বিকাশ রঞ্জন দাস একটি করে উইকেট পান।