ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাঙা বাঁধে জীবন হলো পানিবন্দী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
  • ২০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে টিকিকাটা ইউপি সংলগ্ন ভেঙে যাওয়া অংশের বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে করে দুইটি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে এসব এলাকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জোয়ারের লোনা পানিতে ফসলি জমি ও জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফলজ ও বনজ গাছপালা।

গত ২০ মে বাংলাদেশের উপকূল জুড়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পানি নেমে গেলেও মঠবাড়িয়া-গুলিশাখালী খালের দুই পাড়ের পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা ও টিকিকাটা ইউপির কয়েকটি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয় ঘরবাড়ি। পূর্ণিমার কারণে বর্তমানে খাল ও নদীতে পানির চাপ বেশি। যতদিন পানির চাপ বেশি থাকবে ততদিন জোয়ার ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে পানিতে প্লাবিত এলাকার মানুষদের।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী বলেন, অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি, অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ হয়নি। এভাবে আর কতদিন। ছেড়ে দিয়েছি বাঁধ নির্মাণের আশা। এভাবে যতদিন বেঁচে থাকা যায়।

পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল গাফ্ফার বলেন, আম্ফানের ফলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পানিবন্দী হয়ে অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করছি। কিন্তু এভাবে জোয়ারের পানিতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হলে আর কয়দিন বাঁচা যাবে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী কামাল বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এখন থেকে পানি না কমা পর্যন্ত এখানের মানুষদের জোয়ার-ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে। রান্না-বান্নার কাজ রয়েছে বন্ধ। যাদের সুযোগ রয়েছে তারা নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে। পানি কমলে আবার আসবে। এ অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে এ এলাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।

পিরোজপুর (পাউবি) নির্বাহী প্রকৌশলী দ্বিপক রঞ্জন দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে টিকিকাটা ইউপি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দুই এক দিনের মধ্য সংস্কার করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভাঙা বাঁধে জীবন হলো পানিবন্দী

আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে টিকিকাটা ইউপি সংলগ্ন ভেঙে যাওয়া অংশের বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে করে দুইটি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে এসব এলাকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জোয়ারের লোনা পানিতে ফসলি জমি ও জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফলজ ও বনজ গাছপালা।

গত ২০ মে বাংলাদেশের উপকূল জুড়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পানি নেমে গেলেও মঠবাড়িয়া-গুলিশাখালী খালের দুই পাড়ের পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা ও টিকিকাটা ইউপির কয়েকটি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয় ঘরবাড়ি। পূর্ণিমার কারণে বর্তমানে খাল ও নদীতে পানির চাপ বেশি। যতদিন পানির চাপ বেশি থাকবে ততদিন জোয়ার ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে পানিতে প্লাবিত এলাকার মানুষদের।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী বলেন, অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি, অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ হয়নি। এভাবে আর কতদিন। ছেড়ে দিয়েছি বাঁধ নির্মাণের আশা। এভাবে যতদিন বেঁচে থাকা যায়।

পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল গাফ্ফার বলেন, আম্ফানের ফলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পানিবন্দী হয়ে অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করছি। কিন্তু এভাবে জোয়ারের পানিতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হলে আর কয়দিন বাঁচা যাবে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী কামাল বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এখন থেকে পানি না কমা পর্যন্ত এখানের মানুষদের জোয়ার-ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে। রান্না-বান্নার কাজ রয়েছে বন্ধ। যাদের সুযোগ রয়েছে তারা নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে। পানি কমলে আবার আসবে। এ অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে এ এলাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।

পিরোজপুর (পাউবি) নির্বাহী প্রকৌশলী দ্বিপক রঞ্জন দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে টিকিকাটা ইউপি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দুই এক দিনের মধ্য সংস্কার করা হবে।