‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’, চাইলে এর সঙ্গে এবার যোগ করে নিতে পারেন, বিপিএল শিরোপা মাশরাফির মাথায়। এটাই যেন অমোঘ সত্য, এটাই যেন বিপিএলে নিয়তি। বিপিএল টুর্নামেন্ট হবে, আর এর শিরোপা মাশরাফির মাথায় উঠবে না তা কি হয়! হয় না বলেই, আজ (মঙ্গলবার) বিপিএলের ফাইনালে চরম শ্বাসরূদ্ধকর আর নাটকীয় ম্যাচে শেষ পর্যন্ত শিরোপা উঠলো মাশরাফির মাথায়ই।
বিপিএলের প্রথম এবং দ্বিতীয় আসরে মাশরাফি অধিনায়ক ছিলেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের। দু’বারই শিরোপা উঠলো মাশরাফির হাতে। দু’বারই দুর্দান্ত দুটি দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। এবার দল পাল্টেছে মাশরাফির। ঢাকা থেকে চলে গেলেন কুমিল্লায়। সেরা দল বলতে কিছুই পেলেন না। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে খারাপ দল বলেই অনেকে অভিহিত করছিল মাশরাফির কুমিল্লাকে। এমনকি ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরাও খুশি ছিলেন না দল নিয়ে।
অথচ সেই দলটিকেই কি না, চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পরিয়ে দিলেন তিনি। মাশরাফি দল পাল্টালেও বিপিএলের ভাগ্য পরিবর্তণ হলো না। ঢাকা থেকে শিরোপা কুমিল্লা গেলো, সেই মাশরাফির হাত ধরেই। নড়বড়ে একটি দলকে তিনি পরিণত করলেন দুর্দান্ত, অপ্রতিরোধ্য একটি দলে।
সত্যি সত্যি মাশরাফি যেন জিয়নকাঠি। যার পরশে পাথরও হয়ে যায় সোনা। জাতীয় দল, কিংবা বিপিএল- যেখানেই হাত দিয়েছেন, সোনা ফলেছে। তুখোড় বুদ্ধি আর দারুণ বিশ্লেষণ ক্ষমতা, প্রতিভা খুঁজে বের করার সহজাত প্রবণতা- সব মিলিয়ে মাশরাফির মাঝে সম্পূর্ণ এক ক্রিকেটারেরই প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। যার হাত ধরে সাফল্য আসবেই। এতে যেন কোন সন্দেহ নেই।
শুধুমাত্র বিপিএলের কথা বিবেচনা করলেই বোঝা যায়, মাশরাফি কতটা পরিণত, কতটা সফল একজন ক্রিকেটার। ‘মাশরাফি’ নামক পরশ পাথরের ছোঁয়ায় চূড়ান্তভাবে বদলে গেলো কুমিল্লা। যার পরশে শেষ পর্যন্ত ভিক্টোরিয়ান্স চ্যাম্পিয়ন।