ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংকটে জনপ্রতিনিধিরাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
  • ২৪৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা সংকটের শুরু থেকে জনপ্রতিনিধিরাই গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে ঘুরে মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

অসহায় মানুষের মাঝে দিন-রাত খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব পালনে আরও সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সত্যিকার অর্থে দেশে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভব।

করোনাকালীন সংকট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সেল (সিআরআই) আয়োজিত ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারের সপ্তম পর্বে শনিবার রাতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এবারের পর্বের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘জনস্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার’। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা সংকটে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি, স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদ্বুদ্ধ করা, জলাবদ্ধতা নিরসন, জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া ডেঙ্গু নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নকল স্বাস্থ্য উপকরণ বন্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়েও আলোচনা হয়।’

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সামাজিক পরিবর্তন এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে সেটা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা। যদি জনপ্রতিনিধিদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনে আমরা সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি করা অসম্ভব কিছু না।

আতিকুল ইসলাম বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতা শুরু করি। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর শহরের নানা জায়গায়, রাস্তাতে জীবাণুনাশক ছিটাতে শুরু করি। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে সর্বদা চেষ্টা করছি। একইসঙ্গে জনগণকেও সচেতন হতে হবে।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রথম থেকেই আমরা ত্রাণ বিতরণ করেছি, জনসচেতনতার জন্য রেকর্ডিং মাইকিং চালু করেছি। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে এবং মশকের প্রজনন ক্ষেত্রগুলোকে নিধন করার জন্য সব জলাবদ্ধ লেক ও জলাশয়গুলোকে পরিষ্কার করছি।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, করোনার শুরুতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। ক্রমান্বয়ে স্বেচ্ছাসেবীসহ কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক কাজ করা হয়। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পরে শহরে ইতোমধ্যে বেসরকারিভাবে একটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে, যা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।

সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ সদস্যের টিম করে কাজ করা হচ্ছে। মার্চের পর থেকে ২৭টি ওয়ার্ডের ৩৬ জন কাউন্সিলরের উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ করা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

ইকরামুল হক টিটু বলেন, করোনায় কর্মহীন মানুষদের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি চালু করেছি। এখনও আমরা ত্রাণ বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সংকটে জনপ্রতিনিধিরাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন

আপডেট টাইম : ১১:২৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা সংকটের শুরু থেকে জনপ্রতিনিধিরাই গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে ঘুরে মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

অসহায় মানুষের মাঝে দিন-রাত খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব পালনে আরও সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সত্যিকার অর্থে দেশে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভব।

করোনাকালীন সংকট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সেল (সিআরআই) আয়োজিত ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারের সপ্তম পর্বে শনিবার রাতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এবারের পর্বের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘জনস্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার’। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা সংকটে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি, স্বাস্থ্যবিধি পালনে উদ্বুদ্ধ করা, জলাবদ্ধতা নিরসন, জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া ডেঙ্গু নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নকল স্বাস্থ্য উপকরণ বন্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়েও আলোচনা হয়।’

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সামাজিক পরিবর্তন এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে সেটা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা। যদি জনপ্রতিনিধিদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনে আমরা সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি করা অসম্ভব কিছু না।

আতিকুল ইসলাম বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতা শুরু করি। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর শহরের নানা জায়গায়, রাস্তাতে জীবাণুনাশক ছিটাতে শুরু করি। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে সর্বদা চেষ্টা করছি। একইসঙ্গে জনগণকেও সচেতন হতে হবে।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রথম থেকেই আমরা ত্রাণ বিতরণ করেছি, জনসচেতনতার জন্য রেকর্ডিং মাইকিং চালু করেছি। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে এবং মশকের প্রজনন ক্ষেত্রগুলোকে নিধন করার জন্য সব জলাবদ্ধ লেক ও জলাশয়গুলোকে পরিষ্কার করছি।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, করোনার শুরুতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। ক্রমান্বয়ে স্বেচ্ছাসেবীসহ কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক কাজ করা হয়। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পরে শহরে ইতোমধ্যে বেসরকারিভাবে একটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে, যা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।

সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ সদস্যের টিম করে কাজ করা হচ্ছে। মার্চের পর থেকে ২৭টি ওয়ার্ডের ৩৬ জন কাউন্সিলরের উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ করা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

ইকরামুল হক টিটু বলেন, করোনায় কর্মহীন মানুষদের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি চালু করেছি। এখনও আমরা ত্রাণ বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করছি।