ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়ার ও মোশতাকের চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
  • ২২৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশেকে সমৃদ্ধির সোপানে নেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার যখন দায়িত্ব পেলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহ দেশটিকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় সেই আরেক মীরজাফর  মোশতাক ও জিয়ার চক্রান্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়ে গেল।

মঙ্গলবার সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ৮ম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন তিনি। অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপনা করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন স্পিকার।
এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনির্ধারিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একসময় ইতিহাস থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু মুখে ফেলা যায়নি। সত্যকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায় না।’

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির দীর্ঘ সংগ্রামের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের এই ত্যাগ-তিতীক্ষার মধ্য দিয়ে যে অর্জন সেটা হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জাতি স্বাধীন হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার যখন দায়িত্ব পেলেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটিকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক সে সময় সেই আরেক মীরজাফর মোশতাক এবং জিয়ার চক্রান্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়ে গেল।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার যে আকাঙ্ক্ষা তা আমাদের পূরণ করতে হবে। তার অস্তিত্ব আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে। এক সময় তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু মুছে ফেলা যায়নি। সত্যকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব ধরনের আন্দোলনে কাজ করে গেছে। ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে সিরাজউদ্দৌলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে যুদ্ধে হেরে যান। সেখানে মীরজাফর আলী খান বেঈমানি করেছিল। তার ফলে কিন্তু এই পতন ঘটে। অর্থাৎ তখন সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলা উড়িষ্যাসহ এই অঞ্চলের শাসক। সেই স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধে আম্রকাননে। আর ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর সেই আওয়ামী লীগ আবার সেই সূর্য উদয় করে। আওয়ামী লীগের সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে।

মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে এই দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা এদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করবো। মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাবো। আজকের দিনে জাতির পিতার কাছে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

করোনাভাইরাস সংকট কাটিয়ে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসে দুঃখ কষ্ট মানুষের আছে। আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মানুষের পাশে আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জিয়ার ও মোশতাকের চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৮:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশেকে সমৃদ্ধির সোপানে নেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার যখন দায়িত্ব পেলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহ দেশটিকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় সেই আরেক মীরজাফর  মোশতাক ও জিয়ার চক্রান্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়ে গেল।

মঙ্গলবার সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ৮ম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন তিনি। অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপনা করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন স্পিকার।
এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনির্ধারিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একসময় ইতিহাস থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু মুখে ফেলা যায়নি। সত্যকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায় না।’

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির দীর্ঘ সংগ্রামের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের এই ত্যাগ-তিতীক্ষার মধ্য দিয়ে যে অর্জন সেটা হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জাতি স্বাধীন হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার যখন দায়িত্ব পেলেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটিকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক সে সময় সেই আরেক মীরজাফর মোশতাক এবং জিয়ার চক্রান্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়ে গেল।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার যে আকাঙ্ক্ষা তা আমাদের পূরণ করতে হবে। তার অস্তিত্ব আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে। এক সময় তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে কিন্তু মুছে ফেলা যায়নি। সত্যকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব ধরনের আন্দোলনে কাজ করে গেছে। ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে সিরাজউদ্দৌলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে যুদ্ধে হেরে যান। সেখানে মীরজাফর আলী খান বেঈমানি করেছিল। তার ফলে কিন্তু এই পতন ঘটে। অর্থাৎ তখন সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলা উড়িষ্যাসহ এই অঞ্চলের শাসক। সেই স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধে আম্রকাননে। আর ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর সেই আওয়ামী লীগ আবার সেই সূর্য উদয় করে। আওয়ামী লীগের সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে।

মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে এই দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা এদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করবো। মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাবো। আজকের দিনে জাতির পিতার কাছে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

করোনাভাইরাস সংকট কাটিয়ে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসে দুঃখ কষ্ট মানুষের আছে। আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মানুষের পাশে আছে।