জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার দ্বি-গুণ জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠে মাঠে সরষে গাছের হলুদ ফুলের সমারোহে পথিক মানুষসহ সব কৃষকের মন ভরে যায়। স্থানীয় কৃষি বিভাগ মনে করছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সরিষা চাষিরা এবার আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। অন্য যেকোনো আবাদের চেয়ে সরিষা চাষে তুলনামূলক খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। বিগত বন্যায় রোপা আমন ফসল বিনষ্ট হওয়ায় ওইসব জমিতে স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাওয়ার আশায় সরিষার আবাদ করেছেন চাষিরা। যথাসময়ে সার বীজ পাওয়ায় ভাল ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষককুল।
মাঠে মাঠে জমিতে শোভা পাচ্ছে হলুদের সমারোহ সরিষা ক্ষেত। শীতের কুয়াশাকে উপেক্ষা করে চাষিরা সরষে ক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে এবং সার বীজ সংকট না থাকায় সরিষা বীজ বুনে ভাল ফলনের আশা করছেন তারা।
উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের ছালুয়া গ্রামের তফিল উদ্দিন, আব্দুল আজিজ, উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ছায়দার রহমানসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, তারা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে বারী-৭, ৯, ১৪ ও ১৫, টরি-৭, বিএডিসি-১, বিনা-৭ জাতের সরষে আবাদ করেছেন। সুষম সার প্রয়োগের ফলে তাদের জমির ফলন খুব ভালো হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে ভালো বীজ দিয়ে সরিষা চাষ করে ফলন ভালো পাওয়া যায়। এটা যারা বুঝতে পেরেছে তারা কৃষি বিভাগের উপদেশ মেনে ফসল চাষ করছে।
তিনি বলেন, অনেকেই আমাদের কাছে নতুন জাতের সরিষা চাষের নিয়ম কানুন জেনে নিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার তাহাজুল ইসলাম জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের নিয়ে নিয়মিত মতবিনিময়সহ তাদেরকে নতুন জাতের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার সরিষার চাষ বেশি করেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ফুলছড়ি উপজেলায় ১১৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাব না পড়লেও পোকামাকড়ের আক্রমণ না হলে এ বছর আশানুরূপ ফলনের সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।