ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঠের আলু মাঠেই বিক্রি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০
  • ২২৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঘরে-বাইরে-হাটে-মাঠে-ঘাটে সবর্ত্রই চলছে আলু তোলার ধুম। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর ৪ হাজার ৫ শ হেক্টর জমি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরও আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৫ শ হেক্টর। তবে গত বছরে আলু ক্ষেতে ভাইরাস দেখা দিয়েছিল। তা ছাড়া দামেও মার খেয়েছিল কৃষক। তবে এবার কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি তাদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরে আলু চাষে লোকসান খেয়েছে কৃষক। উৎপাদন খরচও তুলতে পারেনি অনেক কৃষক। এমনকি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেও লাভের মুখ দেখতে পারেননি তারা। এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় তারা আশায় বুক বেঁধেছেন। উপজেলার কাথম, চাকলমা, সিংজানি, ভাটগ্রাম, তেঘর, রিধইল, বীরপলি, দোহার, ধুন্দারসহ বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন আলু তোলার কর্মযজ্ঞ চলছে। অনেক চাষি এর মধ্যেই আলু তুলে ফেলেছেন। আবার অনেকে আলু তোলার প্রস্তুতি হিসেবে গাছগুলোকে টেনে তুলে ফেলছেন। সারি সারি আলু তোলার পর বস্তাবন্দি করা থেকে শুরু করে কোল্ডস্টোরেজ কিংবা বাজারজাত করতে আলুচাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপজেলাজুড়ে আলু তোলার উৎসব শুরু হয়েছে। বাম্পার ফলন তো রয়েছেই, তার সঙ্গে আলুর দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু জানান, এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ বছর আলুর ক্ষেতকে রোগ-বালাইমুক্ত রাখতে পেরেছেন কৃষক। এই উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাঠের আলু মাঠেই বিক্রি

আপডেট টাইম : ০৩:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঘরে-বাইরে-হাটে-মাঠে-ঘাটে সবর্ত্রই চলছে আলু তোলার ধুম। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর ৪ হাজার ৫ শ হেক্টর জমি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরও আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৫ শ হেক্টর। তবে গত বছরে আলু ক্ষেতে ভাইরাস দেখা দিয়েছিল। তা ছাড়া দামেও মার খেয়েছিল কৃষক। তবে এবার কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি তাদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরে আলু চাষে লোকসান খেয়েছে কৃষক। উৎপাদন খরচও তুলতে পারেনি অনেক কৃষক। এমনকি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেও লাভের মুখ দেখতে পারেননি তারা। এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় তারা আশায় বুক বেঁধেছেন। উপজেলার কাথম, চাকলমা, সিংজানি, ভাটগ্রাম, তেঘর, রিধইল, বীরপলি, দোহার, ধুন্দারসহ বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন আলু তোলার কর্মযজ্ঞ চলছে। অনেক চাষি এর মধ্যেই আলু তুলে ফেলেছেন। আবার অনেকে আলু তোলার প্রস্তুতি হিসেবে গাছগুলোকে টেনে তুলে ফেলছেন। সারি সারি আলু তোলার পর বস্তাবন্দি করা থেকে শুরু করে কোল্ডস্টোরেজ কিংবা বাজারজাত করতে আলুচাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপজেলাজুড়ে আলু তোলার উৎসব শুরু হয়েছে। বাম্পার ফলন তো রয়েছেই, তার সঙ্গে আলুর দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু জানান, এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ বছর আলুর ক্ষেতকে রোগ-বালাইমুক্ত রাখতে পেরেছেন কৃষক। এই উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।