হাওর বার্তা ডেস্কঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। যেমন ভারতে এখন আমাদের দেশ থেকে যাতায়াত বন্ধ। আমরাও একই আইন আমাদের দেশে বলবৎ করবো। এটিও স্বল্পকালীন সময়ের জন্য।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইউরোপ এবং অন্যান্য যেসব এলাকায় করোনা ভাইরাসের প্রভাব অস্বাভাবিক হারে বেশি, সেসব দেশের যাত্রীদের আমরা আমাদের দেশে প্রবেশ বন্ধ করে দিবো। আমরা দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করবো কী অবস্থা হয়। এটি আগামীকাল মধ্যরাত থেকে কার্যকরী হবে।
শনিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামীকাল রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকে ইউরোপ ও অস্বাভাবিকভাবে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাত্রীবাহী বিমান আসা-যাওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একইসঙ্গে এ সিদ্ধান্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি এই সময়কালে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোকে একসঙ্গে নিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে। তার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার নয়াদিল্লির স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ৭টি দেশের প্রধান এবং পাকিস্তান সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা বিষয়ে আলোচনা করবেন।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, ইউরোপের সবগুলো দেশের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য ছাড়া। ইন্টারন্যশনাল সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে আমরা যদি জানিয়ে দেই যে এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাহলে তারা তাদেরকে অনবোর্ড করতে দেবে না। ইউরোপের কোনও দেশের সঙ্গেই আমাদের সরাসরি ফ্লাইট নেই শুধুমাত্র তুরস্ক এবং যুক্তরাজ্য ছাড়া। আমরা যখন বিধিনিষেধ জানাবো তখন এয়ারলাইন্স সিদ্ধান্ত নেবে তারা ফ্লাইট পরিচালনা করবে কিনা।