ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যার দুঃখ তারই ব্যথা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ২২১ বার

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আজ হোক কাল হোক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে ক্ষমতাসীন সরকার পরিবর্তন হবেই। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। মওদুদ আহমদ বলেন, প্রশাসন দিয়ে সরকারের উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনের পদক্ষেপ ‘ভুল পথ’। এর পরিবর্তে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনলে উগ্রবাদ স্তিমিত হয়ে যাবে। তিনি বলেন, সরকার ভুল পথে এগোচ্ছে। তাদের বুঝতে হবে পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। তারা নিজেরাও জানেন, পারবেন না। একটিই পথ আছে, সেটি হচ্ছে দেশে সুষ্ঠুু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। মওদুদ আহমদ বলেন, তাহলে তাদের অ্যাক্টিভিটি কমে যাবে। গণতান্ত্রিক সরকার এলে এগুলো সমাধান হবে। সরকার এককভাবে এটা সমাধান করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা এটি একসেপ্ট করতে পারি না। বিএনপি কোনো জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদে বিশ্বাস করে না। যারা এদের সঙ্গে জড়িত তারা দেশের সুসন্তান না। গণতন্ত্র নেই বলেই ঘটনাগুলো ঘটছে। উগ্রপন্থাকে দমন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মওদুদ আহমদ বলেন, যদি সরকার সত্যিকার অর্থে উগ্রবাদকে দমন করতে চায় তাহলে তাদেরই সমঝোতার উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা সহযোগিতা করবো। যদি না করে, ভাববো জঙ্গিবাদ দমনে আন্তরিক নয় সরকার। তিনি দাবি করে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এটা বন্ধ করতে চাইলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। এর অন্য কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির নিখোঁজ নেতাকর্মীদের স্মরণ করে মওদুদ আহমদ বলেন, এমন কোনো ভাষা নেই যা দিয়ে তাদের দুঃখ মোচন করতে পারবো। এ দুঃখ কীভাবে শেয়ার করি, যার দুঃখ তারই ব্যথা। বিএনপির এই নেতা বলেন, খারাপ লাগে দেশে গুম-অপহরণের মতো ঘটনা ঘটলে। অথচ সরকারের সিনিয়র নেতারা বলেন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। অন্য দেশের তুলনায় ভালো আছে। দেশে নাকি কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। আলোচনা সভার আগে ‘গুম হওয়া’ ছাত্রদল নেতা চঞ্চলের ৫ বছরের ছেলে আহাদ, ছাত্রদল নেতা সুমনের বোন মারুফা ইসলাম, আবদুল কাদের ভূঁইয়া মাসুমের মা আয়েশা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কাউসারের স্ত্রী মিনু, বংশাল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেনের মেয়ে হৃদি, ছাত্রদল নেতা নিজাম উদ্দিন মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন, সোহানের পিতা মো. শামসুর রহমান, মো. জহিরের মা হোসনে আরা বেগম, খালিদ হাসান সোহলের স্ত্রী সৈয়দা শাম্মী সুলতানা, সেলিম রেজা পিন্টুর ভাই রাজীব হাসান তনু নিখোঁজ স্বজনদের ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যার আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যার দুঃখ তারই ব্যথা

আপডেট টাইম : ১২:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আজ হোক কাল হোক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে ক্ষমতাসীন সরকার পরিবর্তন হবেই। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। মওদুদ আহমদ বলেন, প্রশাসন দিয়ে সরকারের উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনের পদক্ষেপ ‘ভুল পথ’। এর পরিবর্তে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনলে উগ্রবাদ স্তিমিত হয়ে যাবে। তিনি বলেন, সরকার ভুল পথে এগোচ্ছে। তাদের বুঝতে হবে পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। তারা নিজেরাও জানেন, পারবেন না। একটিই পথ আছে, সেটি হচ্ছে দেশে সুষ্ঠুু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। মওদুদ আহমদ বলেন, তাহলে তাদের অ্যাক্টিভিটি কমে যাবে। গণতান্ত্রিক সরকার এলে এগুলো সমাধান হবে। সরকার এককভাবে এটা সমাধান করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা এটি একসেপ্ট করতে পারি না। বিএনপি কোনো জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদে বিশ্বাস করে না। যারা এদের সঙ্গে জড়িত তারা দেশের সুসন্তান না। গণতন্ত্র নেই বলেই ঘটনাগুলো ঘটছে। উগ্রপন্থাকে দমন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মওদুদ আহমদ বলেন, যদি সরকার সত্যিকার অর্থে উগ্রবাদকে দমন করতে চায় তাহলে তাদেরই সমঝোতার উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা সহযোগিতা করবো। যদি না করে, ভাববো জঙ্গিবাদ দমনে আন্তরিক নয় সরকার। তিনি দাবি করে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এটা বন্ধ করতে চাইলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। এর অন্য কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির নিখোঁজ নেতাকর্মীদের স্মরণ করে মওদুদ আহমদ বলেন, এমন কোনো ভাষা নেই যা দিয়ে তাদের দুঃখ মোচন করতে পারবো। এ দুঃখ কীভাবে শেয়ার করি, যার দুঃখ তারই ব্যথা। বিএনপির এই নেতা বলেন, খারাপ লাগে দেশে গুম-অপহরণের মতো ঘটনা ঘটলে। অথচ সরকারের সিনিয়র নেতারা বলেন দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। অন্য দেশের তুলনায় ভালো আছে। দেশে নাকি কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। আলোচনা সভার আগে ‘গুম হওয়া’ ছাত্রদল নেতা চঞ্চলের ৫ বছরের ছেলে আহাদ, ছাত্রদল নেতা সুমনের বোন মারুফা ইসলাম, আবদুল কাদের ভূঁইয়া মাসুমের মা আয়েশা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কাউসারের স্ত্রী মিনু, বংশাল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেনের মেয়ে হৃদি, ছাত্রদল নেতা নিজাম উদ্দিন মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন, সোহানের পিতা মো. শামসুর রহমান, মো. জহিরের মা হোসনে আরা বেগম, খালিদ হাসান সোহলের স্ত্রী সৈয়দা শাম্মী সুলতানা, সেলিম রেজা পিন্টুর ভাই রাজীব হাসান তনু নিখোঁজ স্বজনদের ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যার আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।