ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ২১১ বার

পৌর নির্বাচন নিয়ে যে বিষয়টি গুরুত্ব দেবে বিএনপি তা হচ্ছে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করা। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ কথা জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মনিটরিং কমিটি জেলা-উপজেলার নেতাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান মির্জা ফখরুল। এর আগে স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্রিগেডিয়ার জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সারওয়ারি রহমান, ড. আবদুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পৌর নির্বাচনে নানা অসঙ্গতি নিয়ে ক্ষোভ-বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। দলীয় প্রতীকে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সরকার। আগে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করলেও এবার করেনি। অভিযোগ করে তিনি বলেন, সারাদেশে গণহারে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত ১ মাসে ৫ হাজার নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না। নির্বাচনের দায়িত্বে ইউএনওকে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কারচুপির চিন্তা করে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সভা এসব বিষয়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনিয়ম পরিহার করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বিধিনিষেধ থাকার পরও মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ জন্য কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে। তবে শোকজ যথেষ্ট নয়। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ দেয়া হচ্ছে। সভা এও আশঙ্কা করছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এরপরও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত

আপডেট টাইম : ১২:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

পৌর নির্বাচন নিয়ে যে বিষয়টি গুরুত্ব দেবে বিএনপি তা হচ্ছে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করা। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ কথা জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মনিটরিং কমিটি জেলা-উপজেলার নেতাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান মির্জা ফখরুল। এর আগে স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্রিগেডিয়ার জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সারওয়ারি রহমান, ড. আবদুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পৌর নির্বাচনে নানা অসঙ্গতি নিয়ে ক্ষোভ-বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। দলীয় প্রতীকে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সরকার। আগে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করলেও এবার করেনি। অভিযোগ করে তিনি বলেন, সারাদেশে গণহারে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত ১ মাসে ৫ হাজার নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না। নির্বাচনের দায়িত্বে ইউএনওকে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কারচুপির চিন্তা করে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সভা এসব বিষয়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনিয়ম পরিহার করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বিধিনিষেধ থাকার পরও মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ জন্য কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে। তবে শোকজ যথেষ্ট নয়। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ দেয়া হচ্ছে। সভা এও আশঙ্কা করছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এরপরও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।