‘বাজিরাও মস্তানি’র ট্রেলার লঞ্চ হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। স্কাইপে মন্ট্রিলে প্রিয়াঙ্কা থেকে শুরু করে সঞ্জয় লীলা বনশালি — সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া ইন্টারভিউতে দীপিকা পাড়ুকোন জানাচ্ছেন একান্ত সব অনুভূতি-
গরমকালে ‘পিকু’, শীতকালে ‘বাজিরাও মস্তানি’… ২০১৫টা সহজে ভুলবেন না তো?
(হাসি) মাঝখানে ‘তামাশা’ আছে, সেটা ভুলে যাবেন না। তবে সত্যিই ইট’স বিন ওয়ান অব দ্য বেস্ট ইয়ার্স ফর মি। ‘পিকু’ যে মানুষের এত ভাল লেগেছে, সেটা ভেবেই আমি অভিভূত। তার পর বছরের শেষে সঞ্জয় বনশালির ড্রিম প্রোজেক্টের মেন লিড। আর কী চাইতে পারি বলুন এক বছরে?
একটু ২০০৭-এ নিয়ে যাই আপনাকে?
নিশ্চয়ই…
সে বার ছিল ‘ওম শান্তি ওম’ আর ‘সাওয়ারিয়া’। এক দিকে শাহরুখ, অন্য দিকে বনশালি। এ বারে ‘বাজিরাও..’ আর ‘দিলওয়ালে’ মুখোমুখি। তফাত একটাই, শাহরুখের সেই টিমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার তো এ বার বনশালির দলের স্ট্রাইকার…
(হাসি) ওহ্ দ্যাট ওয়ে!
দেখুন ২০০৭-এ যখন ‘ওম শান্তি ওম’ আর ‘সাওয়ারিয়া’ রিলিজ করেছিল, তখন ভাবতাম বনশালির যে রকম হিরোইন পছন্দ, আমি সেই টাইপের নই। আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিল উনি আমাকে হিরোইন হিসেবে পছন্দ করেন না, কোনও মতেই আমাকে চান্স দেবেন না। একটা স্টেজের পর তাই আর সেটা নিয়ে ভাবতামও না। কিন্তু সেখান থেকে আজকের অনেক তফাত। আমি বনশালির দু-দু’টো ছবির হিরোইন হয়ে গেলাম। ‘রামলীলা’, আর এ বার ‘বাজিরাও মস্তানি’। খুব ব্লেসেড এটুকুই বলব।
বনশালি তো এমনিতে খুব বদরাগী। সেটে সবার সামনে খুব চেঁচামেচি করেন। মোবাইল ছোড়েন। অ্যাডজাস্ট করতেন কী ভাবে?
বাপরে, সে সব আর বলবেন না। ‘রামলীলা’র প্রথম দিনের শ্যুটিংয়ের কথাই বলছি। আমাকে একটা পাতা দেওয়া হল। পুরোটা আমার মোনোলগ। ফুল ওয়ান পেজ। আমি ভাবছি আজ প্রথম দিন, তার পর এত বড় মোনোলগ। আমি বলব কী করে!
ভাবলাম সঞ্জয়স্যরকে বলি ছুটি দিতে। কাল এসে সিন-টা করব। কিন্তু কোথায় কী! সেটে এসে দেখলাম সব রেডি, আর পুরোটা আমার টাইট ক্লোজ আপ-এ ধরা হবে। একে প্রথম দিন, তার পর মোনোলগ, তা-ও কিনা টাইট ক্লোজ আপ-এ। ভেবেছিলাম কী নিষ্ঠুর রে বাবা লোকটা! ঠিক করেই নিয়েছিলাম, আর কোনও দিন এই লোকটার সঙ্গে কাজ করব না।
এই ছবিতে তো রণবীর ‘বাজিরাও’। সবাই জানে পর্দার বাইরে আপনাদের কেমিস্ট্রি । ওঁর সঙ্গে সেট-এ কেমন ছিল কেমিস্ট্রিটা?
আমি আর রণবীর সব ব্যাপারে এগ্রি করি না। প্রচুর ক্ষেত্রে আমাদের ডিফারেন্স অব ওপিনিয়ন হয়। কিন্তু কাজ করতে করতে একটা কেমিস্ট্রি এসেই যায়। যেহেতু পর্দার বাইরেও আমরা খুব ভাল বন্ধু, তাই সেট-এ বুঝতে পারি ও ঠিক কী করতে চলেছে। কিন্তু ওর কিছু জিনিস অদ্ভুত লাগে।
যেমন?
যেমন এই ফিল্মের শ্যুটিংয়ে ও পুরোটা ক্যারেক্টারের মধ্যে ছিল। মানে সেট-এ ও চাইত সবাই ওকে বাজিরাও বা রাও বলে ডাকুক। কেউ রণবীর বললে রেগে যেত! ব্যাপারটা আমার কাছে অসহ্য লাগত। আমি মনে করি ক্যারেক্টারের মধ্যে অত ঢুকে গেলে স্পন্টেনিটিটা চলে যায়। তবে এটা ওর প্রিপারেশন। আমি তাতে ইন্টারফেয়ার করিও না…
‘বাজিরাও…’ তো হল, এ বার বলুন কলকাতায় কবে ফিরছে ‘পিকু’?
(হাসি) খুব খুব শিগগিরি ফিরছে ‘পিকু’, এটুকু বলতে পারি।