ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গত সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৩৬৩ বার

গত কয়েক সপ্তাহজুড়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে পুঁজিবাজারে। এর ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে সূচকের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি বেড়েছে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে বেড়েছে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ও বাজার মূলধন।বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে সব ধরনের মূল্য সূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৩ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৯৬ কোটি ৯ লাখ টাকার।সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭ দশমিক ০১ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৭৪ শতাংশ।এদিকে, ডিএসই ব্রড ইনডেঙ্ বা ডিএসইএঙ্ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৬৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বা ৪২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ১০ শতাংশ বা ২৩ দশমিক ০৮ পয়েন্টে।সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার।সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। আর চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, গেল সপ্তাহে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজার স্থিশীলতায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসইসির সিদ্ধান্ত সমূহকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। এছাড়াও এঙ্পোজার লিমিটের সময় বাড়ানোর খবরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। তারা সক্রিয় হচ্ছেন। ফলে বাজারে লেনদেন বাড়ছে।বিএসইসির গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, গত সোমবার বিএসইসির কমিশন সভায় মার্জিন রুলস, ১৯৯৯-এর ৩ (৫)-এর কার্যকারিতা স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। ফলে ঋণাত্মক ইক্যুইটির হিসাবেও মার্জিন ঋণ গ্রাহকরা লেনদেন করতে পারবেন। এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বা মিউচুয়াল ফান্ডের ক্যাশ ডিভিডেন্ড সিকিউরিটিজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হবে। এছাড়া বিনিয়োগকারীরা রাইট অফার নিতে অপারগ হলে হাউজ কর্তৃপক্ষ সে সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এতে করে বাজারে সেল প্রেসার হবে না। এছাড়া হাউজগুলোর নেগেটিভ ইক্যুইটি কমবে।অন্যদিকে নেগেটিভ ইক্যুটিতে যে ভালো শেয়ার থাকবে সেইগুলো বিক্রি হবে না। এতে নেগেটিভ ইক্যুইটি এক সময়ে পজেটিভ হবে। যেসব কোম্পানি ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেবে সেগুলোতে ক্রয়ের প্রবণতা বাড়বে। সর্বোপরি বাজারে ফোর্স সেলের মাত্রা অনেকটা কমে যাবে। এতে করে আগের মতো করে প্রাণ ফিরে পাবে পুঁজিবাজার তথা হাউজ মালিক ও বিনিয়োগকারীরা।এ প্রসঙ্গে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি সরকারও পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় কাজ করছে। সমপ্রতি ভারত ও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। যা ভবিষৎ পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক। এছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এঙ্পোজার লিমিটের সময় বাড়ানোর উদ্যোগে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা ফিরে এসেছে। এছাড়াও গেল সপ্তাহে ঋণাত্মক ইক্যুইটি লেনদেনের সুযোগ এক বছর বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে যা বাজারের জন্য ইতিবাচক। ফলে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিন ঊর্ধ্বমুখী ছিল আর বাকি একদিন দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এ সময় ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৩ টাকার। আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩১১ কোটি ৯৪ লাখ ৫ হাজার ৩৩৬ টাকা বা ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৭ টাকা।সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে ১৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।অন্যদিকে গেল সপ্তাহে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং সার্বিক সূচক সিএসইএঙ্ বেড়েছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, সিএসই ৫০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং শরিয়াহ সিএসআই সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ০৬ শতাংশ।সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার ৫৮৬ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৫৯ কোটি ৮৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯০ টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গত সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন

আপডেট টাইম : ১২:৩৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

গত কয়েক সপ্তাহজুড়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে পুঁজিবাজারে। এর ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে সূচকের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি বেড়েছে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ। একই সঙ্গে বেড়েছে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ও বাজার মূলধন।বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে সব ধরনের মূল্য সূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩১১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৩ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৯৬ কোটি ৯ লাখ টাকার।সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৭ দশমিক ০১ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৭৪ শতাংশ।এদিকে, ডিএসই ব্রড ইনডেঙ্ বা ডিএসইএঙ্ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৬৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বা ৪২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ১০ শতাংশ বা ২৩ দশমিক ০৮ পয়েন্টে।সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার।সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। আর চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, গেল সপ্তাহে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজার স্থিশীলতায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসইসির সিদ্ধান্ত সমূহকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। এছাড়াও এঙ্পোজার লিমিটের সময় বাড়ানোর খবরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। তারা সক্রিয় হচ্ছেন। ফলে বাজারে লেনদেন বাড়ছে।বিএসইসির গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, গত সোমবার বিএসইসির কমিশন সভায় মার্জিন রুলস, ১৯৯৯-এর ৩ (৫)-এর কার্যকারিতা স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। ফলে ঋণাত্মক ইক্যুইটির হিসাবেও মার্জিন ঋণ গ্রাহকরা লেনদেন করতে পারবেন। এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বা মিউচুয়াল ফান্ডের ক্যাশ ডিভিডেন্ড সিকিউরিটিজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হবে। এছাড়া বিনিয়োগকারীরা রাইট অফার নিতে অপারগ হলে হাউজ কর্তৃপক্ষ সে সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এতে করে বাজারে সেল প্রেসার হবে না। এছাড়া হাউজগুলোর নেগেটিভ ইক্যুইটি কমবে।অন্যদিকে নেগেটিভ ইক্যুটিতে যে ভালো শেয়ার থাকবে সেইগুলো বিক্রি হবে না। এতে নেগেটিভ ইক্যুইটি এক সময়ে পজেটিভ হবে। যেসব কোম্পানি ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেবে সেগুলোতে ক্রয়ের প্রবণতা বাড়বে। সর্বোপরি বাজারে ফোর্স সেলের মাত্রা অনেকটা কমে যাবে। এতে করে আগের মতো করে প্রাণ ফিরে পাবে পুঁজিবাজার তথা হাউজ মালিক ও বিনিয়োগকারীরা।এ প্রসঙ্গে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি সরকারও পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় কাজ করছে। সমপ্রতি ভারত ও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। যা ভবিষৎ পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক। এছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এঙ্পোজার লিমিটের সময় বাড়ানোর উদ্যোগে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা ফিরে এসেছে। এছাড়াও গেল সপ্তাহে ঋণাত্মক ইক্যুইটি লেনদেনের সুযোগ এক বছর বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে যা বাজারের জন্য ইতিবাচক। ফলে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরছে।বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিন ঊর্ধ্বমুখী ছিল আর বাকি একদিন দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এ সময় ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৩ টাকার। আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩১১ কোটি ৯৪ লাখ ৫ হাজার ৩৩৬ টাকা বা ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৭ টাকা।সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে ১৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।অন্যদিকে গেল সপ্তাহে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং সার্বিক সূচক সিএসইএঙ্ বেড়েছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, সিএসই ৫০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং শরিয়াহ সিএসআই সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ০৬ শতাংশ।সপ্তাহে সিএসইতে গড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার ৫৮৬ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৫৯ কোটি ৮৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯০ টাকা।