ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৩২৬ বার

চাঁদপুরে মাসব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় শহরের অঙ্গীকার পাদদেশে জাতীয় ও বিজয় মেলার পতাকা উত্তোলন করে মেলার উদ্বোধন করেন চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

পতাকা উত্তোলনের পর শান্তির প্রতীক পায়রা আকাশে অবমুক্ত করেন। এরপর বিজয় মেলার পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য অঙ্গীকারে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।

শোভাযাত্রা শেষে মেলা মঞ্চে উদ্বোধনী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লক্ষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাকালীন সময়ে আমার বয়স ছিল ছয় বছর। মুক্তিযুদ্ধের বিষয় নিয়ে আমার পরিবারে অনেক কথা হয়েছে সেই স্মৃতি আমার কাছে এখনো স্পষ্ট। যারা আমাদের দেশের প্রকৃত বীরদের মুছে ফেলে দেশ বিরোধীদের সংম্পূর্ণ করা হয়েছে। যে অপশক্তি আমাদের মাঝে জাতিভেদ সৃষ্টি করছে তাদের প্রতি আমাদের সজাগ থাকতে হবে। যারা জাতির জনককে হত্যা করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধাদের হত্যা করেছে তারাই আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের যেন আমরা ক্ষমা না করি। মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের সকল বিতর্কের উর্ধে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকে বিচার নিয়ে একটি চিহ্নিত দেশ ও মহল কথা বলছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় কোনো যুদ্ধ-আইন মানেনি। আজ যুদ্ধাপরাধীদের আইনের মাধ্যমে কোনো কিছুর কাছে মাথা নত না করে শেখ হাসিনা বিচার কাজ করছে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা তিনি কোনো চাপের কাছে মাথা নত করেন না।

দীপু মনি বলেন, যারা যুদ্ধপরাধীদের নিয়ে ক্ষমতায় গেছে তারা যুদ্ধের অনেক দলিল নষ্ট করেছে। যা দেশ-দ্রোহিতার শামিল। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের মেয়ে বলে গণ্য করেছেন তাদের বীরাঙ্গনা নামে তাদের উপাধি দিয়েছিলেন। তারই কন্যা শেখ হাসিনা বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতি ও সম্মান দিয়েছেন। তিনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে বলেন।

তিনি আরও বলেন, আজ দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এ উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে আমাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তুরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমারা যদি ভালো কাজটুকু গ্রহণ করে সকল খারাপ কাজকে পরিহার করি তাহলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

বিজয় মেলার চেয়ারম্যান অ্যাড. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরুল হক বাচ্চু মিয়াজী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, বর্তমান সহ-সভাপতি বিএম হান্নান, সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুলসহ বিজয় মেলার কর্মকর্তাগণ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে

আপডেট টাইম : ০২:৫২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫

চাঁদপুরে মাসব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় শহরের অঙ্গীকার পাদদেশে জাতীয় ও বিজয় মেলার পতাকা উত্তোলন করে মেলার উদ্বোধন করেন চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

পতাকা উত্তোলনের পর শান্তির প্রতীক পায়রা আকাশে অবমুক্ত করেন। এরপর বিজয় মেলার পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য অঙ্গীকারে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।

শোভাযাত্রা শেষে মেলা মঞ্চে উদ্বোধনী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লক্ষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাকালীন সময়ে আমার বয়স ছিল ছয় বছর। মুক্তিযুদ্ধের বিষয় নিয়ে আমার পরিবারে অনেক কথা হয়েছে সেই স্মৃতি আমার কাছে এখনো স্পষ্ট। যারা আমাদের দেশের প্রকৃত বীরদের মুছে ফেলে দেশ বিরোধীদের সংম্পূর্ণ করা হয়েছে। যে অপশক্তি আমাদের মাঝে জাতিভেদ সৃষ্টি করছে তাদের প্রতি আমাদের সজাগ থাকতে হবে। যারা জাতির জনককে হত্যা করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধাদের হত্যা করেছে তারাই আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের যেন আমরা ক্ষমা না করি। মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের সকল বিতর্কের উর্ধে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকে বিচার নিয়ে একটি চিহ্নিত দেশ ও মহল কথা বলছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় কোনো যুদ্ধ-আইন মানেনি। আজ যুদ্ধাপরাধীদের আইনের মাধ্যমে কোনো কিছুর কাছে মাথা নত না করে শেখ হাসিনা বিচার কাজ করছে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা তিনি কোনো চাপের কাছে মাথা নত করেন না।

দীপু মনি বলেন, যারা যুদ্ধপরাধীদের নিয়ে ক্ষমতায় গেছে তারা যুদ্ধের অনেক দলিল নষ্ট করেছে। যা দেশ-দ্রোহিতার শামিল। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের মেয়ে বলে গণ্য করেছেন তাদের বীরাঙ্গনা নামে তাদের উপাধি দিয়েছিলেন। তারই কন্যা শেখ হাসিনা বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতি ও সম্মান দিয়েছেন। তিনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে বলেন।

তিনি আরও বলেন, আজ দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এ উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে আমাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তুরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমারা যদি ভালো কাজটুকু গ্রহণ করে সকল খারাপ কাজকে পরিহার করি তাহলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

বিজয় মেলার চেয়ারম্যান অ্যাড. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরুল হক বাচ্চু মিয়াজী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, বর্তমান সহ-সভাপতি বিএম হান্নান, সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুলসহ বিজয় মেলার কর্মকর্তাগণ।