পাবনার সুগার মিলটি বর্তমানে বন্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। আখের স্বল্পতা, নিজস্ব আখের খামার না থাকা, আখের দাম তুলনামূলক কম দেয়া, রোপা আখ চাষে ভর্তুকির নামে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করা, সঠিক সময়ে মাড়াই শুরু না করা ও কৃষকদের অত্যন্ত নিম্নমানের সার দেয়ার কারণে মিলের করুণ দশা বলে জানা গেছে। ফলে চাষিরা আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মিলটিতে আখ মাড়াই শুরু হচ্ছে ১১ ডিসেম্বর। মিল কর্তৃপক্ষ বলছে ৫ হাজার একর জমির আখ এই মিলে চিনি উৎপাদনের জন্য মাড়াই হবে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিলের একজন সিডিএ বলেন, বাস্তবে ৪ হাজার একর জমিতেও আখ নেই। উপরন্তু পার্শ্ববর্তী নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলটি গত অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখে চালু হওয়ার কারণে সীমান্তবর্তী এলাকার শত শত একর জমির আখ চাষিরা নর্থ বেঙ্গলের কাছে চোরায় পথে বিক্রি করে দিচ্ছে। এজন্য এ মিলটির সঙ্কট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ফলে মাত্র ৪৫ দিনের টার্গেট নিয়ে এই মিল চালু করলেও ১ মাসও চলবে না বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
এদিকে গত মৌসুমে পাবনা সুগার মিলে যে চিনি উৎপন্ন হয়েছে তার খরচ পড়েছে কেজি প্রতি প্রায় ১২৫ টাকা। আর চিনির মিল রেট ছিল ৩৫ টাকা কেজি।
গত ২৭ নভেম্বর চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন মিল সফরে এসে চাষি সমাবেশ করলেও তেমন কোনো লাভ হয়নি। বরং সমস্যার সমাধান না দিয়ে শত শত কৃষকদের উপস্থিতিতে মিলের সিডিএ ও সিআইসিকে অকথ্যভাবে কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এতে কৃষকরা চরম নাখোশ হয়েছে বলে অনেক আখ চাষিই জানিয়েছেন।