ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার ঢল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২০:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ১৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। হাতে ভালোবাসার ফুল, বাহুতে অমর একুশে ২০২০ ও গায়ে বর্ণমালা সম্বলিত জামা, কালো ব্যাজ বা কালো জামা পরে একুশের আবহে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়ররা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকেও বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত, ওআইসি প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য ও ঢাবির শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বাঙালি জাতির সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে বায়ান্ন সালের মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণে প্রাণ দিতে হয়েছে বাংলার সূর্য সন্তানদের। তমদ্দুন মজলিসের হাত ধরে শুরু হওয়া এ আন্দোলন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল অর্জিত হয়। প্রতিবছর বীর বাঙালি ভাষার জন্য রক্ত বিলিয়ে দেওয়া সৈনিকদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার ঢল

আপডেট টাইম : ০৮:২০:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। হাতে ভালোবাসার ফুল, বাহুতে অমর একুশে ২০২০ ও গায়ে বর্ণমালা সম্বলিত জামা, কালো ব্যাজ বা কালো জামা পরে একুশের আবহে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়ররা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকেও বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত, ওআইসি প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য ও ঢাবির শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বাঙালি জাতির সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে বায়ান্ন সালের মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণে প্রাণ দিতে হয়েছে বাংলার সূর্য সন্তানদের। তমদ্দুন মজলিসের হাত ধরে শুরু হওয়া এ আন্দোলন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল অর্জিত হয়। প্রতিবছর বীর বাঙালি ভাষার জন্য রক্ত বিলিয়ে দেওয়া সৈনিকদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।