তীব্র ভূমিকম্পে সৃষ্ট প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে পৃথিবীতে ঘটতে চলেছে মহাপ্রলয়! এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ইরানি বংশোদ্ভূত মার্কিন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মেহরান খোশে।
মেহরান খোশের দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬ থেকে ৮ মাত্রার যেসব ভূমিকম্প হচ্ছে, তা মহাভূমিকম্পের পূর্বাভাস। এসব ভূমিকম্পের মধ্যে রয়েছে অবিনাশী ভূমিকম্পের অশনিসংকেত। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে যেকোনো সময় বিধ্বংসী ভূমিকম্প হতে পারে বিশ্বে, যা সব কিছু তছনছ করে দিতে পারে।
ড. খোশের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী মহাসুনামি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায়। আর তা যদি সত্যি ঘটে যায়, তাহলে এই দুই মহাদেশ লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। গুঁড়িয়ে যাবে আকাশচুম্বি অট্টালিকা, তলিয়ে যাবে বিশাল জনপদ। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে এবং ভূগর্ভে চাপা পড়ে মরবে এসব অঞ্চলের প্রায় চার কোটি মানুষ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কয়েক লাখ মানুষ ‘মহাভূমিকম্প থেকে বাঁচা’ নামে একটি প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেয়। এতে শেখানো হয়, বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কীভাবে উদ্ধারকাজ চালাতে হবে। এই মহড়ায় হাজির হয়ে পরমাণু বিজ্ঞানী খোশে তার ভবিষ্যদ্বাণী করে আমেরিকাবাসীকে সতর্ক করেন।
মহাভূমিকম্পের সতর্কতা নিয়ে গত মাসে ড. খোশের একটি ভিডিও ছাড়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই মহাপ্রলয়ের সূত্রপাত হবে দক্ষিণ আমেরিকায়। রিখটার স্কেলে ১০ থেকে ১৬ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হবে। যার মধ্যে কোনো একটি ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ২৪-এর বেশি হবে। আর এর কম্পনে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে প্রায় দুই কোটি মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
ড. খোশের হুঁশিয়ারিতে রয়েছে চীন ও জাপানের নামও। তার দাবি, মহাভূকিম্পের সম্ভাবনা রয়েছে এই দুই দেশেও। প্রাণহানি ও বিপুল সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হবে চীন ও জাপানে। বিশ্ব অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। মহাবিপর্যয়ে ডুববে মানবজাতি।
তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়াটাইমস অনলাইন।