ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুন:অর্থায়ন তহবিল: ২৫ হাজার বিনিয়োগকারীকে ৬৩৫ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ২৯৬ বার

ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুন:অর্থায়ন তহবিলের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৯৮৮ অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার বিনিয়োগকারীকে ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। তবে চলতি মাস পর্যন্ত অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ ও মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ রি-সিডিউলিংয়ের সুবিধা প্রাপ্তির আবেদন করার সুযোগ রেখেছে ইনভেষ্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। এ সময়ের মধ্যে যারা পুন:অর্থায়ন তহবিলের আওতায় সুদ মওকুফ ও ঋণ রি-সিডিউলিংয়ের সুবিধা নিতে চান তারা সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন বলে আইসিবি সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে তৃতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকার জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়েছে বলে শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র এবং পুন:অর্থায়ন তদারকি কমিটির আহবায়ক মো: সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ আমরা যথাযথভাবে বন্টন করেছি। এখনো আবেদন জমা পড়ছে। আমরা যাচাই-বাছাই করে ঋণ সুবিধা প্রদান করছি। এখন পর্যন্ত ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ৬৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কেউ একাধিবার ঋণ সুবিধা নিয়েছে আবার কাউকে এই সুবিধা প্রাপ্তিতে নাকচ করে দেয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, অগ্রনী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড ও লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ঋণ প্রাপ্তির আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড প্রথম দফায় ৪ হাজার ৩৬২জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা ভোগ করেছে। দ্বিতীয় দফায় প্রতিষ্ঠানটি ৫ হাজার ৭৪৬জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৭ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা নিয়েছে। এছাড়া ব্রাক ইপিএল ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড ২ হাজার ২৮৫জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার, ইনভেষ্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ১ হাজার ৪৮২জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড ৭৯৬জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৪ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা নিয়েছে।
ঋণ সুবিধা প্রাপ্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: গ্রীণল্যান্ড ইক্যুইটিজ, বিএমএসএল ইনভেষ্টমেন্ট, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ, ব্যাঙ্কো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড সিকিউরিটিজ , ফারইষ্ট স্টক অ্যান্ড বন্ড, আইডিএলসি ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড, লঙ্কাবাংলা ইনভেষ্টমেন্ট, সাউথইষ্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, জিএসপি ফাইন্যান্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড, বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড, পিএফআই সিকিউরিটিজ, রিলায়েন্স ব্রোকারেজ সার্ভিসেস লিমিটেড, মিকা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইউনিক্যাপ ইনভেষ্টমেন্টস, প্রাইম ব্যাংক ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড, সার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, পিএলএফএস ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রিমিয়ার লিজিং সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এআইবিএল ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড, এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ফাস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড ঋণ সুবিধা নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৯ আগষ্ট পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সরবরাহ এবং যাবতীয় দলিলাদি সম্পাদন করতে আইসিবিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ২২ আগস্ট অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও আইসিবির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২৬ আগস্ট পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে তদারকি কমিটি গঠন হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫ জন। এর মধ্যে রয়েছেন – বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মহাব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, বিএসইসির পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও আইসিবির উপ-মহাব্যবস্থাপক তারেক নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পুন:অর্থায়ন তহবিল: ২৫ হাজার বিনিয়োগকারীকে ৬৩৫ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ

আপডেট টাইম : ০২:০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫

ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুন:অর্থায়ন তহবিলের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৯৮৮ অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার বিনিয়োগকারীকে ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। তবে চলতি মাস পর্যন্ত অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ ও মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ রি-সিডিউলিংয়ের সুবিধা প্রাপ্তির আবেদন করার সুযোগ রেখেছে ইনভেষ্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। এ সময়ের মধ্যে যারা পুন:অর্থায়ন তহবিলের আওতায় সুদ মওকুফ ও ঋণ রি-সিডিউলিংয়ের সুবিধা নিতে চান তারা সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন বলে আইসিবি সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে তৃতীয় কিস্তির ৩০০ কোটি টাকার জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়েছে বলে শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র এবং পুন:অর্থায়ন তদারকি কমিটির আহবায়ক মো: সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ আমরা যথাযথভাবে বন্টন করেছি। এখনো আবেদন জমা পড়ছে। আমরা যাচাই-বাছাই করে ঋণ সুবিধা প্রদান করছি। এখন পর্যন্ত ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ৬৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কেউ একাধিবার ঋণ সুবিধা নিয়েছে আবার কাউকে এই সুবিধা প্রাপ্তিতে নাকচ করে দেয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, অগ্রনী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড ও লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ঋণ প্রাপ্তির আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ৩৪টি সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড প্রথম দফায় ৪ হাজার ৩৬২জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা ভোগ করেছে। দ্বিতীয় দফায় প্রতিষ্ঠানটি ৫ হাজার ৭৪৬জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৭ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা নিয়েছে। এছাড়া ব্রাক ইপিএল ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড ২ হাজার ২৮৫জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার, ইনভেষ্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ১ হাজার ৪৮২জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড ৭৯৬জন বিনিয়োগকারীর বিপরীতে ৪ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা নিয়েছে।
ঋণ সুবিধা প্রাপ্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: গ্রীণল্যান্ড ইক্যুইটিজ, বিএমএসএল ইনভেষ্টমেন্ট, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ, ব্যাঙ্কো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড সিকিউরিটিজ , ফারইষ্ট স্টক অ্যান্ড বন্ড, আইডিএলসি ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড, লঙ্কাবাংলা ইনভেষ্টমেন্ট, সাউথইষ্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, জিএসপি ফাইন্যান্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড, বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড, পিএফআই সিকিউরিটিজ, রিলায়েন্স ব্রোকারেজ সার্ভিসেস লিমিটেড, মিকা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইউনিক্যাপ ইনভেষ্টমেন্টস, প্রাইম ব্যাংক ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড, সার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এনসিসিবি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, পিএলএফএস ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড, ফিনিক্স সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রিমিয়ার লিজিং সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এআইবিএল ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড, এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ফাস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড ঋণ সুবিধা নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৯ আগষ্ট পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সরবরাহ এবং যাবতীয় দলিলাদি সম্পাদন করতে আইসিবিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ২২ আগস্ট অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও আইসিবির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২৬ আগস্ট পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে তদারকি কমিটি গঠন হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫ জন। এর মধ্যে রয়েছেন – বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মহাব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, বিএসইসির পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও আইসিবির উপ-মহাব্যবস্থাপক তারেক নিজাম উদ্দিন আহমেদ।