হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাজহারুল ইসলাম : ভাটির শার্দূল, ভাটির মাটির খাঁটি বন্ধু, কাদা-জলে মাখামাখি করে বেড়ে উঠা একজন খাঁটি মানুষ। ইটনা, অষ্টগ্রাম আর মিঠামইনের মানুষের হৃদয়ের মণি, হাওরের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তিনি একজন পরম ধৈর্যশীল মানুষ। তাঁর এই ধৈর্যগুণ, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, সততা, সরলতা, উদারতা, মানব-প্রেম, ভালবাসা, অসাম্প্রদায়িকতা আজ তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ আসনে আসীন করেছে। এই মহান ব্যক্তিটি অনেক গুণে গুণান্বিত প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না। ওনারই আলোতেই আজ আমরা কিশোরগঞ্জ-বাসী আলোকিত? তিনি আমাদের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক সংগঠন হাওর অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক পক্ষ থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কে হাওররত্ন সম্মাননায় ভূষিত করেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এর পক্ষে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪(ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার নেলী। আমি আমার হাওর বার্তার পক্ষ থেকে কিশোরগঞ্জ-বাসীর উদ্দেশ্যে বলবো। আমি মনে করি রত্ন গর্ব তিনি নিজ যোগ্যতায় অনেক পূর্বেই অর্জন করেছেন। যদি ও প্রবাদে আছে রত্নকে রাখিতে হয় যত্ন করিয়া। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মত ব্যক্তিরা একবারেই জন্মায় বার বার নয়। উক্ত সংগঠনটির মুখপত্র বার্ষিক ম্যাগাজিন হাওরের হালচাল-এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশনাকে চির স্মরণীয় করে রাখতে প্রকাশনা উৎসব ও হাওর পদক প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় হাওরের আরও তিন কীর্তিমানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, হাওর সমাজসেবায় কিংবদন্তি সমাজসেবক ও র্ব্যাকের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম স্যার ফজলে হাসান আবেদকে হাওর-বন্ধু-২০২০ পদক। হাওর সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদান রাখায় প্রবীণ সাংবাদিক, কলাম লেখক ও বিশ্লেষক জনাব হাসান শাহরিয়ারকে হাওর-বন্ধু-২০২০ পদক এবং হাওরে নারী ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখায় হাওরের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আছিয়া আলমকে হাওর-কন্যা-২০২০ পদক প্রদান করেন। এছাড়া কৃষি-অর্থনীতি বিশ্লেষক ও কলাম লেখক, দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক এস এম মুকুলকে হাওরের হালচাল ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা লেখক-২০২০ পদক প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, হাওরাঞ্চলকে দেশবাসীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত করা, হাওর-পাড়ের মানুষের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ এবং উন্নয়ন সম্ভাবনাকে তুলে ধরার লক্ষ্যে হাওর অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক নামে সামাজিক সংগঠনটি কাজ করছে। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. আবদুল হক। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম, ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান এবং র্ব্যাক-এর সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান জনাব শ্যাম সুন্দর সাহা। অনুষ্ঠানে হাওরের হালচাল ম্যাগাজিনের লেখকদের মধ্যে অনুপম মাহমুদ এবং পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন। সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে কিশোরগঞ্জ বাসীকে অশ্বত্থ করেন, হাওর এখন সরকারের নজরে রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে হাওরের উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। সরকারের এই উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে হাওর-বাসীকে এগিয়ে আসার ও আহ্বান জানান। তারই সাথে হাওর অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ককেও এমন মহতী উদ্ধেগ্যের জন্য আমি ধন্যবাদ জানান। সংগঠনের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা হাওরের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে হাওর-বাসীদের একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে চাই। হাওর অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক সেই কাজটিই করবে।