ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা সড়কে প্রাণ হারালেন ২ মোটরসাইকেল আরোহী গত অর্থবছরে দেশে উৎপাদন ৪২ হাজার টন কমল অত্যধিক তাপপ্রবাহ, নাব্যতা সংকটসহ নদী দূষণে অভ্যন্তরীণ নদী মুখি হচ্ছে না ইলিশ পিরোজপুরে ব্যস্ত সড়কে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে রঙিন কৃষ্ণচূড়া নড়বড়ে কাঠের ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায় শিশুরা হাসনাতকে অভিবাদন জানালেন সারজিস জুলাইকে অস্বীকার করে শান্তিতে থাকার সুযোগ নেই : আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ভাই গ্রেপ্তার শুটিং সেটে মাথায় গুরুতর আঘাত, কেমন আছেন তটিনী পা দিয়ে লিখে হাবিপ্রবি’র ভর্তি পরীক্ষায় মানিকের চমক

পতাকার প্রতি ভালোবাসা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৪৩৮ বার

বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকাই যেন হয়ে যায় বিজয়ের হাতিয়ার ও নিদর্শন। কারো হাতে আবার কারো মাথায় ব্যাজের মতোও থাকে জাতীয় পতাকা। ডিসেম্বর এলেই বাংলাদেশ যেন নতুন করে জেগে ওঠে পতাকার ভালোবাসায়। নানান আকারের পতাকায় ছেয়ে যায় চারদিক। বাসে, রিকশায়, বাসায়, ছাদে এমনকি অফিসের ডেস্কেও শোভা পায় জাতীয় পতাকা।

গৌরবগাঁথা এ বিজয়ের মাসে অনেকের মতো পতাকার লাঠি কাঁধে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন আয়নাল হোসেন (২৭)। সারা বছর অন্য পেশায় থাকলেও ডিসেম্বরে পতাকা বিক্রি করেন। এ মাসে পতাকা কেনার ধুম পড়ে তাই অল্প কয়েকদিনের জন্য এ কাজে নেমে খানিকটা বাড়তি আয়ের সংস্থান করেন আয়নাল।

Flag

গুলশানের ৭৩ নম্বর সড়কের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় শাজাহান মিয়ার কাছে পতাকা বিক্রি করছিলেন আয়নাল। এ সময় জাগো নিউজের ক্যামেরাবন্দি হন তিনি। জানতে চাইলে জাগো নিউজকে আয়নাল বলেন, সারা বছর মুড়ি চানাচুর বিক্রি করেন তিনি। ডিসেম্বর মাস এলেই মুড়ি চানাচুর বিক্রি ছেড়ে পতাকা বিক্রি করেন। ১০ থেকে ১২ দিনের মতো এ কাজ করেন। তারপর আবার আগের নিয়মিত পেশায় ফিরে যান। ৫ বছর ধরে পতাকা বিক্রি করছেন। মাঝে মাঝে মার্চ মাসেও পতাকা হাতে নামেন। এসময় প্রতিদিন ১ হাজার টাকার উপরে লাভ থাকে।

Flag

কাপড়ের পতাকা কেনার সামর্থ্য নেই তাই আয়নালের কাছ থেকে ১০ টাকায় একটি কাগজের পতাকা কিনেছেন শাজাহান মিয়া। অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এই পতাকা আমাদের গৌরব। এটি কিনেছি আমার ছেলে ইব্রাহীমকে দেয়ার জন্য।

শহরে এমন কয়েক হাজার মৌসুমী পতাকা ব্যবসায়ী রয়েছেন। ডিসেম্বরের ১ তারিখ বা প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বিকেল পর্যন্ত চলে মৌসুমী এ ব্যবসা। ১০ থেকে ১৫ দিনে অন্য সময়ে সারা মাসের আয়ের দ্বিগুণ বা তিনগুণ আয় হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

পতাকার প্রতি ভালোবাসা

আপডেট টাইম : ১১:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫

বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকাই যেন হয়ে যায় বিজয়ের হাতিয়ার ও নিদর্শন। কারো হাতে আবার কারো মাথায় ব্যাজের মতোও থাকে জাতীয় পতাকা। ডিসেম্বর এলেই বাংলাদেশ যেন নতুন করে জেগে ওঠে পতাকার ভালোবাসায়। নানান আকারের পতাকায় ছেয়ে যায় চারদিক। বাসে, রিকশায়, বাসায়, ছাদে এমনকি অফিসের ডেস্কেও শোভা পায় জাতীয় পতাকা।

গৌরবগাঁথা এ বিজয়ের মাসে অনেকের মতো পতাকার লাঠি কাঁধে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন আয়নাল হোসেন (২৭)। সারা বছর অন্য পেশায় থাকলেও ডিসেম্বরে পতাকা বিক্রি করেন। এ মাসে পতাকা কেনার ধুম পড়ে তাই অল্প কয়েকদিনের জন্য এ কাজে নেমে খানিকটা বাড়তি আয়ের সংস্থান করেন আয়নাল।

Flag

গুলশানের ৭৩ নম্বর সড়কের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় শাজাহান মিয়ার কাছে পতাকা বিক্রি করছিলেন আয়নাল। এ সময় জাগো নিউজের ক্যামেরাবন্দি হন তিনি। জানতে চাইলে জাগো নিউজকে আয়নাল বলেন, সারা বছর মুড়ি চানাচুর বিক্রি করেন তিনি। ডিসেম্বর মাস এলেই মুড়ি চানাচুর বিক্রি ছেড়ে পতাকা বিক্রি করেন। ১০ থেকে ১২ দিনের মতো এ কাজ করেন। তারপর আবার আগের নিয়মিত পেশায় ফিরে যান। ৫ বছর ধরে পতাকা বিক্রি করছেন। মাঝে মাঝে মার্চ মাসেও পতাকা হাতে নামেন। এসময় প্রতিদিন ১ হাজার টাকার উপরে লাভ থাকে।

Flag

কাপড়ের পতাকা কেনার সামর্থ্য নেই তাই আয়নালের কাছ থেকে ১০ টাকায় একটি কাগজের পতাকা কিনেছেন শাজাহান মিয়া। অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এই পতাকা আমাদের গৌরব। এটি কিনেছি আমার ছেলে ইব্রাহীমকে দেয়ার জন্য।

শহরে এমন কয়েক হাজার মৌসুমী পতাকা ব্যবসায়ী রয়েছেন। ডিসেম্বরের ১ তারিখ বা প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বিকেল পর্যন্ত চলে মৌসুমী এ ব্যবসা। ১০ থেকে ১৫ দিনে অন্য সময়ে সারা মাসের আয়ের দ্বিগুণ বা তিনগুণ আয় হয়।