সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমারও প্রদীপের নিচে অন্ধকার আছে। ধূমপান ও পান-জর্দা বিষয়ে নিজের আসক্তির কথা স্মরণ করে এ মন্তব্য করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আট বছর আগেও যদি আপনারা আমাকে এ ধরনের অনুষ্ঠানে ডাকতেন, আমি লজ্জা পেতাম। কিন্তু এখন এসেছি সাহস নিয়ে। ২০০৮ থেকে এসব কিছু স্পর্শ করি না। বুধবার আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে তামাকবিরোধী নারী জোটের ‘ধোঁয়াহীন তামাকজাত দ্রব্য এবং তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক ‘তাবিনাজ সম্মেলনে’ এসব কথা বলেন তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেকে নতুন আইন করার কথা বলেন। দায়সারা আইন করে লাভ নেই। যত আইন আছে তার কোনো প্রয়োগ নেই। যে আইন রয়েছে সেটিই কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, ফেসবুকে দেখেছি, ইদানীং ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের ৮০-৯০ শতাংশই সিগারেট খায়। নতুন একটা জিনিস দেখছি, শিশা। হুক্কার মতো দেখতে, রেস্টুরেন্টে এগুলো লুকিয়ে বিক্রি করে। শিশা গ্রহণের প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে তুলনামূলক বেশি। দিনব্যাপী এ সম্মেলনের মুখ্য আলোচক ছিলেন ‘ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস’ এর দক্ষিণ এশিয়ার প্রোগ্রাম পরিচালক বন্দনা শাহ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহিন আহমেদ চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, তাবিনাজের আহ্বায়ক ফরিদা আখতার প্রমুখ।
সংবাদ শিরোনাম