ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীত উপেক্ষা করে চাষে ব্যস্ত কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৪১ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলায় একযোগে শুরু হয়েছে বোরো চাষে কৃষকের কর্ম ব্যস্ততা। কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে তারা মাঘ মাসের তীব্র শীত উপেক্ষা করে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন।
জমি তৈরি, হালচাষ, বোরো ধানচারা বীজতলা থেকে উঠানো, বোরো ধান চারা জমিতে রোপণের মতো কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তারা।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও বাজারে কৃষি উপকরণ সার, তেল সংকট সৃষ্টি না হলে ইরি-বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না। এমনটি মনে করছেন এখানকার কৃষক।

স্থানীয় কৃষক অছিউদ্দিন মিয়া বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে বোরো চাষ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। বীজতলা একটু নষ্টের উপক্রম হলেও মাঘ মাসের ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো ধান চারা রোপণে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে আমার। বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো ও সার তেলসহ কৃষি উপকরণের সমস্যা না হলে ফলন ভালো হওয়ার আশা করছি।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ঠান্ডা উপক্ষো করেও আড়াই বিঘা জমিতে আমি শুরু করেছি বোরো চাষ। ফসল যাতে ভালো হয় আমি সে চেষ্টাই চালাচ্ছি।

কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুরের কৃষকরাও ঘরে বসে নেই। এ অঞ্চলের কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

রৌমারী উপজেলাটি নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল। গত বছর প্রবল বন্যা হওয়ায় জমিতে কিছুটা পলিমাটি ও ময়লা আবর্জনা পচে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এবার বোরোর ভালো ফলনের আশা করছেন এখানকার কৃষক।

রৌমারী উপজেলার মানুষ একমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে নেই শিল্প কারখানা। কৃষি জমিগুলোতে ভালো ফসল হয়। এখানে ইরি-বোরো পাশাপাশি সরিষা, গম, আখ, বাদাম, কাউন, চিনা, তিল, তিসিসহ নানা জাতের ফসল ফলে। তবে এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ বোরো উৎপাদিত হয়।

কৃষক কাজিমুদ্দিন বলেন, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকার কৃষক। এখানে বর্ষায় বন্যাকবলিত হয়ে থাকি। এ সময় ধানচাষ করার ইচ্ছা থাকলেও তা পারি না। এবার শীত মৌসুমে বোরো চাষে মনোনিবেশ করেছি। ১১ বিঘা জমিতে আমার বোরো চাষের চেষ্টা চলছে। বাজারে কৃষি উপকরণ সার, তেল সংকট সৃষ্টি না হলে ফসল ভালো হবে।

রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছরে রৌমারীতে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিমল কুমার দে ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলাসহ নয়টি উপজেলায় একযোগে শুরু হয়েছে বোরো ধান চাষের কর্ম ব্যস্ততা। নয়টি উপজেলায় এবার ২ লাখ ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হওয়ার আশা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শীত উপেক্ষা করে চাষে ব্যস্ত কৃষক

আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলায় একযোগে শুরু হয়েছে বোরো চাষে কৃষকের কর্ম ব্যস্ততা। কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে তারা মাঘ মাসের তীব্র শীত উপেক্ষা করে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন।
জমি তৈরি, হালচাষ, বোরো ধানচারা বীজতলা থেকে উঠানো, বোরো ধান চারা জমিতে রোপণের মতো কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তারা।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও বাজারে কৃষি উপকরণ সার, তেল সংকট সৃষ্টি না হলে ইরি-বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না। এমনটি মনে করছেন এখানকার কৃষক।

স্থানীয় কৃষক অছিউদ্দিন মিয়া বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে বোরো চাষ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। বীজতলা একটু নষ্টের উপক্রম হলেও মাঘ মাসের ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো ধান চারা রোপণে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে আমার। বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো ও সার তেলসহ কৃষি উপকরণের সমস্যা না হলে ফলন ভালো হওয়ার আশা করছি।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ঠান্ডা উপক্ষো করেও আড়াই বিঘা জমিতে আমি শুরু করেছি বোরো চাষ। ফসল যাতে ভালো হয় আমি সে চেষ্টাই চালাচ্ছি।

কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুরের কৃষকরাও ঘরে বসে নেই। এ অঞ্চলের কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

রৌমারী উপজেলাটি নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল। গত বছর প্রবল বন্যা হওয়ায় জমিতে কিছুটা পলিমাটি ও ময়লা আবর্জনা পচে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এবার বোরোর ভালো ফলনের আশা করছেন এখানকার কৃষক।

রৌমারী উপজেলার মানুষ একমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে নেই শিল্প কারখানা। কৃষি জমিগুলোতে ভালো ফসল হয়। এখানে ইরি-বোরো পাশাপাশি সরিষা, গম, আখ, বাদাম, কাউন, চিনা, তিল, তিসিসহ নানা জাতের ফসল ফলে। তবে এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ বোরো উৎপাদিত হয়।

কৃষক কাজিমুদ্দিন বলেন, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকার কৃষক। এখানে বর্ষায় বন্যাকবলিত হয়ে থাকি। এ সময় ধানচাষ করার ইচ্ছা থাকলেও তা পারি না। এবার শীত মৌসুমে বোরো চাষে মনোনিবেশ করেছি। ১১ বিঘা জমিতে আমার বোরো চাষের চেষ্টা চলছে। বাজারে কৃষি উপকরণ সার, তেল সংকট সৃষ্টি না হলে ফসল ভালো হবে।

রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছরে রৌমারীতে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিমল কুমার দে ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলাসহ নয়টি উপজেলায় একযোগে শুরু হয়েছে বোরো ধান চাষের কর্ম ব্যস্ততা। নয়টি উপজেলায় এবার ২ লাখ ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হওয়ার আশা করছি।