ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদেশী সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষায় দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে স্থানীয় প্রতিনিধি , বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সংশিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতরাতে কুয়াকাটা ও কলাপাড়া উপজেলা সফরকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় এ আহবান জানান প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট বলেন, “আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে বেশীরভাগ সাংস্কৃতিক সংগঠন বিদেশী সংস্কৃতির পাশাপাশি খ্যাতিমান শিল্পীদের এনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তবে আমাদের এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে এবং আমাদের দীর্ঘকালের স্থানীয় সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের লালনকে জোরদার করতে হবে।”

আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন,এই সংস্কৃতি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে বিভিন্নভাবে গ্রাস করছে। এর এই আকাশ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে আমাদের।

“আপনারা যেভাবে দেশীয় সংস্কৃতির আবহে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তা দেখে আমি খুবই আনন্দিত” এ কথা উলেøখ করে আবদুল হামিদ বলেন, এই অনুষ্ঠানে কেবল স্থানীয় শিল্পীরা তাদের সংগীত, নৃত্য ও পুতুল নাচের মাধ্যমে যে পরিবেশনা তুলে ধরেছেন আমি তা আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেছি।

প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের রয়েছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং তা তুলে ধরা দরকার।” সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে বিশেষ করে পটুয়াখালীর রাখাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে প্রেসিডেন্ট সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রেসিডেন্ট কুয়াকাটা ও আশপাশের এলাকার অধিবাসীদের এখানে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করার আহবান জানান। আবদুল হামিদ বলেন, “দেশে মিশ্র সংস্কৃতির ধারা অব্যাহত রাখতে এখানে বসবাসকারী রাখাইন জনগোষ্ঠীর প্রতি পূর্ণ মনযোগ দিতে হবে অন্যথায় বাংলদেশে বিদ্যমান শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিকাশ পূর্ণতা পাবে না।”

প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে একত্রে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানমসহ পরিবারের সদস্য,সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান, প্রেসিডেন্টর সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, সিনিয়র বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট দুই দিনের সফরে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় কুয়াকাটা এবং দুমকি উপজেলার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিএসটিইউ) সফরে রয়েছেন। আজ বিকালে প্রেসিডেন্ট পিএসটিইউ’র দ্বিতীয় সমাবর্তনে যোগ দেবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আপডেট টাইম : ০৭:০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদেশী সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষায় দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে স্থানীয় প্রতিনিধি , বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সংশিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। গতরাতে কুয়াকাটা ও কলাপাড়া উপজেলা সফরকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় এ আহবান জানান প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট বলেন, “আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে বেশীরভাগ সাংস্কৃতিক সংগঠন বিদেশী সংস্কৃতির পাশাপাশি খ্যাতিমান শিল্পীদের এনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তবে আমাদের এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে এবং আমাদের দীর্ঘকালের স্থানীয় সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের লালনকে জোরদার করতে হবে।”

আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন,এই সংস্কৃতি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে বিভিন্নভাবে গ্রাস করছে। এর এই আকাশ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে আমাদের।

“আপনারা যেভাবে দেশীয় সংস্কৃতির আবহে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তা দেখে আমি খুবই আনন্দিত” এ কথা উলেøখ করে আবদুল হামিদ বলেন, এই অনুষ্ঠানে কেবল স্থানীয় শিল্পীরা তাদের সংগীত, নৃত্য ও পুতুল নাচের মাধ্যমে যে পরিবেশনা তুলে ধরেছেন আমি তা আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেছি।

প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের রয়েছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং তা তুলে ধরা দরকার।” সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে বিশেষ করে পটুয়াখালীর রাখাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে প্রেসিডেন্ট সন্তোষ প্রকাশ করেন।

প্রেসিডেন্ট কুয়াকাটা ও আশপাশের এলাকার অধিবাসীদের এখানে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করার আহবান জানান। আবদুল হামিদ বলেন, “দেশে মিশ্র সংস্কৃতির ধারা অব্যাহত রাখতে এখানে বসবাসকারী রাখাইন জনগোষ্ঠীর প্রতি পূর্ণ মনযোগ দিতে হবে অন্যথায় বাংলদেশে বিদ্যমান শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিকাশ পূর্ণতা পাবে না।”

প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে একত্রে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানমসহ পরিবারের সদস্য,সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান, প্রেসিডেন্টর সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, সিনিয়র বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট দুই দিনের সফরে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় কুয়াকাটা এবং দুমকি উপজেলার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিএসটিইউ) সফরে রয়েছেন। আজ বিকালে প্রেসিডেন্ট পিএসটিইউ’র দ্বিতীয় সমাবর্তনে যোগ দেবেন।