হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে চলতি মৌসুমে বোরা ধান আবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা জমিতে হাল চাষ, সেচ পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণে এখন এক প্রকার দিনভর ব্যস্ত সময় পার করছেন ।
গত আমন মৌসুমে ধানের ফলন ও বিক্রিতে ভাল দাম পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা খুবই খুশি। তাই তারা বোরো ধান আবাদে মাঠে নেমে কাজ করছেন। আমনের চাইতে চলতি বোরো আবাদে জমিতে ফলন ভাল করতে সর্বাত্তক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো চাষ আবাদে প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। রোপণ করা জমির মধ্যে উন্নতফলনশীল বীজসহ বিভিন্ন রকমের বীজ রয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ, আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, ধরখার ইউপি ও পৌর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধান আবাদে জমি প্রস্তুত, চারা উত্তোলন ও রোপণের কাজে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে বোরো চাষ আবাদে শ্রমিক সংকট থাকায় মজুরিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে বেশ কয়েক দিন ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত থাকায় বীজ তলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় কৃষকরা এক প্রকার চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে কৃষি বিভাগ থেকে আক্রান্ত বীজ তলা রক্ষায় সার্বিক ভাবে পরামর্শ দেয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
উপজেলার মোগড়া ইউপির নুনাসার কৃষক মো. জিলন মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হবে। এরই মধ্যে ছয় বিঘা জমিতে ধান চারা লাগানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রচণ্ড শীত থাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ার অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে জমিতে কাজ করতে হচ্ছে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি জমিগুলোতে চারা রোপণের কাজ শেষ হবে।
দক্ষিণ ইউপির সাতপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়া জানান, ১৫ বিঘা জমির মধ্যে এ পযর্ন্ত ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চারা লাগানো হয়।
পৌর শহরের তারাগন এলাকার মো. আলম খাঁ বলেন, এ মৌসুমে ১০ বিঘা জমি আবাদ করা হয়। গত মৌসুমে আমন চাষে জমিতে ভাল ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বিক্রিতে ও ভাল দাম পেয়েছেন। তাই ফলন আরো ভাল করতে জমিতে পরিশ্রম করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, শীতের কারণে বোরো আবাদ পিছিয়ে নেই। স্থানীয় কৃষকরা পুরোদমে বোরো ধান আবাদ শুরু করেছেন। শেষ পযর্ন্ত আবহাওয়া অনুকূলে এবং সেচ ব্যবস্থা ঠিকমতো ভাল থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।