ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওবামা পরিবারকে সৌদি বাদশার ১০ কোটির উপহার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩৩৮ বার

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার পরিবার প্রায়ই বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে মূল্যবান ও বিরল উপহার সামগ্রী পেয়ে থাকেন। এবার তারই ধারবাহিকতায় সৌদি বাদশাহও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মূল্যবান উপহার সামগ্রী দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করেছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার পরিবারকে যেসব উপহার সামগ্রী দিচ্ছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা, সেসব উপহার সামগ্রী কেমন এবং তার মূল্য কতো হতে পারে তা নিয়ে কৌতূহল থাকতে পারে সকলের মাঝেই। ২০১৪ সালে সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার পরিবারকে যেসব উপহার সামগ্রী দিয়েছেন সেসবের বর্ণনা ও মূল্য সম্পর্কে ধারণা পাঠকের কিছুটা হলেও কৌতূহল মিটাতে পারে। শুধুমাত্র ২০১৪ সালেই সৌদি বাদশাহ প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তার পরিবারকে ১.৩৫ মিলিয়ন ডলার বা ১০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে যেই উপহারটি দেয়া হয়েছিল তা স্বর্ণ ও রৌপ্য মোড়ানো লেদার ব্যান্ডের দুটি হাতঘড়ি যার বাজারমূল্য মান ১৮,৪০০ ডলার বা ১৪ লক্ষ টাকা। একই বছরের এপ্রিলে আরেকটি স্বর্ণের হাতঘড়ি পাঠানো হয়েছে যার মূল্য বাংলাদেশি টাকার ৫১ লক্ষ। এর সাথেই অত্যন্ত মূল্যবান মার্বেল পাথরের উপরে স্বর্ণনির্মিত ও অতি মূল্যবান সবুজ পাথর খচিত ৪৮ ইঞ্চি উচ্চতার বিখ্যাত মক্কা ঘড়ির একটি রেপ্লিকা পাঠিয়েছেন, যার মূল্য ৪৪ লক্ষ টাকা, যেই টাকায় একটি মধ্যবিত্ত আমেরিকান পরিবার সারা বছর চলতে পারে। এছাড়াও ওবামাকে একটি রিস্ট ব্যান্ডের, অত্যন্ত মূল্যবান হোয়াইট গোল্ডের কোর্টপিন ও স্বর্ণ মোড়ানো কলম উপহার দেয়া হয়। এসবের বাজারমূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এ গুলো গেল বারাক ওবামাকে দেয়া উপহারের তালিকা। তাহলে এবার মিশেল ওবামা এবং তার দুই মেয়েকে পাঠানো উপহারের বর্ণনা শোনা যাক। প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি বারাক ওবামাকে হাতঘড়ি পাঠিয়েছিলেন আর তার স্ত্রী মিশেলের জন্য পাঠিয়েছিলেন মূল্যবান হিরা ও পান্নার নেকলেস, দুর্লভ হোয়াইট গোল্ডের কানের দুল, হাতের রিং ও ব্রেসলেট। এসবের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ৪ কোটি ৩২ লাখ। একই বছরের এপ্রিলে তিনি একই রকম আরেকটি গহনার সেট পেয়েছিলেন যেটি অত্যন্ত দুর্লভ প্রকৃতির রুবি দিয়ে তৈরি। যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লক্ষ। প্রেসিডেন্ট ওবামার দুই মেয়ে মালিয়া ও শাসাও সৌদি বাদশাহর উপহার তালিকা থেকে বাদ যাননি। ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি তারা হিরা ও পান্নার কানের দুল, নেকলেস, হাতের রিং, হাতঘড়ি, ব্রেসলেট ইত্যাদি উপহার স্বরূপ পেয়েছেন। এসবের মূল্য প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা। বহুমূল্য এসব উপহারসামগ্রী কূটনীতিতে কম হলেও কিছু ভূমিকা পালন করে। শুধু বাদশা আবদুল্লাহই নন, বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন বাদশাহরা তাদের সময়ের হোয়াইট হাউজের বাসিন্দাদের মূল্যবান ও বিরল উপহার সামগ্রী পাঠিয়ে মুগ্ধ করেছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অবারিত করে দেয়ার পাশাপাশি নিজেরাও মার্কিন কর্তাব্যক্তিদের মনোরঞ্জনে নানাভাবে চেষ্টা করছেন তাদের পিতৃপ্রদত্ত রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য। এসবের কারণ একটাই। আর তা হচ্ছে- সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকলে সাধ্য কার রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার?

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ওবামা পরিবারকে সৌদি বাদশার ১০ কোটির উপহার

আপডেট টাইম : ১০:৪০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার পরিবার প্রায়ই বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে মূল্যবান ও বিরল উপহার সামগ্রী পেয়ে থাকেন। এবার তারই ধারবাহিকতায় সৌদি বাদশাহও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মূল্যবান উপহার সামগ্রী দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করেছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার পরিবারকে যেসব উপহার সামগ্রী দিচ্ছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা, সেসব উপহার সামগ্রী কেমন এবং তার মূল্য কতো হতে পারে তা নিয়ে কৌতূহল থাকতে পারে সকলের মাঝেই। ২০১৪ সালে সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার পরিবারকে যেসব উপহার সামগ্রী দিয়েছেন সেসবের বর্ণনা ও মূল্য সম্পর্কে ধারণা পাঠকের কিছুটা হলেও কৌতূহল মিটাতে পারে। শুধুমাত্র ২০১৪ সালেই সৌদি বাদশাহ প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তার পরিবারকে ১.৩৫ মিলিয়ন ডলার বা ১০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে যেই উপহারটি দেয়া হয়েছিল তা স্বর্ণ ও রৌপ্য মোড়ানো লেদার ব্যান্ডের দুটি হাতঘড়ি যার বাজারমূল্য মান ১৮,৪০০ ডলার বা ১৪ লক্ষ টাকা। একই বছরের এপ্রিলে আরেকটি স্বর্ণের হাতঘড়ি পাঠানো হয়েছে যার মূল্য বাংলাদেশি টাকার ৫১ লক্ষ। এর সাথেই অত্যন্ত মূল্যবান মার্বেল পাথরের উপরে স্বর্ণনির্মিত ও অতি মূল্যবান সবুজ পাথর খচিত ৪৮ ইঞ্চি উচ্চতার বিখ্যাত মক্কা ঘড়ির একটি রেপ্লিকা পাঠিয়েছেন, যার মূল্য ৪৪ লক্ষ টাকা, যেই টাকায় একটি মধ্যবিত্ত আমেরিকান পরিবার সারা বছর চলতে পারে। এছাড়াও ওবামাকে একটি রিস্ট ব্যান্ডের, অত্যন্ত মূল্যবান হোয়াইট গোল্ডের কোর্টপিন ও স্বর্ণ মোড়ানো কলম উপহার দেয়া হয়। এসবের বাজারমূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এ গুলো গেল বারাক ওবামাকে দেয়া উপহারের তালিকা। তাহলে এবার মিশেল ওবামা এবং তার দুই মেয়েকে পাঠানো উপহারের বর্ণনা শোনা যাক। প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি বারাক ওবামাকে হাতঘড়ি পাঠিয়েছিলেন আর তার স্ত্রী মিশেলের জন্য পাঠিয়েছিলেন মূল্যবান হিরা ও পান্নার নেকলেস, দুর্লভ হোয়াইট গোল্ডের কানের দুল, হাতের রিং ও ব্রেসলেট। এসবের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ৪ কোটি ৩২ লাখ। একই বছরের এপ্রিলে তিনি একই রকম আরেকটি গহনার সেট পেয়েছিলেন যেটি অত্যন্ত দুর্লভ প্রকৃতির রুবি দিয়ে তৈরি। যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লক্ষ। প্রেসিডেন্ট ওবামার দুই মেয়ে মালিয়া ও শাসাও সৌদি বাদশাহর উপহার তালিকা থেকে বাদ যাননি। ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি তারা হিরা ও পান্নার কানের দুল, নেকলেস, হাতের রিং, হাতঘড়ি, ব্রেসলেট ইত্যাদি উপহার স্বরূপ পেয়েছেন। এসবের মূল্য প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা। বহুমূল্য এসব উপহারসামগ্রী কূটনীতিতে কম হলেও কিছু ভূমিকা পালন করে। শুধু বাদশা আবদুল্লাহই নন, বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন বাদশাহরা তাদের সময়ের হোয়াইট হাউজের বাসিন্দাদের মূল্যবান ও বিরল উপহার সামগ্রী পাঠিয়ে মুগ্ধ করেছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অবারিত করে দেয়ার পাশাপাশি নিজেরাও মার্কিন কর্তাব্যক্তিদের মনোরঞ্জনে নানাভাবে চেষ্টা করছেন তাদের পিতৃপ্রদত্ত রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য। এসবের কারণ একটাই। আর তা হচ্ছে- সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকলে সাধ্য কার রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার?