ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯ মাস কঠিন অনুশীলন করেছি, এখন ভালো করতে পারব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০
  • ১৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র হিসেবে ৯ মাস দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাকে ‘ওয়ার্মআপ’ হিসেবে দেখছেন আতিকুল ইসলাম। বললেন, ‘এই ৯ মাস কঠিন অনুশীলন করেছি, এবার জিততে পারলে ভালো টেস্ট খেলতে পারব।’ ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।বুধবার ইত্তেফাকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘যে কোনো খেলায় ভালো করার জন্য ভালো অনুশীলন খুব দরকার। উপনির্বাচনে মেয়র হয়ে ৯ মাসে আমার সেই অনুশীলনটা হয়েছে।’

আর এক দিন বাদেই ভোট, প্রচারণা শেষ হতে কয়েক ঘণ্টা বাকি, এতদিনের প্রচারণায় নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? এই প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসিতে মেয়র পদে ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচারণা প্রায় শেষ। সাধারণ মানুষ, ভোটার, নেতা-কর্মী-সমর্থক, তরুণ-তরুণীসহ সর্বস্তরের মানুষের এমন উচ্ছ্বাস কখনো দেখিনি। যেখানেই যাচ্ছি মানুষের ঢল নামছে। একটা বিষয় বুঝতে পারছি, মানুষ একটা সুন্দর ও নিরাপদ শহর চায়। তাদের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। যিনিই মেয়র নির্বাচিত হোন না কেন, নগরবাসীর এই প্রত্যাশার কারণে মেয়রের দায়িত্ব অনেক গুণ বেড়ে যাবে। একটি দলের প্রার্থী হয়েও আমি চাই একটি সুন্দর পরিবেশে অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ভোট হোক। ভোটাররা যাকে খুশি তাকেই ভোট দিক। এখন পর্যন্ত সামগ্রিক পরিবেশে আমি সন্তুষ্ট। বিশ্বাস করি, একটা ভালো নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’

মেয়র পদে আপনার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তাবিথ আউয়াল প্রতিদিনই আপনার পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করছেন। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে আপনি একধরনের বাড়তি সুযোগ ও নির্বিঘ্ন সহায়ক পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছেন—এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? উত্তরে আতিক বলেন, ‘এটা একেবারেই অন্যায় কথা। আমি মিডিয়ার ভাইদের অনুরোধ করব, আপনার নিজেরা মাঠে এসে যাচাই করে দেখুন এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি আছে কি না। গুলশান, মিরপুর, উত্তরখানসহ যেখানেই যাবেন দেখবেন ভাতিজা তাবিথের অনেক-অনেক-অনেক পোস্টার। সেই তুলনায় আমার পোস্টারের সংখ্যা অতি নগণ্য। এতে কি প্রমাণ হয় না যে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে? সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্বাধীনভাবে নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জনগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবকিছু করছেন, দেখছেন।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের বিষয়ে বিএনপিসহ কারো কারো আপত্তি ও সন্দেহের বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকের জবাব, ‘ইভিএমে না ব্যালটে, কোন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাংবিধানিক এক্তিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। ইসি যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই আমাদের মানতে হবে। একসময় আমরা মোবাইল ফোনের ব্যবহার জানতাম না, এখন আমরা সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছি। আমরা যদি মোবাইল ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ইভিএমও ব্যবহার করতে শিখব।’

দক্ষিণের মতো ঢাকা উত্তরেও ১৮টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলোকেও সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে রাজধানীর পুরোনো ওয়ার্ডগুলোর সমতায় আনতে আপনার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে আতিক বলেন, ‘আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য গুলশান-বনানী এলাকার মতো সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নকাজের বিষয়ে ইতিমধ্যে ফাইল খোলা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা প্রশস্ত; ফুটপাত, ড্রেন ও সড়কবাতি স্থাপন করা হবে। ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ফাইলের সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষা।’

পুনরায় মেয়র হলে ডিএনসিসিকে নিয়ে নিজের পরিকল্পনার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়র হিসেবে ৯ মাস দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার আলোকে সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা—এই তিন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ডিএনসিসিকে সাজানোর অঙ্গীকার করেছি আমি ইশতেহারে। উন্নত বিশ্বের মতো বছরব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম চালানো, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নারীদের জন্য নিরাপদ নগরী, দখলমুক্ত নগরী, দূষণ রোধ, আধুনিক পরিবহনব্যবস্থা, নিরাপদ সড়ক, ছিন্নমূল পুনর্বাসন, অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধান, অনলাইনে সেবা প্রদান এবং ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। আর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে আমি জনতার মুখোমুখি হবো বলেও ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছি।’

গত বছর উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন, সেগুলো কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন ৯ মাসে? তিনি বলেন, ‘ঐ ইশতেহারের অধিকাংশ কাজই ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সেটির ধারাবাহিকতা রেখেই এবারের ইশতেহার দিয়েছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৯ মাস কঠিন অনুশীলন করেছি, এখন ভালো করতে পারব

আপডেট টাইম : ০৮:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র হিসেবে ৯ মাস দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাকে ‘ওয়ার্মআপ’ হিসেবে দেখছেন আতিকুল ইসলাম। বললেন, ‘এই ৯ মাস কঠিন অনুশীলন করেছি, এবার জিততে পারলে ভালো টেস্ট খেলতে পারব।’ ডিএনসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।বুধবার ইত্তেফাকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘যে কোনো খেলায় ভালো করার জন্য ভালো অনুশীলন খুব দরকার। উপনির্বাচনে মেয়র হয়ে ৯ মাসে আমার সেই অনুশীলনটা হয়েছে।’

আর এক দিন বাদেই ভোট, প্রচারণা শেষ হতে কয়েক ঘণ্টা বাকি, এতদিনের প্রচারণায় নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? এই প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসিতে মেয়র পদে ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচারণা প্রায় শেষ। সাধারণ মানুষ, ভোটার, নেতা-কর্মী-সমর্থক, তরুণ-তরুণীসহ সর্বস্তরের মানুষের এমন উচ্ছ্বাস কখনো দেখিনি। যেখানেই যাচ্ছি মানুষের ঢল নামছে। একটা বিষয় বুঝতে পারছি, মানুষ একটা সুন্দর ও নিরাপদ শহর চায়। তাদের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। যিনিই মেয়র নির্বাচিত হোন না কেন, নগরবাসীর এই প্রত্যাশার কারণে মেয়রের দায়িত্ব অনেক গুণ বেড়ে যাবে। একটি দলের প্রার্থী হয়েও আমি চাই একটি সুন্দর পরিবেশে অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ভোট হোক। ভোটাররা যাকে খুশি তাকেই ভোট দিক। এখন পর্যন্ত সামগ্রিক পরিবেশে আমি সন্তুষ্ট। বিশ্বাস করি, একটা ভালো নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’

মেয়র পদে আপনার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তাবিথ আউয়াল প্রতিদিনই আপনার পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করছেন। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে আপনি একধরনের বাড়তি সুযোগ ও নির্বিঘ্ন সহায়ক পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছেন—এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? উত্তরে আতিক বলেন, ‘এটা একেবারেই অন্যায় কথা। আমি মিডিয়ার ভাইদের অনুরোধ করব, আপনার নিজেরা মাঠে এসে যাচাই করে দেখুন এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি আছে কি না। গুলশান, মিরপুর, উত্তরখানসহ যেখানেই যাবেন দেখবেন ভাতিজা তাবিথের অনেক-অনেক-অনেক পোস্টার। সেই তুলনায় আমার পোস্টারের সংখ্যা অতি নগণ্য। এতে কি প্রমাণ হয় না যে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে? সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্বাধীনভাবে নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জনগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবকিছু করছেন, দেখছেন।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের বিষয়ে বিএনপিসহ কারো কারো আপত্তি ও সন্দেহের বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকের জবাব, ‘ইভিএমে না ব্যালটে, কোন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাংবিধানিক এক্তিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। ইসি যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই আমাদের মানতে হবে। একসময় আমরা মোবাইল ফোনের ব্যবহার জানতাম না, এখন আমরা সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছি। আমরা যদি মোবাইল ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ইভিএমও ব্যবহার করতে শিখব।’

দক্ষিণের মতো ঢাকা উত্তরেও ১৮টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলোকেও সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে রাজধানীর পুরোনো ওয়ার্ডগুলোর সমতায় আনতে আপনার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে আতিক বলেন, ‘আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য গুলশান-বনানী এলাকার মতো সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নকাজের বিষয়ে ইতিমধ্যে ফাইল খোলা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা প্রশস্ত; ফুটপাত, ড্রেন ও সড়কবাতি স্থাপন করা হবে। ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ফাইলের সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষা।’

পুনরায় মেয়র হলে ডিএনসিসিকে নিয়ে নিজের পরিকল্পনার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়র হিসেবে ৯ মাস দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার আলোকে সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা—এই তিন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ডিএনসিসিকে সাজানোর অঙ্গীকার করেছি আমি ইশতেহারে। উন্নত বিশ্বের মতো বছরব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম চালানো, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নারীদের জন্য নিরাপদ নগরী, দখলমুক্ত নগরী, দূষণ রোধ, আধুনিক পরিবহনব্যবস্থা, নিরাপদ সড়ক, ছিন্নমূল পুনর্বাসন, অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধান, অনলাইনে সেবা প্রদান এবং ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। আর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে আমি জনতার মুখোমুখি হবো বলেও ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছি।’

গত বছর উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন, সেগুলো কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন ৯ মাসে? তিনি বলেন, ‘ঐ ইশতেহারের অধিকাংশ কাজই ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সেটির ধারাবাহিকতা রেখেই এবারের ইশতেহার দিয়েছি।