ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিটি সেবা সম্প্রসারণ ও স্কুল নির্মাণে অগ্রাধিকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০১৫
  • ৩৬২ বার

বিদ্যালয়সমূহে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন বাজেটে উপবৃত্তি প্রকল্পসহ প্রতি উপজেলায় একটি করে মডেল স্কুল নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ঝরে পড়া রোধ শতভাগ কমিয়ে আনাসহ আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন। সে লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

আগামী জুন মাসে শুরু হওয়া জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা নিয়ে তৈরি করা প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অনুন্নয়নখাতে আট হাজার ৯৬৩ কোটি ৫৬ লাখ ও উন্নয়নখাতে পাঁচ হাজার ৫৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মিলে মোট ১৪ হাজার ৫০৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

উন্নয়নখাতে চলমান ১১টি ও নতুন অননুমোদিত আটটিসহ মোট ১৯টি প্রকল্পে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার লক্ষ্য মন্ত্রণালয়ের।

এবার মূল এডিপিতে প্রস্তাবিত অননুমোদিত নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পে নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পে ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয় নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষায় আইসিটি সেবা সম্প্রসারণ, বিভাগীয় পর্যায়ে পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনর্বাসন ও শ্রেণিকক্ষ যৌক্তিকীকরণ (প্রথম পর্যায়), প্রতিটি উপজেলায় চাহিদাভিত্তিক একটি করে মডেল বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার এবং প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়)।

অননুমোদিত এসব প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ৪১৬ কোটি টাকা, যার পুরোটাই ব্যয় করবে সরকার।

প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীতকরণ, জাতীয় স্কুল ফিডিং নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রতি উপজেলায় মৌলিক সাক্ষরতা ও সাক্ষরতা উত্তর অব্যাহত জীবিকায়ন দক্ষতা প্রদানের লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক অর্থ সহায়তা চেয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে।

আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়), ইসি সহায়তাপুষ্ট স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়) রাখা হয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় সম্ভাব্য সমাপ্য প্রকল্প তালিকায়।

সার্বিক বিষয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রার যে লক্ষ্য তা অনেক আগেই অর্জন করেছি। এখন শিক্ষার মানোন্নয়ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে বাজেট বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেট পাওয়ার প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার প্রতি আন্তরিক এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা সফল হব।

গত অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১৩ কোটি ৭৬ লাখ ৬৫ হাজার ২৭০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আইসিটি সেবা সম্প্রসারণ ও স্কুল নির্মাণে অগ্রাধিকার

আপডেট টাইম : ০৫:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০১৫

বিদ্যালয়সমূহে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন বাজেটে উপবৃত্তি প্রকল্পসহ প্রতি উপজেলায় একটি করে মডেল স্কুল নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ঝরে পড়া রোধ শতভাগ কমিয়ে আনাসহ আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন। সে লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

আগামী জুন মাসে শুরু হওয়া জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা নিয়ে তৈরি করা প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অনুন্নয়নখাতে আট হাজার ৯৬৩ কোটি ৫৬ লাখ ও উন্নয়নখাতে পাঁচ হাজার ৫৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মিলে মোট ১৪ হাজার ৫০৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

উন্নয়নখাতে চলমান ১১টি ও নতুন অননুমোদিত আটটিসহ মোট ১৯টি প্রকল্পে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার লক্ষ্য মন্ত্রণালয়ের।

এবার মূল এডিপিতে প্রস্তাবিত অননুমোদিত নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পে নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পে ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয় নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষায় আইসিটি সেবা সম্প্রসারণ, বিভাগীয় পর্যায়ে পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনর্বাসন ও শ্রেণিকক্ষ যৌক্তিকীকরণ (প্রথম পর্যায়), প্রতিটি উপজেলায় চাহিদাভিত্তিক একটি করে মডেল বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার এবং প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়)।

অননুমোদিত এসব প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ৪১৬ কোটি টাকা, যার পুরোটাই ব্যয় করবে সরকার।

প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীতকরণ, জাতীয় স্কুল ফিডিং নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রতি উপজেলায় মৌলিক সাক্ষরতা ও সাক্ষরতা উত্তর অব্যাহত জীবিকায়ন দক্ষতা প্রদানের লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক অর্থ সহায়তা চেয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে।

আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়), ইসি সহায়তাপুষ্ট স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়) রাখা হয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় সম্ভাব্য সমাপ্য প্রকল্প তালিকায়।

সার্বিক বিষয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রার যে লক্ষ্য তা অনেক আগেই অর্জন করেছি। এখন শিক্ষার মানোন্নয়ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে বাজেট বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেট পাওয়ার প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার প্রতি আন্তরিক এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা সফল হব।

গত অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১৩ কোটি ৭৬ লাখ ৬৫ হাজার ২৭০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিল।