ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, যেকোনো দেশের উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে তরুণ সমাজই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়।

যারা গ্র্যাজুয়েট হলে তারা এক-একটি আলোর প্রদীপ, তোমাদের সকলকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আসতে হবে। নিতে হবে দেশ ও জাতির দায়ভার। তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে এ কথা বলেন।
সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি মনে করি তোমাদের মেধা ও শ্রমেই গড়ে উঠবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠোর জ্ঞানতপস্যা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে তোমরা ডিগ্রি অর্জন করেছো। তোমরা ভাল করেই জানো তোমাদের বিদ্যালাভ ও সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে যারা শক্তি, সাহস ও অর্থ জুগিয়েছেন তারা হচ্ছেন এ দেশের জনগণ। তাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি জীবন ব্যাপী তোমাদের দায়িত্বশীল ভ‚মিকা জাতি প্রত্যাশা করে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নশীল একটি দেশ। দারিদ্র নিরসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বহির্বিশ্বে দেশটি এখন রোল মডেল। বিশ্বে দ্রæত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের ওপরে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা ২০২৪ সাল নাগাদ এই হার হবে ১০ শতাংশের উপরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সময় এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার। সময় এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার, পথ চলবার।
সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে ঐক্যের-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলাফলগত যত বিভেদই থাকুক, অনুষ্ঠানটির অন্তর্নিহিত ঐক্য এবং শৃঙ্খলার বিষয়টি তাদের একটি অভিন্ন পাটাতনে দাঁড় করায়। আদি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতারা শিক্ষার্থীদের ভেতর ঐক্য এবং শৃঙ্খলা থাকার কথাটি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। এই ঐক্য ধর্ম, বর্ণ বা বিত্তশ্রেণি নির্বিশেষে সামাজিক হলেও, এটি কখনও চিন্তার ঐক্য নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ^বিদ্যালয়টি কেবল পরিধিতেই বাড়েনি, গুণগত উৎকর্ষ সাধন হয়েছে বিকশিত ও বিশ^মানের। জ্ঞানসাধানা, গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে তৈরি করেছে নিজের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল

আপডেট টাইম : ১০:০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, যেকোনো দেশের উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে তরুণ সমাজই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়।

যারা গ্র্যাজুয়েট হলে তারা এক-একটি আলোর প্রদীপ, তোমাদের সকলকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে আসতে হবে। নিতে হবে দেশ ও জাতির দায়ভার। তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে এ কথা বলেন।
সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি মনে করি তোমাদের মেধা ও শ্রমেই গড়ে উঠবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠোর জ্ঞানতপস্যা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে তোমরা ডিগ্রি অর্জন করেছো। তোমরা ভাল করেই জানো তোমাদের বিদ্যালাভ ও সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে যারা শক্তি, সাহস ও অর্থ জুগিয়েছেন তারা হচ্ছেন এ দেশের জনগণ। তাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি জীবন ব্যাপী তোমাদের দায়িত্বশীল ভ‚মিকা জাতি প্রত্যাশা করে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নশীল একটি দেশ। দারিদ্র নিরসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বহির্বিশ্বে দেশটি এখন রোল মডেল। বিশ্বে দ্রæত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের ওপরে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা ২০২৪ সাল নাগাদ এই হার হবে ১০ শতাংশের উপরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সময় এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার। সময় এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার, পথ চলবার।
সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে ঐক্যের-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলাফলগত যত বিভেদই থাকুক, অনুষ্ঠানটির অন্তর্নিহিত ঐক্য এবং শৃঙ্খলার বিষয়টি তাদের একটি অভিন্ন পাটাতনে দাঁড় করায়। আদি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতারা শিক্ষার্থীদের ভেতর ঐক্য এবং শৃঙ্খলা থাকার কথাটি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। এই ঐক্য ধর্ম, বর্ণ বা বিত্তশ্রেণি নির্বিশেষে সামাজিক হলেও, এটি কখনও চিন্তার ঐক্য নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ^বিদ্যালয়টি কেবল পরিধিতেই বাড়েনি, গুণগত উৎকর্ষ সাধন হয়েছে বিকশিত ও বিশ^মানের। জ্ঞানসাধানা, গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে তৈরি করেছে নিজের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান।