ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার : জাতির কাছে কৃতজ্ঞতা শেখ হাসিনার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটকে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ার জন্য জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ আমাদের ২০১৮ সালের ভোটে নির্বাচিত করেছে। আমরা সরকারে আসতে পেরেছি। তাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে ২০২০ সাল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি ২০২১ সাল আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূচনা বক্তব্যের পর যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য হলো যে আমরা ১৯৯৭ সালে আমাদের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী… সেটাও কিন্তু আমরা উদযাপন করতে পেরেছিলাম। তখনও আওয়ামী লীগ সরকারে ছিল। আবার সুবর্ণজয়ন্তীটাও উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি। সেই জন্য আমরা জাতির কাছে কৃতজ্ঞ। আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণের এই আস্থা-বিশ্বাস না থাকলে আমরা এই সুযোগটা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার সুযোগটা পেতাম না। জানি না তখন কী হতো! কারণ এই নামটা তো মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজকে আমাদের একটাই প্রতিজ্ঞা হবে, বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বে এখন যে মর্যাদা পেয়েছে, এর থেকে আরও বেশি মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই ২০২০ সালটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নবনির্বাচিত কমিটি নবউদ্যমে জাতির পিতার দেয়া স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করে দেশকে আরও উন্নত করব। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে, ২০২০ সাল বাংলাদেশের জন্য সব থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। সেটা হচ্ছে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী।

তিনি বলেন, ১৯২০ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং যার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ কোনোদিন স্বাধীন হত না। এটা হলো বাস্তবতা। মনে হয় যেন, তার জন্মটাই হয়েছিল বাঙালি জাতিকে জাতি হিসাবে একটা আত্মপরিচয় দেয়া, একটা মর্যাদা দেয়া এবং একটা রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য। সেই কারণে আমাদের জন্য এই সালটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা পাকিস্তানি কারাগার থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তার স্বাধীন বাংলাদেশে। সেই দিনটি থেকে আমরা কাউন্টডাউন শুরু করবো। ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান আমরা শুরু করবো। এটা বছরব্যাপী হবে। সারা বছরই আমরা সারাদেশেই অনুষ্ঠান করবো।

বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসসহ এর বাইরেও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকেই কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা আবার নবউদ্যমে জাতির পিতার দেয়া এই স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করবো, বাংলাদেশকে আরও উন্নত করবো, যেন বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বে একটা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন যে মর্যাদা পেয়েছে, এর থেকে আরও বেশি মর্যাদা নিয়ে একটা উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেন গড়ে উঠতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে।

আজকে আমাদের একটাই প্রতিজ্ঞা হবে, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা যেন আমরা করতে পারি। এই বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশই হবে। সেই প্রতিজ্ঞা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সূচনা বক্তব্য শেষ করেন তিনি। এরপর দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যম নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টাপরিষদের রুদ্ধদ্বার যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সভা পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভায় দলের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্যরাসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার : জাতির কাছে কৃতজ্ঞতা শেখ হাসিনার

আপডেট টাইম : ০৩:২০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটকে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ার জন্য জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ আমাদের ২০১৮ সালের ভোটে নির্বাচিত করেছে। আমরা সরকারে আসতে পেরেছি। তাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে ২০২০ সাল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি ২০২১ সাল আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূচনা বক্তব্যের পর যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য হলো যে আমরা ১৯৯৭ সালে আমাদের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী… সেটাও কিন্তু আমরা উদযাপন করতে পেরেছিলাম। তখনও আওয়ামী লীগ সরকারে ছিল। আবার সুবর্ণজয়ন্তীটাও উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি। সেই জন্য আমরা জাতির কাছে কৃতজ্ঞ। আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণের এই আস্থা-বিশ্বাস না থাকলে আমরা এই সুযোগটা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার সুযোগটা পেতাম না। জানি না তখন কী হতো! কারণ এই নামটা তো মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজকে আমাদের একটাই প্রতিজ্ঞা হবে, বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বে এখন যে মর্যাদা পেয়েছে, এর থেকে আরও বেশি মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই ২০২০ সালটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নবনির্বাচিত কমিটি নবউদ্যমে জাতির পিতার দেয়া স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করে দেশকে আরও উন্নত করব। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে, ২০২০ সাল বাংলাদেশের জন্য সব থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। সেটা হচ্ছে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী।

তিনি বলেন, ১৯২০ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং যার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ কোনোদিন স্বাধীন হত না। এটা হলো বাস্তবতা। মনে হয় যেন, তার জন্মটাই হয়েছিল বাঙালি জাতিকে জাতি হিসাবে একটা আত্মপরিচয় দেয়া, একটা মর্যাদা দেয়া এবং একটা রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য। সেই কারণে আমাদের জন্য এই সালটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা পাকিস্তানি কারাগার থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তার স্বাধীন বাংলাদেশে। সেই দিনটি থেকে আমরা কাউন্টডাউন শুরু করবো। ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান আমরা শুরু করবো। এটা বছরব্যাপী হবে। সারা বছরই আমরা সারাদেশেই অনুষ্ঠান করবো।

বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসসহ এর বাইরেও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকেই কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা আবার নবউদ্যমে জাতির পিতার দেয়া এই স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করবো, বাংলাদেশকে আরও উন্নত করবো, যেন বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বে একটা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন যে মর্যাদা পেয়েছে, এর থেকে আরও বেশি মর্যাদা নিয়ে একটা উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেন গড়ে উঠতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে।

আজকে আমাদের একটাই প্রতিজ্ঞা হবে, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা যেন আমরা করতে পারি। এই বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশই হবে। সেই প্রতিজ্ঞা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সূচনা বক্তব্য শেষ করেন তিনি। এরপর দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যম নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টাপরিষদের রুদ্ধদ্বার যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সভা পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভায় দলের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্যরাসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।