পুতিনের সাহায্য দরকার : ওবামা

দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ‘আদায়-কাঁচকলায়’। দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে ঠান্ডা যুদ্ধ। কিন্তু আইএসের ওপর হামলার বিষয়ে সেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাহায্যই চাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ইউক্রেন সমস্যা থেকে শুরু করে সিরিয়ায় বিমান হামলা সাম্প্রতিক নানা ইস্যুতে পুতিন-ওবামা সম্পর্ক তিক্ত হলেও, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যদি সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে আগেভাগেই রাশিয়াকে পাশে টানার চেষ্টা শুরু করে দিলেন ওবামা। টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৯ দিনের তুরস্ক ও এশিয়া সফরে রবিবার পৌঁছন মালয়েশিয়া। দিন কয়েক আগেই জি২০ বৈঠক চলাকালীন পুতিন দাবি করেছিলেন, আইএস ওপর হামলার বিষয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু ওবামার দপ্তর থেকে একটি নোট পাঠিয়ে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। পুতিনের এহেন মন্তব্যে যাতে ওবামা প্রশাসনের ইমেজ খারাপ না হয়, তাই আইএস নিধনে সরাসরি রাশিয়ার সাহায্যই দাবি করে ওবামা বলেন, ‘গত মাসে রুশ যাত্রীবাহী বিমানে হামলা চালিয়ে ২২৪ জনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে আইএসের বিরুদ্ধে। রুশ নাগরিকদের যারা মেরেছে তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত পুতিনের। আইএস নিধনে রাশিয়ার সাহায্যও দরকার আমাদের।’ রাশিয়া যখন সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছে, ওমাবা সেই হামলার সমালোচনা করে বলেন, রাশিয়া যেহেতু সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বন্ধু, তাই আসাদের বিদ্রোহীদের শেষ করতেই পুতিন বিমান হামলা শুরু করেছে। আইএস নিধনের জন্য নয়। আসাদের সমর্থনে রাশিয়ার এই কূটনৈতিক চাল অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। এভাবে লড়াই তো চলতেই থাকবে। আগামী মঙ্গলবার আইএস ইস্যুতে ওবামার সঙ্গে বৈঠক করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁ ওল্যাঁদে। তারপরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সব মিলিয়ে আপাতত পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে না কোনও দেশ একা আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করে ‘লাভের গুড়’ একাই খেয়ে নিক। তাই ওবামা জোট করে লড়াইয়ের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেই মনে করছে সকলে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর