ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবনমুখী ও মানবকল্যাণ নিবেদিত গবেষণার আহ্বান রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৪৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জীবনমুখী ও মানবকল্যাণে নিবেদিত এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি সফল গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত জ্ঞান মানবজাতির অশেষ কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। চিকিৎসাসহ জীবনমান সহজ করতে পারে। এমনকি  বিশ্বরাজনীতি, ভূ-অর্থনীতি, বিশ্ববাণিজ্য, আঞ্চলিক বা দেশীয় আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে গবেষণা যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় এবং জীবনমুখী ও মানবকল্যাণে নিবেদিত হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। গবেষণার ফল যাতে লাইব্রেরিতে বন্দি না থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগে তা নিশ্চিত করতে হবে।

‘বিদেশে গেলে থুথু ফেলতে ভয় পাই’

রোববার দুপুরে রাষ্ট্রপতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আমরা বিদেশে গেলে রাস্তায় থুথু ফেলতে ভয় পাই। কিন্তু আমাদের দেশে যেখানে-সেখানে পানির বোতল, বাদামের কাগজ ফেলে পরিবেশ নোংরা করি। এই অভ্যাস পাল্টাতে হবে। এ ব্যাপারে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে-মেয়েদের এগিয়ে আসা দরকার। যেখানে-সেখানে ময়লা জিনিস ফেলার এই অভ্যাস ফেরাতে না পারলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব না।

khulna-KU-(4).jpg

তিনি বলেন, একটা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ছাত্র সমাজ যদি মনে করে আমরা পরিবর্তন আনব। তারা তা’ আনতে পারে।
যে ছাত্র সমাজ স্বাধীনতা সংগ্রামে এতো ভূমিকা নিয়েছে তারা অবশ্যই মানুষের সাধারণ এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে। তিনি যেখানে সেখানে ময়লা জিনিস ফেলে দেওয়ার অভ্যাস পরিবর্তনে ছেলে-মেয়েদের ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।

khulna-KU-(4).jpg

সমাবর্তনে ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে স্নাতক, ২ হাজার ৫৩০ জনকে স্নাতকোত্তর, ৫ জনকে এমফিল ও ৮ জনকে পিএইচডি এবং ১৭ জনকে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ২৩ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ও ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জীবনমুখী ও মানবকল্যাণ নিবেদিত গবেষণার আহ্বান রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জীবনমুখী ও মানবকল্যাণে নিবেদিত এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি সফল গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত জ্ঞান মানবজাতির অশেষ কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। চিকিৎসাসহ জীবনমান সহজ করতে পারে। এমনকি  বিশ্বরাজনীতি, ভূ-অর্থনীতি, বিশ্ববাণিজ্য, আঞ্চলিক বা দেশীয় আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে গবেষণা যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় এবং জীবনমুখী ও মানবকল্যাণে নিবেদিত হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। গবেষণার ফল যাতে লাইব্রেরিতে বন্দি না থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগে তা নিশ্চিত করতে হবে।

‘বিদেশে গেলে থুথু ফেলতে ভয় পাই’

রোববার দুপুরে রাষ্ট্রপতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আমরা বিদেশে গেলে রাস্তায় থুথু ফেলতে ভয় পাই। কিন্তু আমাদের দেশে যেখানে-সেখানে পানির বোতল, বাদামের কাগজ ফেলে পরিবেশ নোংরা করি। এই অভ্যাস পাল্টাতে হবে। এ ব্যাপারে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে-মেয়েদের এগিয়ে আসা দরকার। যেখানে-সেখানে ময়লা জিনিস ফেলার এই অভ্যাস ফেরাতে না পারলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব না।

khulna-KU-(4).jpg

তিনি বলেন, একটা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ছাত্র সমাজ যদি মনে করে আমরা পরিবর্তন আনব। তারা তা’ আনতে পারে।
যে ছাত্র সমাজ স্বাধীনতা সংগ্রামে এতো ভূমিকা নিয়েছে তারা অবশ্যই মানুষের সাধারণ এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে। তিনি যেখানে সেখানে ময়লা জিনিস ফেলে দেওয়ার অভ্যাস পরিবর্তনে ছেলে-মেয়েদের ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।

khulna-KU-(4).jpg

সমাবর্তনে ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে স্নাতক, ২ হাজার ৫৩০ জনকে স্নাতকোত্তর, ৫ জনকে এমফিল ও ৮ জনকে পিএইচডি এবং ১৭ জনকে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ২৩ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ও ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।