মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২ চাষে মাঠ দিবস অনুষ্টিত হয়েছে।
রোববার মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইসবপুর গ্রামে বিএফআইডিসি রাবার অফিস মাঠে এগ্রিকালচারাল অ্যাডভাইজরি সোসাইটি (আস) ও হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২ বিস্তারে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের এডিডি সুরজিত দত্ত সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. এমকে বাশার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের উপ-পরিচালক ড. ওলফগ্যাং এইচ ফাইফার, হারভেষ্টপাস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক (ফসল উন্নয়ন) ড. পারমিন্ডার ভার্ক, ব্যবস্থাপক, শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুকল্প দাস, এগ্রিকালচারাল অ্যাডভাইজরি সোসাইটি (আস) এর নির্বাহী পরিচালক হারুন-আর-রশীদ, হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের এআরডিও এনামূল কবীর, নুরুল ইসলাম।
মাঠ দিবসটি আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন আসের এসি সুব্রত কুমার ঘোষ, ও প্রগতিশীল কৃষক মিলাদুর রহমান। প্রধান অতিথি হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. এমকে বাশার মাঠ দিবসে বলেন, জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২ এর ফলন আশানুরূপ হওয়াই দেশের বিভিন্ন এলাকাতে স্বল্প সময় এই ধান চাষে বিস্তার লাভ করবে বলে তিনি দাবি করেন।
দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে জিংক সমৃদ্ধ ধান বিস্তারে বিভিন্ন সম্প্রসারণে দেশের কৃষক সমাজকে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
এগ্রিকালচারাল অ্যাডভাইজরি সোসাইটি (আস) এর নির্বাহী পরিচালক হারুন-আর-রশীদ বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১৯টি উপজেলার ১০৮টি গ্রামের ১১২৫ জন প্রশিতি কৃষকদের মাঝে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২ জাতের প্রদর্শণী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৬২ এর আশানুরূপ ফলন পাওয়াই চলতি রোপা আমন মৌসুমে প্রদর্শনী প্লটের কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলেও জানান তিনি।