নওগাঁ জেলা অত্যন্ত খড়া প্রবণ হওয়ায় এই এলাকায় অধিকাংশ আবাদি জমি সেচ সুবিধা না পাওয়ায় রোপা আমন মৌসুমে বৃষ্টির উপর নির্ভর করে কৃষক বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করে আসছে। এর মধ্যে স্থানীয় অধিকাংশ কৃষক স্বর্না জাতের ধানের চাষাবাদ করে আসছে।
আর স্বর্না জাতের ধানের চাষাবাদে প্রধান সমস্যা হলো খোলপচাঁ রোগ, যার ফলে কৃষকের কাংখিত ফলন কখনও পায়না। কারিতাস পত্নীতলা কর্তৃক বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের বৃষ্টিনির্ভর এলাকায় ক্ষুদ্র কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি (সাফবিন) নামীয় প্রকল্প, স্থানীয় স্বর্না জাতের ধানের খোলপচাঁ রোগ দমন শীর্ষক এক মাঠ দিবস বৃহস্পতিবার পত্নীতলা উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে ৪২০ জন কৃষকের মাঝে রবি মৌসুমের বীজ বিতরন করা হয়।
সাফবিন প্রকল্পের জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এম,এ বাশার মোল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আকতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পতœীতলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ, প্রভাষক সুরেন মুর্মু। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিপি আই, কৃষি বিভাগ, পতœীতলা-নওগাঁ, ব্র্যাক কর্মকর্তা, স্থানীয় গন্যমান্য বাক্তিসহ শতাধিক কৃষকগন প্রমুখ।
সভা শেষে স্বর্না জাতের ধানের চাষাবাদে প্রধান সমস্যা হলো খোলপচাঁ রোগ, যার ফলে কৃষকের কাঙ্খিত ফলন কখনও পায়না। তাই এই রোগ দমনের লক্ষ্যে সাফবিন প্রকল্প কতৃর্ক কৃষকের প্লটে সরাসরি অংশগ্রহন মূলক ২টি পরীক্ষা প্ল¬ট স্থাপন করা হয়। একটি হলো ধানের জমি শেষ চাষের সময় পানির উপরে ভাসমান ময়লা পরিষ্কার করা ও রোগ দমনে ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা এবং ২য় পরীক্ষাটি হলো ধানের জমিতে ২য় ইউরিয়া প্রয়োগের সময় অর্ধেক মাত্রায় পটাশ সার প্রয়োগ করা। স্থানীয় গন্যমান্য বাক্তিসহ শতাধিক কৃষকের অংশগ্রহনে সরাসরি ভোট গ্রহন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১ম স্থান অজর্ন করে যে পরীক্ষাটি হলো ধানের জমিতে ২য় ইউরিয়া প্রয়োগের সময় অর্ধেক মাত্রায় পটাশ সার প্রয়োগ করা। অনুষ্ঠান শেষে ৪২০ জন কৃষকের মাঝে রবি মৌসুমের ২হাজার কেজি প্রদীপ জাতের গমের বীজ, ১শ কেজি বারি১৪ জাতের সরিশার বীজ ও বারি ৬ জাতের ৪০কেজি মশুরি ডালের বীজ করেন অতিথিবৃন্দ।