ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রামীণ প্রকৃতি জুড়ে এখন শীতের আমেজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদায় নিচ্ছে অগ্রহায়ণ। পঞ্জিকার অনুশাসনে আর কয় দিন পরেই শীতকাল। তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিনই। গ্রামীণ প্রকৃতি জুড়ে এখন শীতের আমেজ। দেশের উত্তরাঞ্চলে এরই মধ্যে বেশ ঠাণ্ডা পড়া শুরু হয়েছে। রাজধানীর আবহাওয়াও জানান দিচ্ছে শীত আসছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জেলায় এখন তাপমাত্রা ১০-১৫ সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

খনার বচনে আছে ‘ঊনো বর্ষার দুনো শীত’। তার মানে—যে বছর বৃষ্টি কম হয় সে বছর শীত বেশি পড়ে। প্রকৃতির এই নিয়মেও এবার শীত বেশি পড়ার কথা। কারণ এবার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি বেশ কম হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, এ মাসের শেষ সপ্তাহে অন্তত দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। এছাড়া দু-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আভাস রয়েছে। আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। চলতি মাসের শেষ ভাগে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে জোড়া মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) কিংবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি মাসে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। দৈনিক গড় বাষ্পীভবন থাকবে ২ দশমিক ৫০ থেকে ৩ দশমিক ৫০ মি.মি.। গড় সূর্য কিরণকাল হবে ৬ দশমিক ৫০ থেকে ৭ দশমিক ৫০ ঘণ্টা। মাস জুড়ে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদনদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। অন্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

মাসের প্রথমার্ধে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলেও শেষার্ধে কমে যাবে। আজ শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার বা কোথাও কোথাও তার চেয়ে কম হতে পারে। কোনো সংকেত দেখাতে না হলেও নৌযান চালকদের সাবধানে চলার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উল্লেখ্য, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছিল। এবারও সে আভাস দিচ্ছে আবহাওয়ার  গতি-প্রকৃতি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গ্রামীণ প্রকৃতি জুড়ে এখন শীতের আমেজ

আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদায় নিচ্ছে অগ্রহায়ণ। পঞ্জিকার অনুশাসনে আর কয় দিন পরেই শীতকাল। তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিনই। গ্রামীণ প্রকৃতি জুড়ে এখন শীতের আমেজ। দেশের উত্তরাঞ্চলে এরই মধ্যে বেশ ঠাণ্ডা পড়া শুরু হয়েছে। রাজধানীর আবহাওয়াও জানান দিচ্ছে শীত আসছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জেলায় এখন তাপমাত্রা ১০-১৫ সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

খনার বচনে আছে ‘ঊনো বর্ষার দুনো শীত’। তার মানে—যে বছর বৃষ্টি কম হয় সে বছর শীত বেশি পড়ে। প্রকৃতির এই নিয়মেও এবার শীত বেশি পড়ার কথা। কারণ এবার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি বেশ কম হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, এ মাসের শেষ সপ্তাহে অন্তত দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের ওপর দিয়ে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। এছাড়া দু-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আভাস রয়েছে। আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। চলতি মাসের শেষ ভাগে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে জোড়া মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) কিংবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, চলতি মাসে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। দৈনিক গড় বাষ্পীভবন থাকবে ২ দশমিক ৫০ থেকে ৩ দশমিক ৫০ মি.মি.। গড় সূর্য কিরণকাল হবে ৬ দশমিক ৫০ থেকে ৭ দশমিক ৫০ ঘণ্টা। মাস জুড়ে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদনদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। অন্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

মাসের প্রথমার্ধে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলেও শেষার্ধে কমে যাবে। আজ শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার বা কোথাও কোথাও তার চেয়ে কম হতে পারে। কোনো সংকেত দেখাতে না হলেও নৌযান চালকদের সাবধানে চলার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উল্লেখ্য, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে দেশের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছিল। এবারও সে আভাস দিচ্ছে আবহাওয়ার  গতি-প্রকৃতি।