ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

ক্ষমতায় লড়াইয়ে হেরেছিল জাসদ, জিতেছিলেন জিয়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩০১ বার

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ একটি আলোচিত, সমালোচিত কিংবা অনেকের কাছে বিতর্কিত নাম। দলটিকে নিয়ে আলোচনা যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে অন্তত এক দশক রাজনীতির মোড় ঘুরানো নানা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা ছিল দলটির।

প্রতিবছর যখনই ৭ই নভেম্বর আসে তখন আলোচনার কেন্দ্রে আসে জাসদ এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর অভ্যুত্থান জাসদের পরিকল্পনায় হলেও এর পুরোপুরি সুফল পেয়েছেন তখনকার সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান।

জাসদের প্রতিষ্ঠার সময় ঘোষিত লক্ষ্য ছিল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব করা। সেজন্য তারা চেয়েছিল তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে। ১৯৭৪ সালে জাসদ তাদের চিন্তাধারা তৈরি হলো, আন্দোলন মানে সশস্ত্র সংগ্রাম আর সংগঠন মানে সেনাবাহিনী। সেজন্য জাসদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠে বিপ্লবী গণবাহিনী। এছাড়া সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১৯৭৩ সালে থেকে কাজ করছিল বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দৃশ্যপট বদলে যায়। হত্যাকারী সেনা সদস্যদের সহায়তায় খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতাসীন হবার পর জাসদ সাইড-লাইনে চলে যায়।

এরপর ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানের পর জাসদ আবারো তৎপর হয়ে উঠে। সে ঘটনার প্রতিক্রিয়ার আরেকটি অভ্যুত্থান হয় ৭ই নভেম্বর, যার মাধ্যমে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন।

৭ই নভেম্বর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানকে সফল করার জন্য কাজ করেছে জাসদের আওতাধীন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। ১৯১৭ সালে সোভিয়েত বিপ্লবের মতোই কাজ করতে চেয়েছিল জাসদ। শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় তখন দুটো পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। একদিকে জিয়াউর রহমান এবং অন্যদিকে জাসদ। বিশ্লেষকদের মতে ক্ষমতার দৌড়ে জিয়াউর রহমানের কাছে পরাজিত হয় জাসদ।

জাসদের রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেছেন মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি মনে করেন, ৭ই নভেম্বরের পর জিয়াউর রহমানের পেছনে যখন সেনাবাহিনী ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেল তখন জাসদ ছিটকে গেল। তিনি বলেন, জাসদ তখন সাংগঠনিক-ভাবে প্রস্তুত ছিল না এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও জাসদকে সমর্থন দেয়নি।

যদিও জাসদের জন্ম হয়েছিল আওয়ামী লীগের বিরোধিতার মধ্য দিয়ে, কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টের পর আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো জাসদকে সমর্থন না দিয়ে জিয়াউর রহমানকে সমর্থন দিয়েছে। জাসদ নেতারা এখনো অকপটে স্বীকার করেন যে ৭ই নভেম্বর অভ্যুত্থানের সুফল তারা কাজে লাগাতে পারেননি।

জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই সেটি সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করেন জাসদের একটি অংশের নেতা হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, সামরিক শাসনের রাজনীতি পুনরায় চাপিয়ে দেবার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যায়, আমরা পরাজিত হই।

তখনকার সময় যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল তাদের সমর্থন পুরোপুরি জিয়াউর রহমানের পক্ষে গেল। তিনি রাজনৈতিকভাবে বিষয়টিকে কাজেও লাগিয়েছেন। শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পরে খালেদ মোশারফের পাল্টা অভ্যুত্থান এবং এরপর প্রতিক্রিয়ায় আবারো ৭ই নভেম্বরের অভ্যুত্থান।

একের পর এক এসব ঘটনায় তখন বিচলিত ছিল দেশের সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ তখন চেয়েছিল দেশের স্থিতাবস্থা। বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টের পরে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত যে পুরো পাল্টে গেছে সেটা জাসদ বুঝতে পারেনি।

তিনি বলেন, জাসদের আবেদনটা ছিল মধ্যবিত্তদের তরুণদের মাঝে। মধ্যবিত্তরা তখন চেয়েছিল স্থিতাবস্থা। তারা কোন গোলমাল চায়নি। এবং জিয়া তখন দেশের ভেতরে এক ধরণের স্থিতিশীলতা দিতে পেরেছিল। জাসদ কখনো উচ্ছৃঙ্খল রাজনীতি করেনি বলে দাবি করেন হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে মাঝে-মাঝে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে, কিন্তু জাসদের মৌল কৌশল ছিল গণতান্ত্রিক রাজনীতি। বিশ্লেষকরা বলছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর আওয়ামী লীগ বিরোধী মনোভাবকে তিনি রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়েছেন। কিন্তু জাসদ বিষয়টিকে কাজে লাগাতে পারেনি।

সেজন্যই জাসদ রাজনীতিতে দুর্বল হয়ে গেছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপি নয়, জাসদই উঠে আসতে পারতো বলে অনেকের ধারণা। বিষয়টিকে আংশিক সত্যি বলে মনে করেন হাসানুল হক ইনু।

তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, সামরিক শাসকরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এবং পাকিস্তানপন্থার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পরাজিত পাকিস্তানপন্থার সমর্থকদের সমর্থন আদায় করে নেয়।

ইনু এখনো মনে করেন, জাসদ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে দুর্বল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু রাজনীতিতে তারা কোন ভুল করেননি। তবে জাসদ নেতারা মনে করেন, বাংলাদেশর রাজনীতিতে জাসদ এখনো প্রাসঙ্গিক। হাসানুল হক ইনু বলেন, জাসদের রাজনীতির জন্য শনি হচ্ছে সামরিক শাসন। এবং সামরিক শাসকদের পাকিস্তানপন্থা ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। জাসদের উপর সীমাহীন অত্যাচার, কর্নেল তাহেরের ফাঁসি, আমাদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড – অনেকটা আমাদেরকে ধাক্কা মেরে তিন-চার নম্বরে ফেলে দেয়, বলছিলেন হাসানুল হক ইনু।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

ক্ষমতায় লড়াইয়ে হেরেছিল জাসদ, জিতেছিলেন জিয়া

আপডেট টাইম : ১১:৫৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ একটি আলোচিত, সমালোচিত কিংবা অনেকের কাছে বিতর্কিত নাম। দলটিকে নিয়ে আলোচনা যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে অন্তত এক দশক রাজনীতির মোড় ঘুরানো নানা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা ছিল দলটির।

প্রতিবছর যখনই ৭ই নভেম্বর আসে তখন আলোচনার কেন্দ্রে আসে জাসদ এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর অভ্যুত্থান জাসদের পরিকল্পনায় হলেও এর পুরোপুরি সুফল পেয়েছেন তখনকার সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান।

জাসদের প্রতিষ্ঠার সময় ঘোষিত লক্ষ্য ছিল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব করা। সেজন্য তারা চেয়েছিল তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে। ১৯৭৪ সালে জাসদ তাদের চিন্তাধারা তৈরি হলো, আন্দোলন মানে সশস্ত্র সংগ্রাম আর সংগঠন মানে সেনাবাহিনী। সেজন্য জাসদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠে বিপ্লবী গণবাহিনী। এছাড়া সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১৯৭৩ সালে থেকে কাজ করছিল বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দৃশ্যপট বদলে যায়। হত্যাকারী সেনা সদস্যদের সহায়তায় খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতাসীন হবার পর জাসদ সাইড-লাইনে চলে যায়।

এরপর ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানের পর জাসদ আবারো তৎপর হয়ে উঠে। সে ঘটনার প্রতিক্রিয়ার আরেকটি অভ্যুত্থান হয় ৭ই নভেম্বর, যার মাধ্যমে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন।

৭ই নভেম্বর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানকে সফল করার জন্য কাজ করেছে জাসদের আওতাধীন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। ১৯১৭ সালে সোভিয়েত বিপ্লবের মতোই কাজ করতে চেয়েছিল জাসদ। শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় তখন দুটো পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। একদিকে জিয়াউর রহমান এবং অন্যদিকে জাসদ। বিশ্লেষকদের মতে ক্ষমতার দৌড়ে জিয়াউর রহমানের কাছে পরাজিত হয় জাসদ।

জাসদের রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেছেন মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি মনে করেন, ৭ই নভেম্বরের পর জিয়াউর রহমানের পেছনে যখন সেনাবাহিনী ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেল তখন জাসদ ছিটকে গেল। তিনি বলেন, জাসদ তখন সাংগঠনিক-ভাবে প্রস্তুত ছিল না এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও জাসদকে সমর্থন দেয়নি।

যদিও জাসদের জন্ম হয়েছিল আওয়ামী লীগের বিরোধিতার মধ্য দিয়ে, কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টের পর আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো জাসদকে সমর্থন না দিয়ে জিয়াউর রহমানকে সমর্থন দিয়েছে। জাসদ নেতারা এখনো অকপটে স্বীকার করেন যে ৭ই নভেম্বর অভ্যুত্থানের সুফল তারা কাজে লাগাতে পারেননি।

জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই সেটি সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করেন জাসদের একটি অংশের নেতা হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, সামরিক শাসনের রাজনীতি পুনরায় চাপিয়ে দেবার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যায়, আমরা পরাজিত হই।

তখনকার সময় যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল তাদের সমর্থন পুরোপুরি জিয়াউর রহমানের পক্ষে গেল। তিনি রাজনৈতিকভাবে বিষয়টিকে কাজেও লাগিয়েছেন। শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পরে খালেদ মোশারফের পাল্টা অভ্যুত্থান এবং এরপর প্রতিক্রিয়ায় আবারো ৭ই নভেম্বরের অভ্যুত্থান।

একের পর এক এসব ঘটনায় তখন বিচলিত ছিল দেশের সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ তখন চেয়েছিল দেশের স্থিতাবস্থা। বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টের পরে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত যে পুরো পাল্টে গেছে সেটা জাসদ বুঝতে পারেনি।

তিনি বলেন, জাসদের আবেদনটা ছিল মধ্যবিত্তদের তরুণদের মাঝে। মধ্যবিত্তরা তখন চেয়েছিল স্থিতাবস্থা। তারা কোন গোলমাল চায়নি। এবং জিয়া তখন দেশের ভেতরে এক ধরণের স্থিতিশীলতা দিতে পেরেছিল। জাসদ কখনো উচ্ছৃঙ্খল রাজনীতি করেনি বলে দাবি করেন হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে মাঝে-মাঝে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে, কিন্তু জাসদের মৌল কৌশল ছিল গণতান্ত্রিক রাজনীতি। বিশ্লেষকরা বলছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর আওয়ামী লীগ বিরোধী মনোভাবকে তিনি রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়েছেন। কিন্তু জাসদ বিষয়টিকে কাজে লাগাতে পারেনি।

সেজন্যই জাসদ রাজনীতিতে দুর্বল হয়ে গেছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপি নয়, জাসদই উঠে আসতে পারতো বলে অনেকের ধারণা। বিষয়টিকে আংশিক সত্যি বলে মনে করেন হাসানুল হক ইনু।

তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে, সামরিক শাসকরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এবং পাকিস্তানপন্থার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পরাজিত পাকিস্তানপন্থার সমর্থকদের সমর্থন আদায় করে নেয়।

ইনু এখনো মনে করেন, জাসদ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে দুর্বল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু রাজনীতিতে তারা কোন ভুল করেননি। তবে জাসদ নেতারা মনে করেন, বাংলাদেশর রাজনীতিতে জাসদ এখনো প্রাসঙ্গিক। হাসানুল হক ইনু বলেন, জাসদের রাজনীতির জন্য শনি হচ্ছে সামরিক শাসন। এবং সামরিক শাসকদের পাকিস্তানপন্থা ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। জাসদের উপর সীমাহীন অত্যাচার, কর্নেল তাহেরের ফাঁসি, আমাদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড – অনেকটা আমাদেরকে ধাক্কা মেরে তিন-চার নম্বরে ফেলে দেয়, বলছিলেন হাসানুল হক ইনু।