আমেরিকার প্রেসিডেন্ড জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে ইরাক আক্রমণেই ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ আইএসের (ইসলামিক স্টেট) উত্থান ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টের কাথায় ধরা খাচ্ছেন এবার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ভাইস নিউজকে দেওয়া এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। খবর ব্রিটিশ ইন্ডিপেন্ডেন্টের। সেই ঘটনার ফলেই আজ আমেরিকার ওপর প্রভাব পড়ছে। এমন বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে ওবামা বুশের ওই কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। আইএস নামে জঙ্গিদের উত্থানের পেছনের কারণ উল্লেখ করে ওবামা বলেন, ‘এখানে দুইটি বিষয় রয়েছে : একটা হল- ইরাকে আল-কায়েদার কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ ফল আইএস, যা আমাদের আক্রমণের কারণেই বেড়ে উঠেছে। এবং আজ তা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। এটা আমাদের অনিচ্ছাকৃত পরিণতির উদাহরণ ছাড়া আর কিছু নয়। কাউকে গুলি করার আগে ভাবতে হবে আমরা কেন তা করছি।’ বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ৬০টি দেশ নিয়ে একটি সঙ্গবদ্ধ জোট গঠন করেছি। আমরা দৃঢ়বিশ্বাস ধীরে ধীরে ইরাক থেকে আইএস নামের এই আগাছাটি হটিয়ে দিতে সক্ষম হব। এটা আমার আত্মবিশ্বাস যে এটা ঘটবেই।’ এ সময় তিনি ‘সুন্নিদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষত লিবিয়া ও ইয়েমেনে সুন্নি মুসলিমদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তিনি। ওই অঞ্চলের লোকদের আইএসের মতো সংগঠনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ওবামা বলেন, ‘যেখানে তরুণরা পড়ালেখা ও ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে বড় হওয়ার সুযোগ পায় না। সেখানে তাদের ভাল ফল, ক্ষমতা, সম্মান পাওয়ার একটাই পথ থাকে তা হল যোদ্ধা হওয়া। এ কারণেই ওই সংগঠনগুলো সেখানে বিস্তার লাভ করতে পারে। তাই আমাকে তাদের (তরুণ) সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে দিন।’ আলোচনাকালে তিনি আইএস ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, ইরান, অর্থনীতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তরুণ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনীতি, যুদ্ধ ও শান্তি নিয়ে ভাবতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ওবামা। এমনকি গাজার ভয়াবহতা নিয়ে ভাবার কথা বলেন তিনি।
সংবাদ শিরোনাম