ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার তৃণমূল পর্যায়ের ৪ হাজার ৫৭১ জন ইউপি সচিব তাদের পদবী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। ইউপি সচিবের পরিবর্তে ইউনিয়ন প্রিন্সিপাল অফিসার (ইউপিও) পদবী করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে শনিবার বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারি সমিতি (বাপসা) নবগঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রথম সভা ও পরিচিতি অনুষ্ঠানে তারা এ দাবি জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাাচনে শেখ হাবিবুর রহমানকে সভাপতি ও মাসুদ পারভেজ মহাসচিব নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে ১১৯ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নাম ঘোষণা করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা এইচ এম রেজাউল করিম তুহিন।
সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নেতারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ইউপি সচিবদের চাকরি জাতীয় পে-স্কেলের আওতাভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সভায় শেখ হাবিবুর রহমান বলেন, মহান নেতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন -২০২১ গড়ার মাঠ পর্যায়ের কারিগর আমরা। সে হিসেবে শতভাগ বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে প্রদান ও বেতনের ধাপ দশম গ্রেডে উন্নীত করে ‘ইউপি সচিব’ এর পদবী পরিবর্তন করে ‘ইউনিয়ন প্রিন্সিপাল অফিসার (ইউপিও)’ করার দাবী জানান তিনি।
মহাসচিব মাসুদ পারভেজ বলেন, ইউপিতে জনবল নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হলেও তা স্থবির। ইতোমধ্যে হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগের বিষয়টিও ঝুলে আছে। যে কারণে সরকারের সাফল্য অর্জনে ব্যহত হচ্ছে। এজন্য এলজিএসপি-২, ইউপিজিপি ও এমডিজিসহ অন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনায় দ্রুত জনবল নিয়োগ করতে দাবি জানান বক্তারা।
শেখ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রথম সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাপসা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা এইচ এম রেজাউল করিম তুহিন, বাপসার নির্বাহী সভাপতি-১ মোঃ আতিকুর রহমান, নির্বাহী সভাপতি-২ মোঃ আব্দুল লতিফ মোল্লা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আশরাফ উদ্দিন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মোমিন, অর্থ সম্পাদক কাজী তাজউদ্দিন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আবু বকর মানিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য নজরুল ইসলাম, সুলতান আহমেদ ম-ল, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন হেলাল, সানোয়ার হোসেন, কবীর উদ্দিন, আব্দুল বারেক প্রমূখ।