হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জন (বিডিএস) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। জানা গেছে, ডেন্টালের প্রশ্নপত্র কঠিন হবে! সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রণীত প্রশ্নপত্র তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ায় ও প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষার্থী পাস নম্বর পাওয়ায় প্রশ্নের মান নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা চলছে। এ কারণেই আসন্ন ডেন্টালের প্রশ্নপত্র মেডিকেলের চেয়ে একটু কঠিন হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তারা জানান, এ বছর মেডিকেল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তুলনামূলকভাবে সহজ হয়েছে। মেডিকেলের মানদণ্ডে তা যথাযথ হয়নি। এর কারণ কী জানতে চাইলে তারা জানান, গত তিন বছর ধরে যে পরীক্ষক টিম মেডিকেল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করত সেই টিমটি এবার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিল না। নতুন একটি পরীক্ষক টিম প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছে। এ কারণেই প্রশ্নপত্র সহজ হয়েছে। প্রশ্নপত্র নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। এ কারণে ডেন্টালের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কিছুটা কঠিন করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে তারা জানান।
তবে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হলেও ডেন্টালের ক্ষেত্রে ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক পাতা (দুই পৃষ্ঠার) মেডিকেলের প্রশ্নসহ উত্তরপত্র পরীক্ষা শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এনে একটা অংশ ছিঁড়তে হওয়ায় বিলম্ব হয়। ডেন্টালের ক্ষেত্রে কেন্দ্র থেকেই একটা অংশ ছিঁড়ে তারপর পাঠানা হবে। এতে সময় বাঁচবে এবং দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
স্বা্স্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২৫ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। প্রতি আসনে লড়বেন ৪৭ জন।
১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নে এক ঘণ্টায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নবিদ্যায় ২৫, পদার্থবিদ্যায় ২০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ১০ নম্বর থাকবে।
পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য বলে গণ্য হবে। শুধু কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
রাজধানীর ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী ও সলিমুল্লাহ মেডিকেল ডেন্টাল ইউনিট এবং ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী ডেন্টাল ইউনিটসহ মোট পাঁচটি কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সরকারি একটি ডেন্টাল কলেজ ও আটটি ডেন্টাল ইউনিটে আসন সংখ্যা সর্বসাকুল্যে ৫৩২টি। এ হিসাবে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রতি আসনে ৪৭ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধে টিকে থাকতে লড়াই করবেন।
বেসরকারি পর্যায়ে ২৫টি ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা এক হাজার ৩৫০টি। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রণীত জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে প্রথমে সরকারি ও পরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন ছিল ১৬ অক্টোবর। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা টেলিটক সিমের (প্রিপেইড) মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে আবেদন করেন।