ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে রাষ্ট্রপতি বেতনের টাকা দান করে দিতেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯
  • ১৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ভারতের তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে এক দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠেন তিনি। এক সময় আর্থিক অনটনের কারণে খবরের কাগজ বিক্রি করে পড়াশোনার খরচ জোগাতেন।

তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও চিরকুমার ছিলেন। বিলাসবহুল জীবনে বিশ্বাসী ছিলেন না। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও তিনি ছিলেন জনগণের সেবক। পুরো মাসের বেতনের টাকা তিনি দান করে দিতেন। ছাত্র আর শিশুদের নিয়েই সময় কাটাতেন।

ভারতের বরেণ্য বিজ্ঞানী তথা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামের সম্পত্তির হিসাব দেখলে অনেকেরই বিশ্বাস হবে না। মৃত্যুর পর জানা যায়, তার সম্পত্তি বলতে প্রায় আড়াই হাজার বই, একটি হাতঘড়ি, ছয়টি শার্ট, চারটি ট্রাউজার, তিনটি স্যুট ও এক জোড়া জুতো।

কালামের ব্যক্তিগত সম্পত্তির তালিকায় ছিল না একটি এসি বা ফ্রিজ। গত পাঁচ দশক ধরে মানুষের সেবায় ব্রতী রাষ্ট্রপতির নিজের কোন টেলিভিশনও ছিল না। সর্বশেষ প্রযুক্তির খবর রাখতেন রেডিও শুনে। খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তেন খবরের কাগজ। তার বাসভবনে একটিই টিভি ছিল, যেটা তার কর্মীরা দেখতেন।

প্রয়াত এ রাষ্ট্রপতির স্থায়ী আমানতের হিসাব এখনো না মিললেও বলা যায়, তিনি পরিবারের জন্য বিশেষ কিছুই রেখে যেতে পারেননি। তিনি যেদিন রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত হন, তার পরই ব্যক্তিগত সব সম্পত্তি লিখে দেন রামেশ্বরমের স্কুল ও অনাথ আশ্রমের নামে।

রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ ফুরানোর পর তার জন্য রাজাজি মার্গে একটি দোতলা বাড়ি বরাদ্দ করে সরকার। কেউ দেখা করতে এসে কোন উপহার দিলেও নিতেন না তিনি। তবে কালাম তার দাদার শততম জন্মদিন নিয়ে খুব উৎসাহী ছিলেন। তার পুরোনো বাড়িতে একটি সোলার প্যানেল বসাতে পেরে খুব খুশি হয়েছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

যে রাষ্ট্রপতি বেতনের টাকা দান করে দিতেন

আপডেট টাইম : ০৫:০৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ভারতের তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে এক দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠেন তিনি। এক সময় আর্থিক অনটনের কারণে খবরের কাগজ বিক্রি করে পড়াশোনার খরচ জোগাতেন।

তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও চিরকুমার ছিলেন। বিলাসবহুল জীবনে বিশ্বাসী ছিলেন না। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও তিনি ছিলেন জনগণের সেবক। পুরো মাসের বেতনের টাকা তিনি দান করে দিতেন। ছাত্র আর শিশুদের নিয়েই সময় কাটাতেন।

ভারতের বরেণ্য বিজ্ঞানী তথা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামের সম্পত্তির হিসাব দেখলে অনেকেরই বিশ্বাস হবে না। মৃত্যুর পর জানা যায়, তার সম্পত্তি বলতে প্রায় আড়াই হাজার বই, একটি হাতঘড়ি, ছয়টি শার্ট, চারটি ট্রাউজার, তিনটি স্যুট ও এক জোড়া জুতো।

কালামের ব্যক্তিগত সম্পত্তির তালিকায় ছিল না একটি এসি বা ফ্রিজ। গত পাঁচ দশক ধরে মানুষের সেবায় ব্রতী রাষ্ট্রপতির নিজের কোন টেলিভিশনও ছিল না। সর্বশেষ প্রযুক্তির খবর রাখতেন রেডিও শুনে। খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তেন খবরের কাগজ। তার বাসভবনে একটিই টিভি ছিল, যেটা তার কর্মীরা দেখতেন।

প্রয়াত এ রাষ্ট্রপতির স্থায়ী আমানতের হিসাব এখনো না মিললেও বলা যায়, তিনি পরিবারের জন্য বিশেষ কিছুই রেখে যেতে পারেননি। তিনি যেদিন রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত হন, তার পরই ব্যক্তিগত সব সম্পত্তি লিখে দেন রামেশ্বরমের স্কুল ও অনাথ আশ্রমের নামে।

রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ ফুরানোর পর তার জন্য রাজাজি মার্গে একটি দোতলা বাড়ি বরাদ্দ করে সরকার। কেউ দেখা করতে এসে কোন উপহার দিলেও নিতেন না তিনি। তবে কালাম তার দাদার শততম জন্মদিন নিয়ে খুব উৎসাহী ছিলেন। তার পুরোনো বাড়িতে একটি সোলার প্যানেল বসাতে পেরে খুব খুশি হয়েছিলেন।