প্রাকৃতিক উপায়েই আরোগ্য লাভ সম্ভব। বিভিন্ন গাছ গাছড়া থেকেই প্রস্তুত করা হয় ওষুধ। অথচ আমরা হাতের নাগালে থাকলেও উপকারি বিভিন্ন গহাছের পাতায় ভরসা রাখতে পারিনা। তেমনই একটি উপকারি গাছ হলো বাসক।
এই গাছের পাতায় ভাসিসিন নামক ক্ষারীয় পদার্থ এবং তেল থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই বাসক পাতার রস সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহমূলক ব্যাধির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় বাসকের ভেষজ গুণাবলি প্রমাণিত হয়েছে। এর মূল, পাতা, ফুল, ছাল সবই ব্যবহার হয়।
১. বাসক পাতার রস ১ থেকে ২ চামচের সঙ্গে আধা থেকে এক চামচ মধুসহ খেলে শিশুর সর্দি-কাশি থেকে উপকার পাওয়া যায়।
২. বাসক পাতার রস গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় কয়েকদিন মাখলে উঁকুন মরে যায়। ফোঁড়ার প্রাথমিক অবস্থায় বাসক পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়।
৩. বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হলে বা কাশি হলে বাসক পাতার রস ১ থেকে ২ চামচের সঙ্গে ১ চামচ মধুসহ খেলে কফ সহজে বেরিয়ে আসে।
৪. প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রণা থাকলে বাসকের ফুল বেটে ২-৩ চামচ মিছরি ১-২ চামচ সরবত করে খেলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।
৫. জ্বর হলে বা অল্প জ্বর থাকলে বাসকের মূল ৫-১০ গ্রাম ধুয়ে থেঁতো করে ১০০ মিলি লিটার পানিতে ফোটাতে হবে। অতঃপর নামিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে দিনে ২ বার করে খেলে জ্বর এবং কাশি সেরে যায়।
৭. বাসকের কচিপাতা ১০ থেকে ১২ টি এক টুকরো হলুদ একসঙ্গে বেটে দাদ বা চুলকানিতে লাগলে কয়েকদিনের মধ্যে তা সেরে যায়।
৮. বাসকপাতা বা ফুলের রস ১-২ চামচ মধু বা চিনি ১ চামচসহ প্রতিদিন খেলে জন্ডিস রেগে উপকার পাওয়া যায়।
৯. পাইরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বাসক পাতা ২০ টি থেঁতো করে ২ কাপ পনিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় কুলকুচি করলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।