ভিষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভারতে অবস্থিত যৌনকর্মীরা। দুশ্চিন্তার কারণও অবশ্য আছে। প্রতিদিন নানান মানুষের সঙ্গে যৌনমিলনে জড়াতে হয় তাদের। কার শরীরে কি জীবানু আছে সেটা না জেনেই পেটের দায়ে নিজেদের উজাড় করে দিতে হয় ওইসব মানুষের কাছে। থেকে যায় ‘এইচআইভি’তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। ওই ঝুঁকি থেকে বাঁচতে তাদের একমাত্র ভরসা কনডম। কিন্তু পুরো ভারত জুড়ে অবস্থিত যৌনপল্লীগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র কনডম সঙ্কট। যে কনডমের যোগান এতদিন দেয়া হতো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে।
ঘটা করেই ভারতজুড়ে এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা বিশ্বেই সমাদৃত হয়েছিল ভারত সরকারের এই প্রকল্প। প্রকল্প অনুযায়ী, কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলির মাধ্যমে যৌনপল্লিতে বিনা পয়সায় কনডম বিতরণ করা হত। প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ২০১৩ সালের তুলনায় এইডস প্রতিরোধে সাময়িক সাফল্যও পেয়েছিল সরকার। কিন্তু, এবার সেই কর্মসূচি ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কার্যত মাথায় হাত যৌনকর্মীদের। কারণ, দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই যৌনপল্লীগুলোতে দেখা দিয়েছে কনডম সংকট।
কনডম তো বাজারেও কিনতে পাওয়া যায় ! কিন্তু, ওষুধের দোকানে গিয়ে তা কিনতে আজও স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন না অধিকাংশ যৌনকর্মী। অনেকে না কেনার কারণ হিসেবে খরচকেই দায়ী করে থাকেন। সরকারি ভর্তুকিতে কনডমের দাবিতে একমত যৌনকর্মীদের অধিকাংশই।
এক সংবাদ সংস্থা মারফত একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। কনডমের জোগানের ঘাটতি দেখা দেয়ায় বাধ্য হয়েই অসুরক্ষিত যৌনমিলনে বাধ্য হচ্ছেন যৌনকর্মীরা। তাঁদের অনেকেই আর্থিক সংকটের কারণে, কনডম না থাকলেও ক্লাইন্টদের না বলতে পারছেন না। এর ফলে দেশে এইচআইভি ছড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে কেন্দ্রের এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচিতেও।