ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরের সৌন্দর্য দেখতে একদিন বিদেশি পর্যটকেরা চলে আসবে: রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে উপজেলার নাগরিক কমিটি আয়োজিত সুধি সমাবেশে রাাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, হাওরকে সাজানো হচ্ছে  হাওরের সৌন্দর্য গোছানো হবে, বিদেশি পর্যটকরা আসবে এই হাওরাঞ্চল দেখতে। সেজন্য হাওরের সৌন্দর্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে সকল  খেয়াল হাওরবাসি রাখতে হবে।। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি হাওরের মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় শতাধিক প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল স্থাপন করেছি। এখন কোন কোন ইউনিয়নে তিনটি হাইস্কুলও আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও শিক্ষার মান তেমন বাড়ছে না। হাওরের শিক্ষার মান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। হাওরের ছেলেমেয়েরা বিসিএস পরীক্ষা বা অন্যান্য চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না। শিক্ষকদের পাঠদানে আরো আন্তরিক হতে হবে, যেন ছেলেমেয়েরা ভালো মানের শিক্ষা পায়। হাওরের আগামী দিনের উন্নয়ন তাদেরকেই এগিয়ে নিতে হবে।’

মদ, জুয়া, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আমি শুনেছি ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রামে ইয়াবা ঢুকে গেছে। সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এর বিস্তার আর না ঘটে। তা না হলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।

আজ সোমবার বিকালে হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের খেলার মাঠে স্থানীয় এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, হাওরের বিভিন্ন গ্রামে এক সময় স্থানীয় সমস্যা স্থানীয়রা দেন-দরবার করে মীমাংসা করে দিতেন। তখন মামলা-মোকদ্দমাও কম ছিল। এখন দরবারিরা একটা পক্ষ নিয়ে নেন। গ্রামের দরবার থানা হেডকোয়ার্টারে নিয়ে আসা হয়। এটা মোটেও ঠিক নয়। গ্রামের সমস্যা গ্রামেই মীমাংসা করতে হবে। গ্রামে কোন সমস্যা হলে, বিশেষ করে ভিকটিমরা থানায় মামলা করতে আসেন। মামলা হলেই অনেকে তদবির করতে আসেন। এসব তদবির বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি কলেজে জিএস হয়েছি, ভিপি হয়েছি, এমপি হয়েছি, ডেপুটি স্পিকার হয়েছি, সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা হয়েছি, স্পিকার হয়েছি. দুইবার রাষ্ট্রপতি হয়েছি। কিন্তু জনগণের সঙ্গে কখনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। নির্বাচনে অনেকে বিরুদ্ধেও থাকতে পারে। কিন্তু ইউনিয়নের মেম্বার হোন, চেয়ারম্যান হোন, উপজেলা চেয়ারম্যান হোন আর এমপি হোন, পাস করার পর আপনারা সবারই প্রতিনিধি। আপনাদের কাছে সবাই সমান। সব মানুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে আচরণের যেন পরিবর্তন না হয়, যেন ‘মুই কি হনুরে’ ভাব না আসে, সেদিকে সচেতন থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। আগে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যেতে সারাদিন লেগে যেত। এখন মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রামের মধ্যে ৩০ কিলোমিটার অলওয়েদার রাস্তার ফলে সড়কপথে ১৫ মিনিটে, আধা ঘন্টায় যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে। তবে এসব সড়কের দু’পাশে হিজল ও করস গাছ লাগাতে হবে যেন সড়কও ভাল থাকে, সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। হাওর এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা ও এর সুফল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, বিগত বছরগুলোতে হাওরে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন হয়েছে। হাওরের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ঘরে ঘরে বিদুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। হাওরবাসী এক সময় এসব ভাবতেও পারত না। আজ সবই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে হাওরবাসী। কাজেই এ উন্নয়ন রক্ষা করতে হবে। তবে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, হাওরাঞ্চলে একসময় ফ্লাইওভারও হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের হাওরে যাওয়ার কথা বললে তারা আসতে চাইত না। বলত, হাওরে দেখার মত কী আছে? অথচ এখন নিকলী, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম আর করিমগঞ্জের বালিখলায় বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষ বেড়াতে আসেন। ভবিষ্যতে হাওরে পর্যটন সুবিধা হবে। তবে বাইরে থেকে কেউ যেন হাওরে জমি কিনে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করে হাওরের সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য রাষ্ট্রপতি হাওরবাসীর প্রতি আহবান জানান।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, অষ্টগ্রাম সরকারি রোটারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোজতাবা আরিফ খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর রাষ্ট্রপতি সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিলনায়নে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এলাকার উন্নয়নের কথা বলেন। তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকেও বিভিন্ন সমস্যা ও পরামর্শ শোনেন। তিনি অষ্টগ্রাম ডাকবাংলোয় রাতযাপন করেন। মঙ্গলবার সকালে অষ্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করে রাষ্ট্রপতি দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৯ অক্টোবর তারিখে প্রথমে তাড়াইল পরে কিশোরগঞ্জ সদর, মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রামে এক সপ্তাহের সফরে এসেছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হাওরের সৌন্দর্য দেখতে একদিন বিদেশি পর্যটকেরা চলে আসবে: রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০৯:২৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে উপজেলার নাগরিক কমিটি আয়োজিত সুধি সমাবেশে রাাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, হাওরকে সাজানো হচ্ছে  হাওরের সৌন্দর্য গোছানো হবে, বিদেশি পর্যটকরা আসবে এই হাওরাঞ্চল দেখতে। সেজন্য হাওরের সৌন্দর্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে সকল  খেয়াল হাওরবাসি রাখতে হবে।। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি হাওরের মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় শতাধিক প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল স্থাপন করেছি। এখন কোন কোন ইউনিয়নে তিনটি হাইস্কুলও আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও শিক্ষার মান তেমন বাড়ছে না। হাওরের শিক্ষার মান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। হাওরের ছেলেমেয়েরা বিসিএস পরীক্ষা বা অন্যান্য চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না। শিক্ষকদের পাঠদানে আরো আন্তরিক হতে হবে, যেন ছেলেমেয়েরা ভালো মানের শিক্ষা পায়। হাওরের আগামী দিনের উন্নয়ন তাদেরকেই এগিয়ে নিতে হবে।’

মদ, জুয়া, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আমি শুনেছি ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রামে ইয়াবা ঢুকে গেছে। সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এর বিস্তার আর না ঘটে। তা না হলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।

আজ সোমবার বিকালে হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের খেলার মাঠে স্থানীয় এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, হাওরের বিভিন্ন গ্রামে এক সময় স্থানীয় সমস্যা স্থানীয়রা দেন-দরবার করে মীমাংসা করে দিতেন। তখন মামলা-মোকদ্দমাও কম ছিল। এখন দরবারিরা একটা পক্ষ নিয়ে নেন। গ্রামের দরবার থানা হেডকোয়ার্টারে নিয়ে আসা হয়। এটা মোটেও ঠিক নয়। গ্রামের সমস্যা গ্রামেই মীমাংসা করতে হবে। গ্রামে কোন সমস্যা হলে, বিশেষ করে ভিকটিমরা থানায় মামলা করতে আসেন। মামলা হলেই অনেকে তদবির করতে আসেন। এসব তদবির বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি কলেজে জিএস হয়েছি, ভিপি হয়েছি, এমপি হয়েছি, ডেপুটি স্পিকার হয়েছি, সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা হয়েছি, স্পিকার হয়েছি. দুইবার রাষ্ট্রপতি হয়েছি। কিন্তু জনগণের সঙ্গে কখনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। নির্বাচনে অনেকে বিরুদ্ধেও থাকতে পারে। কিন্তু ইউনিয়নের মেম্বার হোন, চেয়ারম্যান হোন, উপজেলা চেয়ারম্যান হোন আর এমপি হোন, পাস করার পর আপনারা সবারই প্রতিনিধি। আপনাদের কাছে সবাই সমান। সব মানুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে আচরণের যেন পরিবর্তন না হয়, যেন ‘মুই কি হনুরে’ ভাব না আসে, সেদিকে সচেতন থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। আগে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যেতে সারাদিন লেগে যেত। এখন মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রামের মধ্যে ৩০ কিলোমিটার অলওয়েদার রাস্তার ফলে সড়কপথে ১৫ মিনিটে, আধা ঘন্টায় যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে। তবে এসব সড়কের দু’পাশে হিজল ও করস গাছ লাগাতে হবে যেন সড়কও ভাল থাকে, সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। হাওর এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা ও এর সুফল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, বিগত বছরগুলোতে হাওরে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন হয়েছে। হাওরের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ঘরে ঘরে বিদুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। হাওরবাসী এক সময় এসব ভাবতেও পারত না। আজ সবই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে হাওরবাসী। কাজেই এ উন্নয়ন রক্ষা করতে হবে। তবে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, হাওরাঞ্চলে একসময় ফ্লাইওভারও হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের হাওরে যাওয়ার কথা বললে তারা আসতে চাইত না। বলত, হাওরে দেখার মত কী আছে? অথচ এখন নিকলী, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম আর করিমগঞ্জের বালিখলায় বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষ বেড়াতে আসেন। ভবিষ্যতে হাওরে পর্যটন সুবিধা হবে। তবে বাইরে থেকে কেউ যেন হাওরে জমি কিনে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করে হাওরের সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য রাষ্ট্রপতি হাওরবাসীর প্রতি আহবান জানান।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, অষ্টগ্রাম সরকারি রোটারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোজতাবা আরিফ খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর রাষ্ট্রপতি সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিলনায়নে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এলাকার উন্নয়নের কথা বলেন। তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকেও বিভিন্ন সমস্যা ও পরামর্শ শোনেন। তিনি অষ্টগ্রাম ডাকবাংলোয় রাতযাপন করেন। মঙ্গলবার সকালে অষ্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করে রাষ্ট্রপতি দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৯ অক্টোবর তারিখে প্রথমে তাড়াইল পরে কিশোরগঞ্জ সদর, মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রামে এক সপ্তাহের সফরে এসেছিলেন।