ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একনেকে উঠছে ৯৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেল প্রকল্প লাইন ১ ও ৫

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৭০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) পরবর্তী সভায় ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন ১ ও ৫) অনুমোদনের জন্য উপস্থান করা হবে। প্রকল্প দু’টির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ও অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে ২৫ হাজার ২৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিবে ৬৮ হাজার ৫৬৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর হচ্ছে ঢাকা। ঢাকা শহরে ২০০১ সালে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ছিলো ২০ হাজার ৬০০টি। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০টি। সে তুলনায় রাস্তার সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়ায় যানজট দুর্বিষহ আকার ধারণ করেছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকার ২০১৬ সালের আগস্টে ‘রিসিভড স্ট্রেটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (আরএসআইপি)’ অনুমোদন করেছে। আরএসআইপি অনুযায়ী ঢাকা শহরের যানজট দূর করার লক্ষে পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন নেটওয়ার্ক হিসেবে ৫টি এমআরটি লাইন তৈরি করা হবে। এর মধ্যে এমআরটি লাইন ৬ এর কাজ চলমান রয়েছে।
এ প্রকল্পটির আওতায় লাইন ১ এর প্রথম ফেজে ৩১.২৪ কিলোমিটার এমআরটি লাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬.২১ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬ কিলোমিটার এলিভেটেড হবে। এছাড়া নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩.৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইনসহ মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার নির্মাণের লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ৫১ হাজার ৯০০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ সালে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে।
প্রকল্প দু’টির ওপর চলতি বছরের ১৪ জুলাইয়ে প্রাক মূল্যায়ন সভা (পিইসি) অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ লাইন ১ এর ডিপিপি পুনর্গঠন করেছে। পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুযায়ী লাইন ১ এর ব্যয় ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমআরটি লাইন ৫ কে নর্দান এবং সাউদার্ন রুটে ভাগ করা হয়েছে। নর্দান রুটের দৈর্ঘ ২০ কিলোমিটার এবং সাউদার্ন রুটে দৈর্ঘ ১৭.৪০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় নর্দান রুটে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ এমআরটি লাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩.৫০ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড হবে। এমআরটি লাইন ৫ এর জন্য ব্যয় হবে ৪১ হাজার ২৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ও অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং জাইকা ঋণ হিসেবে দিবে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। জুলাই ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
একনেকে কার্যপত্রে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে উল্লেখ করেছেন, এমআরটি লাইন ১ ও ৫ নির্মাণের মাধ্যমে ট্রাফিক জ্যাম কমানোসহ ঢাকা শহরে পরিবেশবান্ধব, আধুনিক ও নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এজন্য প্রকল্প দুটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

একনেকে উঠছে ৯৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেট্রোরেল প্রকল্প লাইন ১ ও ৫

আপডেট টাইম : ১১:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) পরবর্তী সভায় ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন ১ ও ৫) অনুমোদনের জন্য উপস্থান করা হবে। প্রকল্প দু’টির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ও অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে ২৫ হাজার ২৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিবে ৬৮ হাজার ৫৬৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর হচ্ছে ঢাকা। ঢাকা শহরে ২০০১ সালে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ছিলো ২০ হাজার ৬০০টি। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০টি। সে তুলনায় রাস্তার সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়ায় যানজট দুর্বিষহ আকার ধারণ করেছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকার ২০১৬ সালের আগস্টে ‘রিসিভড স্ট্রেটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (আরএসআইপি)’ অনুমোদন করেছে। আরএসআইপি অনুযায়ী ঢাকা শহরের যানজট দূর করার লক্ষে পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন নেটওয়ার্ক হিসেবে ৫টি এমআরটি লাইন তৈরি করা হবে। এর মধ্যে এমআরটি লাইন ৬ এর কাজ চলমান রয়েছে।
এ প্রকল্পটির আওতায় লাইন ১ এর প্রথম ফেজে ৩১.২৪ কিলোমিটার এমআরটি লাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬.২১ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬ কিলোমিটার এলিভেটেড হবে। এছাড়া নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩.৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইনসহ মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার নির্মাণের লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ৫১ হাজার ৯০০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ সালে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে।
প্রকল্প দু’টির ওপর চলতি বছরের ১৪ জুলাইয়ে প্রাক মূল্যায়ন সভা (পিইসি) অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ লাইন ১ এর ডিপিপি পুনর্গঠন করেছে। পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুযায়ী লাইন ১ এর ব্যয় ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমআরটি লাইন ৫ কে নর্দান এবং সাউদার্ন রুটে ভাগ করা হয়েছে। নর্দান রুটের দৈর্ঘ ২০ কিলোমিটার এবং সাউদার্ন রুটে দৈর্ঘ ১৭.৪০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় নর্দান রুটে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ এমআরটি লাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩.৫০ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড হবে। এমআরটি লাইন ৫ এর জন্য ব্যয় হবে ৪১ হাজার ২৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ও অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং জাইকা ঋণ হিসেবে দিবে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। জুলাই ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
একনেকে কার্যপত্রে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে উল্লেখ করেছেন, এমআরটি লাইন ১ ও ৫ নির্মাণের মাধ্যমে ট্রাফিক জ্যাম কমানোসহ ঢাকা শহরে পরিবেশবান্ধব, আধুনিক ও নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এজন্য প্রকল্প দুটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।