হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারাদেশে নদীখোকোরা বেপরোয়া। দেশের ৪২ হাজার ৪২৩ জনের নদ-নদী দখলদারদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। কমিশন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে এই তালিকা জমাও দিয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ঢাক ঢোল পিটিয়ে নদী উদ্ধারে অভিযানে নামে। কিন্তু মাঝপথে সেই অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে। এতে নদীর জায়গা তো উদ্ধার হয়ই নি। বরং নতুন করে দখলদারিত্ব চলছেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে থমকে গেছে ঢাকা নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত নদী দখল উচ্ছেদ অভিযান। যদিও এ কারণটিও জানা নেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের।
নদীকে জীবন্ত সত্ত্বা ঘোষণা করেছে হাইকোট। এতে করে নদী দখল, ভরাট, নদী দূষণ ফৌজাদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ হত্যা করলে যে বিচার, নদী হত্যা করলেও সেই একই বিচার হবে। তার আগে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আইন পরিবর্তন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর ঢাকা ঘেরা চার নদীর তীরের পাশাপাশি কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০টি বড় অবৈধ কাঠামো অভিযান চালানোর সময় অপসারণ করা হয়নি। ঢাকার চার নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে একশ’টি অভিযোগ জমা পড়েছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে। কি কারণে নদী উচ্ছেদ অভিযান থমকে আছে জানতে চাইলে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মুখ খুলতে নারাজ। তবে তিনি জানান, অভিযান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।
তুরাগ নদী নিয়ে করা একটি রিটের রায় দেয়া হয় চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি। এর পরে প‚র্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে শুধু তুরাগ নয় দেশের সব নদ-নদীকেই জীবন্ত সত্ত্বা হিসেবে বিবেচিত হবে। রায় বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১৭ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তুরাগ নদী নিয়ে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’-এর করা এক রিটে এই রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ। হাইকোর্টের ওই রায়টি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানোর কথা থাকলে তা করা হয়নি।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, তুরাগ নদীতে উচ্ছেদ অভিযানে একেএম আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন উচ্ছেদ অভিযানকারি দলটি কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে তুরাগ নদীগর্ভের পাশাপাশি কয়েকটি অবৈধ কাঠামোর মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন এবং আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ অবৈধ কাঠামো অপসারণ না করার জন্য অতিরিক্ত পরিচালক (বন্দর) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএএর অভিযানে ছোট ছোট স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও বড় বড় নামীদামী কোম্পানীর কোনো স্থাপনা গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত উচ্ছেদ করা হয়নি। গত কয়েকদিন আগেও মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে এক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। কয়েকদিন অভিযানের পর সেই অভিযানও বন্ধ হয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিএ-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযান বন্ধ হয়নি। অভিযানে লৌহজং এলাকায় ২ শতাধিক টংঘর ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এখানে বৈধ-অবৈধ মিলে কয়েক শতাধিক খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন প্রকার দোকান ঘর রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ সকল অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ করবে। একই ঘটনা ঘটেছে সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদী দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানে। সেখানে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অভিযান পরিচালিত হলেও বড় বড় নামীদামী বেশ কয়েকটি কোম্পানীর কোনো
স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি।
আমাদের সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণানুযায়ী ঢাকাসহ সারাদেশে অবৈধ দখল হওয়া নদ-নদী ও খাল উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার অংশ হিসাবে বেশ কয়েকমাস ধরেই দেশের বিভিন্নস্থানে উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত রয়েছে। সম্প্রতি অবৈধ নদী দখল উদ্ধারে প্রভাবশালীদের হুমকি-ধমকি ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে উদ্ধার করা হয়েছে শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর বেশ কিছু স্থান।
গত মাসের শেষের দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ বেশ সুনাম কুড়ালেও তাদের কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে মেঘনা নদীর ক্ষেত্রে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেঘনা নদী অবৈধ দখলে যে সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি রয়েছে তাদের প্রভাব ও ক্ষমতার কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় মেঘনা নদীর অবৈধ দখল বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও দখল হওয়া নদী উদ্ধারের ক্ষেত্রে নেই কোন দৃশ্যত কার্যক্রম। অভিযোগ রয়েছে, সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয়েছে তাদের পকেট ভরা প্রকল্প। যে প্রকল্পের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম হয়ে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ এর কিছু অসাধু কর্মচারী। আর তাদের পরিচালনা করছে বিআইডব্লিউটিএ এর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের কতিপয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরের ১৯ মে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ব্যাপক ডাক ঢোল পিটিয়ে ‘মেঘনা নদীর তীরবর্তী ভূমি ‘দখল’ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। বিগত ১৯ মে থেকে মেঘনা নদী দখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হয় এবং পর্যায়ক্রমে ছয়দিনব্যাপী চলে অভিযান। ওই অভিযানের সময় উঠে আসে মেঘনা নদীর সবচেয়ে বেশি দখলকারী দেশের প্রভাবশালী কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নাম। যারা আরও দখল করে আছে নদীর তীরবর্তী খাস ভ‚মি, সরকারি খাল এবং ফোরশোর ল্যান্ডভ‚ক্ত ভ‚মিও। এমনকি প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধভাবে বালু ভরাট করে প্রাচীর দিয়ে দখল করার পরও অভিযান চালায়নি বিআইডব্লিউটিএ। সে সময় উদ্ধার অভিযানে গত ঈদুল ফিতরের তকমা লাগিয়ে কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দেয় নদী উদ্ধার কার্যক্রম। যা পুনরায় ঈদের পর পরিচালনা করার কথা দিয়েছিলেন তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গোলজার আলী।
এমনকি সে সময় নদীতে ভরাটকৃত বালু উদ্ধার করে লোক দেখানো কয়েক কোটি টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। যে বালু এখনও সরানো হয়নি। উল্টো আরও বালু ফেলে দখল অব্যাহত রেখেছে প্রভাবশালী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। তৎকালীন সময় অভিযান পরিচালনার সময় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, মেঘনার তীর দখলমুক্ত করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কিন্তু অভিযানতো দূরের কথা উল্টো তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় দখল হচ্ছে মেঘনা নদী এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সোনারগাঁও উপজেলা ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যখন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধভাবে নদী দখল ও ভরাট করে। তারা অভিযানে গেলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বিআইডব্লিউটিএ নদীর তীর ব্যবহারের অনুমতিপত্র দেখায়। ফলে তারা আইনগত কিছু করার থাকেনা। এমনকি ওই কর্মকর্তা জানায়, শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিশাল টাকার ঘুষের বিনিময়ে নদী তীর ভূমি ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে আসে। তবে, শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে নদী তীর ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার পূর্বে আরো সতর্ক হওয়াও প্রয়োজন বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিএ এর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে একের পর এক স্থানে মেঘনা নদী ও শাখা নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন স্থাপনা। শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো পাইলিং, বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ ও বালু ফেলে প্রতিনিয়ত নদীর গভীরে দখল করছে।
সরেজমিনে মেঘনা নদীতে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ারচর গ্রামের আষাঢ়িয়ারচর মৌজার প্রায় ৭শত বিঘা জমিতে গত কয়েকদিন যাবত বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ড্রেজার বসিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী হোমরা-চোমড়া পাতি নেতা ও তাদের সহযোগীরা একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মেঘনার শাখা মেনীখালী নদী, ফসলি জমি ও সরকারী খাস জমিতে বালু ভরাট করছে। স্থানীয় জমির মালিক ও কৃষকরা তাদের জমি ভরাটে বাধা দিতে গেলে প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের মারধর ও মামলা-হামলার হুমকি দিচ্ছে।
এছাড়া, উপজেলার মেঘনা ঘাট, বৈদ্যেরবাজার ঘাট, হাড়িয়া ও আনন্দ বাজার এবং বারদী এলাকাসহ নদী তীরবর্তী প্রতিটি স্থানে মেঘনা নদী দখলের মহোৎসব চলছে। নদীতীরবর্তীস্থানে গেলে মনে হয়, নদীর মধ্যে ভাসছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিশাল বিশাল ভবনগুলো। স্থানীয় প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বীরদর্পে নদী দখল করে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রভাবশালী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিআইডব্লিউটিএর সহযোগীতায় কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা থাকার পরও তারা বালু ভরাটসহ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি, মেঘনা নদীর শাখা ও সরকারি খালগুলো বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। মেনীখালি নদী, ঐতিহাসিক রান্দির খাল, আনন্দ বাজার খাল, পঙ্খিরাজ খাল এবং ছাওয়াল বাগীনী নদের মুখ দখল হওয়ায় শাখা নদীগুলো প্রায় ধ্বংসের পথে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসনে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর মাহবুব-উল ইসলাম বলেন, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শহরের উজানে অভিযান চালানো হয়েছিল, তবে মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরসহ প্রায় শতাধিক ধর্মীঢ অবকাঠামো ধর্মীয় অনুভূতির কথা বিবেচনা করে উচ্ছেদ করা হয়নি। তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের সময় অনিয়মের বিষয় কিছু লোক আবেদন জমা দিয়েছে এবং আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় সমীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি। দুর্নীতির সাথে কোনও আপস করা হবে না।
জানা যায়, ২৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ( মোট ৩৬ কার্যদিবস) তিন দফায় ঢাকা নদী বন্দরের আওতাধীন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ।
ঢাকা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, চতুর্থ দফার উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিন ১৯৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তিনতলা ভবন ১টি, দোতলা ভবন ১৩টি, একতলা ভবন ৩৭টি, আধাপাকা স্থাপনা ৮৫টি, বাউন্ডারি দেয়াল ১৭টি ও টিনের ঘর ৪৫টি। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ২ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে।
চতুর্থ দফার অভিযান মোট ১২ কার্যদিবস উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। এর আগে তিন দফায় ৩৬ কার্যদিবসে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৫৭৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৯১ একর নদী তীরভূমি। এছাড়া নদীর চ্যানেল বন্ধ করে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা আমিন মোমিন নামের একটি হাউজিং উচ্ছেদ করে পুনরায় নদীর পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ।