ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমন ছাত্র হও দেশবাসী তোমাদের নিয়ে যেন গর্ব করতে পারে : রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, জীবনভর থার্ড ডিভিশন পেলেও আমি নকল করি নাই। নকল করে পাস করে কোনো লাভ হবে না। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এমন ছাত্র হও, যেন দেশবাসী তোমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের ইটনা সদরের আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ মাঠে অনগ্রসর হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

লেখাপড়ার গুণগত মান বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মনেপ্রাণে লেখাপড়া করে মেধা অর্জন করতে হবে। এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে যে, অন্য এলাকা থেকে যেমন ইউএনওর মতো সরকারি অফিসার হাওরে এসে কাজ করছেন, তোমরাও অন্য এলাকায় গিয়ে এরকম বড় দায়িত্ব পালন করবে। লেখাপড়া এভাবে শিখতে হবে যেন দেশবাসী তোমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম হাওরের তিন উপজেলাতেই রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল করবো। যেখানে সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের হোস্টেলে থাকতে হবে। ক্যাডেট কলেজের আদলে এসব স্কুল করা হবে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকালে সাবেক নির্বাচনী এলাকার ইটনা উপজেলায় এক সুধি সমাবেশে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন। কিশোরগঞ্জ জেলায় রাষ্ট্রপতির এক সপ্তাহব্যাপী সফরের পঞ্চম দিনে ইটনা সদরে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ মাঠে এই সুধি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রপতি  মো. আবদুল হামিদ বলেন, আগে ইটনায় দু’টি, নিকলী ও অষ্টগ্রামে একটি করে হাইস্কুল ছিল। মিঠামইনে কোন হাইস্কুল ছিল না। যখন আমি ভৈরবে স্কুলে পড়াশোনা করতাম তখন আমাদের হাওরকে তারা ‘উত্তইরা ভুত’ বলে গালাগালি করতো। কিশোরগঞ্জে যখন কলেজে ভর্তি হলাম, তখন অনেকে ‘ভাইট্টা গাবর’ বলে গালাগালি করতো। এই অবস্থার মধ্যে মনে জিদ ছিল, কি করে হাওর উন্নয়ন করা যায়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি জীবনে ভালো করে সেকেন্ড ডিভিশন পাইনি। আমি সব সময় থার্ড ডিভিশনে পাশ করেছি। পাশ করেছি থার্ড ডিভিশনে কিন্তু জীবনেও নকল করিনি। নকল করে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হলে কোন লাভ হবে না। চাকরি পাওয়া যাবে না। ওই সব পরীক্ষায় জিরো পেয়ে ফিরতে হবে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো করে পড়ার কোন বিকল্প নেই।

হাওরে বোরো চাষাবাদের সঙ্কট কাটাতে কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন করে গবেষণার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও অকাল বন্যা পার হয়ে ফসল কেটে খোলায় এনে শুকানোর পর গোলায় তোলার আগ পর্যন্ত এ ধান নিয়ে বিশ্বাস নেই। হাওরের কৃষকদের স্বার্থে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে স্বল্প জীবনকালের ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি মনে করেছি, শিক্ষাই একমাত্র রাস্তা যার মাধ্যমে আমরা এই অপবাদ থেকে রক্ষা পেতে পারি। এখন হাওরে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রত্যেক ইউনিয়নে কোথাও একটি কোথাও দুইটি হাইস্কুল করেছি। ইটনায় কলেজ করেছি, যেখানে ১২-১৪শ’ ছাত্র-ছাত্রী আছে। কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন কলেজেও হাওর এলাকার অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে। শিক্ষার দিক থেকে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। কিন্তু গুণগত দিক থেকে শিক্ষায় আমরা পিছিয়ে আছি। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল আসে না। তাই ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে যেন তারা ভাল ফলাফল করতে পারে।

হাওর এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা ও এর সুফল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, এখন ঢাকা থেকেও মানুষ বালিখলা, মোহরকোনা বেড়িবাঁধ, অষ্টগ্রাম ব্রীজ, হাওর দেখতে আসে। হাওরে আসার কথা বললে তারা আগে কইতো, ভাটি যাইতাম? এখন পিকনিক করার জন্য আসে। হাওরের চলমান কাজগুলো সম্পন্ন হলে হাওরের চেহারা সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যাবে।

রোববার সকালে কর্মস্থলে এসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকার নির্দেশনা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বহু নেতাও কিশোরগঞ্জের বাসাবাড়ি করে থাকে। জেলা সদরে থেকে নেতাগিরি করা চলবে না। যারা এলাকায় থাকতে পারবেন, তারাই চেয়ারম্যান-মেম্বার হবেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এর সভাপতিত্বে সুধি সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিপি শাহ আজিজুল হক, ইটনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক প্রমুখ।

এ সময় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল সহ বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শুরুর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ চত্বরে তাঁর স্ত্রীর নামে ‘রাশিদা খানম ছাত্রীনিবাস’ ও বাদলা আবদুল হামিদ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এমন ছাত্র হও দেশবাসী তোমাদের নিয়ে যেন গর্ব করতে পারে : রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ১১:১৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, জীবনভর থার্ড ডিভিশন পেলেও আমি নকল করি নাই। নকল করে পাস করে কোনো লাভ হবে না। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এমন ছাত্র হও, যেন দেশবাসী তোমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের ইটনা সদরের আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ মাঠে অনগ্রসর হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

লেখাপড়ার গুণগত মান বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মনেপ্রাণে লেখাপড়া করে মেধা অর্জন করতে হবে। এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে যে, অন্য এলাকা থেকে যেমন ইউএনওর মতো সরকারি অফিসার হাওরে এসে কাজ করছেন, তোমরাও অন্য এলাকায় গিয়ে এরকম বড় দায়িত্ব পালন করবে। লেখাপড়া এভাবে শিখতে হবে যেন দেশবাসী তোমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম হাওরের তিন উপজেলাতেই রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল করবো। যেখানে সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের হোস্টেলে থাকতে হবে। ক্যাডেট কলেজের আদলে এসব স্কুল করা হবে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকালে সাবেক নির্বাচনী এলাকার ইটনা উপজেলায় এক সুধি সমাবেশে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন। কিশোরগঞ্জ জেলায় রাষ্ট্রপতির এক সপ্তাহব্যাপী সফরের পঞ্চম দিনে ইটনা সদরে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ মাঠে এই সুধি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রপতি  মো. আবদুল হামিদ বলেন, আগে ইটনায় দু’টি, নিকলী ও অষ্টগ্রামে একটি করে হাইস্কুল ছিল। মিঠামইনে কোন হাইস্কুল ছিল না। যখন আমি ভৈরবে স্কুলে পড়াশোনা করতাম তখন আমাদের হাওরকে তারা ‘উত্তইরা ভুত’ বলে গালাগালি করতো। কিশোরগঞ্জে যখন কলেজে ভর্তি হলাম, তখন অনেকে ‘ভাইট্টা গাবর’ বলে গালাগালি করতো। এই অবস্থার মধ্যে মনে জিদ ছিল, কি করে হাওর উন্নয়ন করা যায়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি জীবনে ভালো করে সেকেন্ড ডিভিশন পাইনি। আমি সব সময় থার্ড ডিভিশনে পাশ করেছি। পাশ করেছি থার্ড ডিভিশনে কিন্তু জীবনেও নকল করিনি। নকল করে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হলে কোন লাভ হবে না। চাকরি পাওয়া যাবে না। ওই সব পরীক্ষায় জিরো পেয়ে ফিরতে হবে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো করে পড়ার কোন বিকল্প নেই।

হাওরে বোরো চাষাবাদের সঙ্কট কাটাতে কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন করে গবেষণার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও অকাল বন্যা পার হয়ে ফসল কেটে খোলায় এনে শুকানোর পর গোলায় তোলার আগ পর্যন্ত এ ধান নিয়ে বিশ্বাস নেই। হাওরের কৃষকদের স্বার্থে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে স্বল্প জীবনকালের ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি মনে করেছি, শিক্ষাই একমাত্র রাস্তা যার মাধ্যমে আমরা এই অপবাদ থেকে রক্ষা পেতে পারি। এখন হাওরে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রত্যেক ইউনিয়নে কোথাও একটি কোথাও দুইটি হাইস্কুল করেছি। ইটনায় কলেজ করেছি, যেখানে ১২-১৪শ’ ছাত্র-ছাত্রী আছে। কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন কলেজেও হাওর এলাকার অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে। শিক্ষার দিক থেকে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। কিন্তু গুণগত দিক থেকে শিক্ষায় আমরা পিছিয়ে আছি। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল আসে না। তাই ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে যেন তারা ভাল ফলাফল করতে পারে।

হাওর এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা ও এর সুফল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, এখন ঢাকা থেকেও মানুষ বালিখলা, মোহরকোনা বেড়িবাঁধ, অষ্টগ্রাম ব্রীজ, হাওর দেখতে আসে। হাওরে আসার কথা বললে তারা আগে কইতো, ভাটি যাইতাম? এখন পিকনিক করার জন্য আসে। হাওরের চলমান কাজগুলো সম্পন্ন হলে হাওরের চেহারা সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যাবে।

রোববার সকালে কর্মস্থলে এসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকার নির্দেশনা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বহু নেতাও কিশোরগঞ্জের বাসাবাড়ি করে থাকে। জেলা সদরে থেকে নেতাগিরি করা চলবে না। যারা এলাকায় থাকতে পারবেন, তারাই চেয়ারম্যান-মেম্বার হবেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এর সভাপতিত্বে সুধি সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিপি শাহ আজিজুল হক, ইটনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক প্রমুখ।

এ সময় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল সহ বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শুরুর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ চত্বরে তাঁর স্ত্রীর নামে ‘রাশিদা খানম ছাত্রীনিবাস’ ও বাদলা আবদুল হামিদ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।