হাওর বার্তা ডেস্কঃ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শুরু হচ্ছে অক্টোবরের শেষে। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর আগেই হবে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি। জাইকার অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। এটি নির্মাণ হলে বিমানবন্দরের যাত্রী-ধারণ ক্ষমতা অন্তত তিনগুণ বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে টার্মিনাল সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয় ২০১৫ সালে। ২০১৭-র ২৪ অক্টোবর ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক।
তৃতীয় টার্মিনাল তৈরিতে এরই মধ্যে দরপত্র জমা দিয়েছে দুই জাপানি প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি ও সিমুজি। মিৎসুবিশির সঙ্গে সঙ্গে আছে ফুজিতা ও স্যামসাং। আর সিমুজির সঙ্গে অংশীদারত্ব ইটালথাই ও জেজিইসির। এখন চলছে দরপত্র মূল্যায়ন। সব ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবরেই হতে পারে চুক্তি সই।
শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালটি হবে তিনতলা। থাকবে ২৪টি বোডিং ব্রিজ, বহির্গমনে ১৫টি সেলফ সার্ভিসসহ ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার। আরও থাকছে ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ ৬৬টি কাউন্টার। আসার জন্য ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক ইন কাউন্টারসহ ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেক ইন কাউন্টার থাকবে। প্রকল্প শেষে তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে এখনকার টার্মিনাল ভবন যুক্ত হবে কানেকটিং করিডোরের মাধ্যমে।
আর আমদানি-রফতানির সুবিধায় তৈরি করা হবে আলাদা দুটি কার্গো ভিলেজ। তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল ও ফ্ল্যাই-ওভারের মাধ্যমে যুক্ত হবে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।