হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে মৃত্যুর ঘটনাকে বাছবিচারহীন প্রাণহানি হিসেবে আখ্যায়িত করে এসব বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শনিবার সংস্থাটির ইরাক-বিষয়ক মিশনের প্রধান জেনাইন হেনিস-প্লাসচেয়ার্ট এ আহ্বান জানান।
বেকারত্ব, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা ও সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইরাকে বিক্ষোভ শুরু হয়। শুক্রবার আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়া এবং শনিবার বাগদাদে কারফিউ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদি।
তবে বিক্ষোভকারীরা সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সরকারি হিসাবে, এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ চলাকালে নিহত হয়েছেন ৯৩ জন।
জেনাইন হেনিস-প্লাসচেয়ার্ট বলেন, ‘পাঁচদিনে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এই প্রাণহানির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে শনিবার রাজধানী বাগদাদে জারি করা কারফিউ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কারফিউ প্রত্যাহার করা হলেও আন্দোলনের মূল কেন্দ্রস্থলে প্রবেশে বাধা দিয়েছে দাঙ্গা পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, সর্বশেষ শনিবার রাজধানী বাগদাদের পূর্বাঞ্চলে একটি র্যালি ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচজন নিহত হন।