হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইরাকে দুর্নীতি, বেকারত্ব ও নিম্নমানের সরকারি সেবার প্রতিবাদে চলমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে একশ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার লোক। দেশটির হিউম্যান রাইটস কমিশন এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ বন্ধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদি আন্দোলনকারীদের দাবি মানার প্রতিশ্রুতি দিলেও সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে বিক্ষোভ-সহিংসতায় প্রতিদিনই ঝরছে অসংখ্য প্রাণ। এই প্রাণহানিকে অর্থহীন বলে বিক্ষোভ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইরাকে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের প্রধান জেনিন হেনিস প্লাসচায়ের্ট বলেন, পাঁচদিন ধরে প্রাণহানি ঘটছে। মানুষ আহত হচ্ছে। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, যারা এই প্রাণহানির পেছনে দায়ী তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। শনিবার বাগদাদের পূর্বাঞ্চলে একটি বড় সমাবেশ ভেঙে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
রাজধানী বাগদাদে সর্বশেষ সহিংসতায় এগারোজন নিহত হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী আবারও তাজা বুলেট এবং টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এক বছর আগে আদেল আবদেল মাহদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই বিক্ষোভকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
কারফিউ জারি করে এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার দিনের বেলা কারফিউ তুলে নেয়া হয়। এরপরেই ছোট ছোট বিক্ষোভকারী দলগুলো নতুন করে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেছে।