ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্লুকোমা’ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  কোমা (ইংরেজি: Glaucoma) হলো চোখের একপ্রকার রোগ যাতে অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও চোখ অন্ধ হয়ে যায়।

চোখের একটি জটিল রোগের নাম গ্লুকোমা। গ্লুকোমা সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, তাতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক ধরনের জিন গ্লুকোমার জন্য দায়ী।

পারিবারিক প্রভাব এ রোগের ক্ষেত্রে বেশ প্রভাব ফেলে। চোখের অন্যান্য জন্মগত ত্রুটির কারণে গ্লুকোমা হতে পারে। আবার চোখের কোনো সমস্যার কারণে হতে পারে গ্লুকোমা। তবে গ্লুকোমা বলতে আপাত দৃশ্যমান কোনো কারণ ছাড়া বয়স্কদের গ্লুকোমা বা প্রাইমারি গ্লুকোমাই বোঝায়।

প্রাইমারি গ্লুকোমা দুই ধরনের- প্রাইমারি ন্যারো অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা (পিএনএজি) এবং প্রাইমারি ওপেন অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা (পিওএজি)। এর মধ্যে পিওএজি বেশি ক্ষতিকর। কারণ এর কোনো উপসর্গ নেই। বলা যায় চোখের নীরব ঘাতক।

যেখানে চোখের প্রেসার (ইন্ট্রাঅকুলার প্রেসার বা আইওপি) স্বাভাবিক ২১ (আইওপির স্বাভাবিক মাত্রা ২১ মিলিমিটার) মিলিমিটারের বেশি থাকে। ফলে চোখের নার্ভ শুকিয়ে যায় এবং দৃষ্টিস্বল্পতা দেখা দেয়। একবার কোনো নার্ভ শুকিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে এটি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এটি ফিরিয়ে আনা কঠিন।

শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা:
যদি কোনো উপসর্গ না দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া ছাড়া এ রোগ নির্ণয় করা কঠিন। অন্য রোগের কারণে চোখের পাওয়ার পরীক্ষার সময় চক্ষুবিশেষজ্ঞরা গ্লুকোমার বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন অথবা বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্লুকোমা শনাক্ত করা যেতে পারে।

গ্লুকোমা শনাক্তকরণে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ তা হলো- চোখের প্রেসার বা আইওপি ২১-এর ওপর থাকলে টনোমিটার নামক যন্ত্রের সাহায্যে মাপতে হবে। অপ্টিক নার্ভ হেড ইভালুয়েশন ও অফথ্যালমোস্কোপ দিয়ে চোখের ভেতরের অংশ দেখে বোঝা যায়। এটি তাৎক্ষণিকভাবে করা যায়। ভিজ্যুয়াল ফিল্ড অ্যানালাইসিস বা চোখের নার্ভের অবস্থা একটি ডিজিটাল যন্ত্রের সাহায্যে করতে হয়।

গ্লুকোমার চিকিৎসা:
চোখের ড্রপের সাহায্যে চিকিৎসা দেয়া যায়। তবে এটি সারাজীবন চালিয়ে যেতে হয়। এর দু’টি প্রতিবন্ধকতা হলো- সারাজীবনের জন্য ব্যয়নির্বাহ এবং ওষুধ দিতে ভুলে যাওয়া। এ ছাড়া অপারেশনের মতো স্থায়ী পদ্বতির মাধ্যমে চিকিৎসা নেয়া যায়। চোখের প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের চেয়ে এ পদ্ধতি বেশি কার্যকর। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লেজারের সাহায্যেও চিকিৎসা দেয়া হয়।

গ্লুকোমার অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেতে রোগ শনাক্তকরণ আগে জরুরি। শনাক্তের পর উচিত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা এবং চক্ষুবিশেষজ্ঞের পর্যবেক্ষণে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্লুকোমা’ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা

আপডেট টাইম : ১০:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  কোমা (ইংরেজি: Glaucoma) হলো চোখের একপ্রকার রোগ যাতে অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও চোখ অন্ধ হয়ে যায়।

চোখের একটি জটিল রোগের নাম গ্লুকোমা। গ্লুকোমা সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, তাতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক ধরনের জিন গ্লুকোমার জন্য দায়ী।

পারিবারিক প্রভাব এ রোগের ক্ষেত্রে বেশ প্রভাব ফেলে। চোখের অন্যান্য জন্মগত ত্রুটির কারণে গ্লুকোমা হতে পারে। আবার চোখের কোনো সমস্যার কারণে হতে পারে গ্লুকোমা। তবে গ্লুকোমা বলতে আপাত দৃশ্যমান কোনো কারণ ছাড়া বয়স্কদের গ্লুকোমা বা প্রাইমারি গ্লুকোমাই বোঝায়।

প্রাইমারি গ্লুকোমা দুই ধরনের- প্রাইমারি ন্যারো অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা (পিএনএজি) এবং প্রাইমারি ওপেন অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা (পিওএজি)। এর মধ্যে পিওএজি বেশি ক্ষতিকর। কারণ এর কোনো উপসর্গ নেই। বলা যায় চোখের নীরব ঘাতক।

যেখানে চোখের প্রেসার (ইন্ট্রাঅকুলার প্রেসার বা আইওপি) স্বাভাবিক ২১ (আইওপির স্বাভাবিক মাত্রা ২১ মিলিমিটার) মিলিমিটারের বেশি থাকে। ফলে চোখের নার্ভ শুকিয়ে যায় এবং দৃষ্টিস্বল্পতা দেখা দেয়। একবার কোনো নার্ভ শুকিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে এটি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এটি ফিরিয়ে আনা কঠিন।

শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা:
যদি কোনো উপসর্গ না দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া ছাড়া এ রোগ নির্ণয় করা কঠিন। অন্য রোগের কারণে চোখের পাওয়ার পরীক্ষার সময় চক্ষুবিশেষজ্ঞরা গ্লুকোমার বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন অথবা বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্লুকোমা শনাক্ত করা যেতে পারে।

গ্লুকোমা শনাক্তকরণে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ তা হলো- চোখের প্রেসার বা আইওপি ২১-এর ওপর থাকলে টনোমিটার নামক যন্ত্রের সাহায্যে মাপতে হবে। অপ্টিক নার্ভ হেড ইভালুয়েশন ও অফথ্যালমোস্কোপ দিয়ে চোখের ভেতরের অংশ দেখে বোঝা যায়। এটি তাৎক্ষণিকভাবে করা যায়। ভিজ্যুয়াল ফিল্ড অ্যানালাইসিস বা চোখের নার্ভের অবস্থা একটি ডিজিটাল যন্ত্রের সাহায্যে করতে হয়।

গ্লুকোমার চিকিৎসা:
চোখের ড্রপের সাহায্যে চিকিৎসা দেয়া যায়। তবে এটি সারাজীবন চালিয়ে যেতে হয়। এর দু’টি প্রতিবন্ধকতা হলো- সারাজীবনের জন্য ব্যয়নির্বাহ এবং ওষুধ দিতে ভুলে যাওয়া। এ ছাড়া অপারেশনের মতো স্থায়ী পদ্বতির মাধ্যমে চিকিৎসা নেয়া যায়। চোখের প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের চেয়ে এ পদ্ধতি বেশি কার্যকর। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লেজারের সাহায্যেও চিকিৎসা দেয়া হয়।

গ্লুকোমার অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেতে রোগ শনাক্তকরণ আগে জরুরি। শনাক্তের পর উচিত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা এবং চক্ষুবিশেষজ্ঞের পর্যবেক্ষণে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া।